Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনের ফলই বলে দেবে, বিরোধী দল কে হবে: কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফলই বলে দেবে কে বিরোধী দল হবে।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগ অফিসে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, পাঁচ বছর পর পর নির্বাচন। এক সরকার আরেক সরকারকে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। এটাই সাংবিধানিক ধারা। নির্বাচনের টার্ন আউট দেখেই বোঝা যাবে কেমন হয়েছে। তবে এবার ভোটার সন্তোষজনক হবে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা আমাদের আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দলের বক্তব্য শুনেছেন। বাংলাদেশের বাস্তবতা এই নির্বাচনটা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নির্বাচনটা আমাদের করতে হয়েছে। ২৭টার মতো দল আছে, এক হাজার ৮৯৬ জন প্রার্থী রয়েছেন। এসব বিষয় তারা পজিটিভ নিয়েছেন।

কাদের বলেন, তারা আমাদের ইলেকশনকে সামনে রেখে তাদের প্রদত্ত যে দায়িত্ব সেটা পালন করছেন। তারা আমাদের কথাই বেশি শুনতে আগ্রহী ছিলেন। মন্তব্য তারা তেমন করতে চাননি। আমরাও ইনসিস্ট করিনি। আমরা আমাদের ইলেকশন নিয়ে কথা বলেছি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভয়ভীতি এসব আছে। তারপরও আমরা বলেছি ভোটের টার্ন আউট সন্তোষজনক হবে। মানুষের আগ্রহ আছে। সারাদেশের ভোটারদের মধ্যে যা লক্ষ করা যাচ্ছে, তাতে করে টান আউট নিয়ে উদ্বিগ্ন হবার কোনো কারণ নেই। বিএনপি একটি বড় দল, টার্ন আউট নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে। পৃথিবীর গণতান্ত্রিক দেশের স্ট্যান্ডার্ড বজায় থাকবে সেটাই আমরা বলেছি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ভায়োলেন্স নিয়ে তারা জানতে চেয়েছে। আমরা বলেছি, ভায়োলেন্স তো হচ্ছে। পিসফুল নির্বাচনের জবাব দিচ্ছে ভায়োলেন্স দিয়ে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের (ইউরোপীয় ইউনিয়ন) আসলে মাথাব্যথা ইউক্রেন নিয়ে, গাজা-ইজরায়েল-ফিলিস্তিন নিয়ে। কাজেই শক্তিধররা বেশি ঘামাচ্ছেন এসব নিয়ে। কঙ্গোতে একটা ইলেকশন হইছে, কারও সাথে কারও যোগাযোগ নেই। ফলাফল হয়ে গেছে। পাকিস্তান ভালো ডেমোক্রেসির উদাহরণ, এটা কেউ বলবে না।

কাদের বলেন, তাদের কোনো কনসার্ন নাই। ইলেকশন নিয়ে প্রস্তুতি কী জানতে চেয়েছে। কনসার্স থাকলেও সেটা তাদের মনে আছে।

মন্ত্রী বলেন, সে অধিকার দেওয়া হয়েছে। যে স্বতন্ত্র ইলেকশন করছে, সে যদি আওয়ামী লীগের হয় তার সাথে অন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কাজ করে তাহলে কোনো সমস্যা দেখি না। আমরা নতুন এক্সপেরিয়েন্স বিশ্বকে দেখাতে চাচ্ছি। জনমত নিয়ে এটাও ডেমোক্রেসি।

এই নির্বাচনে বিএনপির স্বতন্ত্রও আছে জানিয়ে তিনি বলেন, স্বতন্ত্র শুধু আওয়ামী লীগের কি না। বাইরেরও কে কে আছে। অনেকে বিএনপি থেকে এসে হইছে। বেশিরভাগ আওয়ামী লীগের না। স্বতন্ত্র শুধু আওয়ামী লীগের না।

তারেক রহমানকে দেশে এসে আন্দোলন করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খেলার মাঠে ভুয়া হয়ে গেছে বিএনপি। যে নারী দেখতে ভালো না, তার চলন বাঁকা, বিএনপির অবস্থা এই। নজরুল ইসলাম খানকে বলে দিও, পাগলের সুখ মনে মনে।

আসন ভাগাভাগি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা কাউকে সাপোর্ট দিতে পারি না? দিই তো। কোথাও কোথাও ১৪ দলের নৌকা দিয়েছি। সেখানে আমাদের সাপোর্টের বিষয় তো আছেই। বিএনপি বলবেই ভাগাভাগি। তারা নিজেরাই তো ভুয়া হয়ে গেছে। ভুয়ারা কত কথাই বলবে।

ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এ নিয়ে আমাদের কোনো দুশ্চিন্তা নেই। ইলেকশন নিয়ে আমাদের একটা…. যারা দেখতে নারী তার চলন বাঁকা। এই ইলেকশনে তো তারা নেই। তাই এই ইলেকশনের চলন বাঁকা।

টিআইবির প্রতিবেদন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘টিআইবি বিএনপির শাখা সংগঠন। বিএনপি যা বলে তারাও তা বলে, তারাও যা বলে টিআইবিও তা বলে। আমি টিআইবি ইন্টারন্যাশনালের কথা বলিনি। বাংলাদেশের কথা বলেছি।’

