Dhaka শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাতেই নয়, মানবিকতায়ও বাংলাদেশ পুলিশ অনন্য নজির স্থাপন করেছে : ডিএমপি কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাতেই নয়, মানবিকতায়ও বাংলাদেশ পুলিশ অনন্য নজির স্থাপন করেছে। চলমান তাপপ্রবাহে ডিএমপির পক্ষ থেকে ৫০টি থানা এলাকার বিভিন্ন স্থান; যেমন বাজার, বাস স্টপেজ ও মার্কেটসহ বিভিন্ন জায়গায় নিরাপদ খাবার পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে শ্রমজীবী, রিকশাচালক, নিম্ন আয়ের মানুষরা নিরাপদ খাবার পানি পান করতে পারেন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীর মিন্টুরোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সামনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই সারা দেশে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ চলছে। ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা সব সময় রাস্তায় থেকে কাজ করেন। রাস্তার ট্রাফিক শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রচণ্ড রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে তাদের কাজ করতে হয়। এমনকি তারা বিশ্রামেরও সুযোগও পান না। চলমান দাবদাহের সময় তাদের জন্য কিছু জায়গায় স্থায়ীভাবে পানির ট্রলি দেওয়া হয়েছে। আর বেশ কয়েকটি জায়গায় ভ্রাম্যমাণ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। মেট্রোপলিটন এরিয়ায় যারা রয়েছে তাদের সেবা দেওয়ার জন্য এই প্রচেষ্টা।

হাবিবুর রহমান বলেন, পুলিশ শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে জড়িত থাকে না বরং মানবিক কার্যক্রমে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। আমি মনে করি করোনাকালীন সাধারণ মানুষের পাশে থেকে মানবসেবা করে বাংলাদেশ পুলিশ সারা বিশ্বে একটি অনন্য নজির স্থাপন করেছে। সেই ধারাবাহিকতা এখনো বজায় রয়েছে। আজকেও শ্রমজীবী মানুষের জন্য ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় পানি বিতরণ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, করোনাকালে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে মানবসেবায় বাংলাদেশ পুলিশ সারা বিশ্বে একটি অন্যন্য নজির স্থাপন করেছে। সেই ধারাবাহিকতা এখনও বজায় রয়েছে। আজও শ্রমজীবী মানুষের জন্য ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় পানি বিতরণ করা হচ্ছে। পুলিশ এই কার্যক্রম সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টার একটি অংশ।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ও পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের পক্ষ থেকে ট্রাফিক পুলিশদের খাবার পানি, স্যালাইন, গ্লুকোজ, লেবুর শরবত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।

চলমান তাপপ্রবাহে সড়কে দায়িত্বপালন করা ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের ইউনিফর্ম পরিবর্তন করার কোনও চিন্তা রয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের যে পোশাক রয়েছে তার বাইরে গিয়ে বিকল্প পোশাক পরার সুযোগ নেই। তবে কালো যে ছাতাটি রয়েছে সেটির বদলে সাদা ছাতা দেওয়া হবে। যেন গরম কম লাগে। একইসঙ্গে রোদে বা তাপপ্রবাহে কোনও পুলিশ সদস্য অসুস্থ হয়ে গেলে সেবা দেওয়ার জন্য পুলিশ হাসপাতাল সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

তাপদাহের কারণে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের ইউনিফর্ম পরিবর্তন করার কোনো চিন্তা আছে কি না জানতে চাইলে হাবিবুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত এমন কোনো চিন্তা নেই। আমাদের যে পোশাক রয়েছে তার বাইরে গিয়ে বিকল্প পোশাক পরিধানের কোনো চিন্তাভাবনা আমাদের নেই। তবে যে কালো ছাতাটি থাকে সেটির বদলে সাদা ছাতা দেওয়ার জন্য নিয়ম রয়েছে। যেন গরম কম লাগে।

রোদ বা গরমে কোনো পুলিশ সদস্য অসুস্থ হলে সেবা দেওয়ার জন্য পুলিশ হাসপাতাল সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এসময় ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ফারুক হোসেন এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ওসমান হাদির জানাজায় আগতদের জন্য ডিএমপির ট্রাফিক নির্দেশনা

শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাতেই নয়, মানবিকতায়ও বাংলাদেশ পুলিশ অনন্য নজির স্থাপন করেছে : ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশের সময় : ০৫:০২:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাতেই নয়, মানবিকতায়ও বাংলাদেশ পুলিশ অনন্য নজির স্থাপন করেছে। চলমান তাপপ্রবাহে ডিএমপির পক্ষ থেকে ৫০টি থানা এলাকার বিভিন্ন স্থান; যেমন বাজার, বাস স্টপেজ ও মার্কেটসহ বিভিন্ন জায়গায় নিরাপদ খাবার পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে শ্রমজীবী, রিকশাচালক, নিম্ন আয়ের মানুষরা নিরাপদ খাবার পানি পান করতে পারেন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীর মিন্টুরোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সামনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই সারা দেশে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ চলছে। ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা সব সময় রাস্তায় থেকে কাজ করেন। রাস্তার ট্রাফিক শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রচণ্ড রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে তাদের কাজ করতে হয়। এমনকি তারা বিশ্রামেরও সুযোগও পান না। চলমান দাবদাহের সময় তাদের জন্য কিছু জায়গায় স্থায়ীভাবে পানির ট্রলি দেওয়া হয়েছে। আর বেশ কয়েকটি জায়গায় ভ্রাম্যমাণ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। মেট্রোপলিটন এরিয়ায় যারা রয়েছে তাদের সেবা দেওয়ার জন্য এই প্রচেষ্টা।

হাবিবুর রহমান বলেন, পুলিশ শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে জড়িত থাকে না বরং মানবিক কার্যক্রমে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। আমি মনে করি করোনাকালীন সাধারণ মানুষের পাশে থেকে মানবসেবা করে বাংলাদেশ পুলিশ সারা বিশ্বে একটি অনন্য নজির স্থাপন করেছে। সেই ধারাবাহিকতা এখনো বজায় রয়েছে। আজকেও শ্রমজীবী মানুষের জন্য ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় পানি বিতরণ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, করোনাকালে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে মানবসেবায় বাংলাদেশ পুলিশ সারা বিশ্বে একটি অন্যন্য নজির স্থাপন করেছে। সেই ধারাবাহিকতা এখনও বজায় রয়েছে। আজও শ্রমজীবী মানুষের জন্য ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় পানি বিতরণ করা হচ্ছে। পুলিশ এই কার্যক্রম সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টার একটি অংশ।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ও পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের পক্ষ থেকে ট্রাফিক পুলিশদের খাবার পানি, স্যালাইন, গ্লুকোজ, লেবুর শরবত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।

চলমান তাপপ্রবাহে সড়কে দায়িত্বপালন করা ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের ইউনিফর্ম পরিবর্তন করার কোনও চিন্তা রয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের যে পোশাক রয়েছে তার বাইরে গিয়ে বিকল্প পোশাক পরার সুযোগ নেই। তবে কালো যে ছাতাটি রয়েছে সেটির বদলে সাদা ছাতা দেওয়া হবে। যেন গরম কম লাগে। একইসঙ্গে রোদে বা তাপপ্রবাহে কোনও পুলিশ সদস্য অসুস্থ হয়ে গেলে সেবা দেওয়ার জন্য পুলিশ হাসপাতাল সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

তাপদাহের কারণে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের ইউনিফর্ম পরিবর্তন করার কোনো চিন্তা আছে কি না জানতে চাইলে হাবিবুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত এমন কোনো চিন্তা নেই। আমাদের যে পোশাক রয়েছে তার বাইরে গিয়ে বিকল্প পোশাক পরিধানের কোনো চিন্তাভাবনা আমাদের নেই। তবে যে কালো ছাতাটি থাকে সেটির বদলে সাদা ছাতা দেওয়ার জন্য নিয়ম রয়েছে। যেন গরম কম লাগে।

রোদ বা গরমে কোনো পুলিশ সদস্য অসুস্থ হলে সেবা দেওয়ার জন্য পুলিশ হাসপাতাল সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এসময় ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ফারুক হোসেন এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।