বৈঠকে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, উপ-দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

নির্বাচনের ফলই বলে দেবে, বিরোধী দল কে হবে: কাদের

প্রকাশের সময় : ০৮:০০:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফলই বলে দেবে কে বিরোধী দল হবে।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগ অফিসে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, পাঁচ বছর পর পর নির্বাচন। এক সরকার আরেক সরকারকে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। এটাই সাংবিধানিক ধারা। নির্বাচনের টার্ন আউট দেখেই বোঝা যাবে কেমন হয়েছে। তবে এবার ভোটার সন্তোষজনক হবে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা আমাদের আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দলের বক্তব্য শুনেছেন। বাংলাদেশের বাস্তবতা এই নির্বাচনটা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নির্বাচনটা আমাদের করতে হয়েছে। ২৭টার মতো দল আছে, এক হাজার ৮৯৬ জন প্রার্থী রয়েছেন। এসব বিষয় তারা পজিটিভ নিয়েছেন।

কাদের বলেন, তারা আমাদের ইলেকশনকে সামনে রেখে তাদের প্রদত্ত যে দায়িত্ব সেটা পালন করছেন। তারা আমাদের কথাই বেশি শুনতে আগ্রহী ছিলেন। মন্তব্য তারা তেমন করতে চাননি। আমরাও ইনসিস্ট করিনি। আমরা আমাদের ইলেকশন নিয়ে কথা বলেছি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভয়ভীতি এসব আছে। তারপরও আমরা বলেছি ভোটের টার্ন আউট সন্তোষজনক হবে। মানুষের আগ্রহ আছে। সারাদেশের ভোটারদের মধ্যে যা লক্ষ করা যাচ্ছে, তাতে করে টান আউট নিয়ে উদ্বিগ্ন হবার কোনো কারণ নেই। বিএনপি একটি বড় দল, টার্ন আউট নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে। পৃথিবীর গণতান্ত্রিক দেশের স্ট্যান্ডার্ড বজায় থাকবে সেটাই আমরা বলেছি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ভায়োলেন্স নিয়ে তারা জানতে চেয়েছে। আমরা বলেছি, ভায়োলেন্স তো হচ্ছে। পিসফুল নির্বাচনের জবাব দিচ্ছে ভায়োলেন্স দিয়ে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের (ইউরোপীয় ইউনিয়ন) আসলে মাথাব্যথা ইউক্রেন নিয়ে, গাজা-ইজরায়েল-ফিলিস্তিন নিয়ে। কাজেই শক্তিধররা বেশি ঘামাচ্ছেন এসব নিয়ে। কঙ্গোতে একটা ইলেকশন হইছে, কারও সাথে কারও যোগাযোগ নেই। ফলাফল হয়ে গেছে। পাকিস্তান ভালো ডেমোক্রেসির উদাহরণ, এটা কেউ বলবে না।

কাদের বলেন, তাদের কোনো কনসার্ন নাই। ইলেকশন নিয়ে প্রস্তুতি কী জানতে চেয়েছে। কনসার্স থাকলেও সেটা তাদের মনে আছে।

মন্ত্রী বলেন, সে অধিকার দেওয়া হয়েছে। যে স্বতন্ত্র ইলেকশন করছে, সে যদি আওয়ামী লীগের হয় তার সাথে অন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কাজ করে তাহলে কোনো সমস্যা দেখি না। আমরা নতুন এক্সপেরিয়েন্স বিশ্বকে দেখাতে চাচ্ছি। জনমত নিয়ে এটাও ডেমোক্রেসি।

এই নির্বাচনে বিএনপির স্বতন্ত্রও আছে জানিয়ে তিনি বলেন, স্বতন্ত্র শুধু আওয়ামী লীগের কি না। বাইরেরও কে কে আছে। অনেকে বিএনপি থেকে এসে হইছে। বেশিরভাগ আওয়ামী লীগের না। স্বতন্ত্র শুধু আওয়ামী লীগের না।

তারেক রহমানকে দেশে এসে আন্দোলন করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খেলার মাঠে ভুয়া হয়ে গেছে বিএনপি। যে নারী দেখতে ভালো না, তার চলন বাঁকা, বিএনপির অবস্থা এই। নজরুল ইসলাম খানকে বলে দিও, পাগলের সুখ মনে মনে।

আসন ভাগাভাগি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা কাউকে সাপোর্ট দিতে পারি না? দিই তো। কোথাও কোথাও ১৪ দলের নৌকা দিয়েছি। সেখানে আমাদের সাপোর্টের বিষয় তো আছেই। বিএনপি বলবেই ভাগাভাগি। তারা নিজেরাই তো ভুয়া হয়ে গেছে। ভুয়ারা কত কথাই বলবে।

ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এ নিয়ে আমাদের কোনো দুশ্চিন্তা নেই। ইলেকশন নিয়ে আমাদের একটা…. যারা দেখতে নারী তার চলন বাঁকা। এই ইলেকশনে তো তারা নেই। তাই এই ইলেকশনের চলন বাঁকা।

টিআইবির প্রতিবেদন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘টিআইবি বিএনপির শাখা সংগঠন। বিএনপি যা বলে তারাও তা বলে, তারাও যা বলে টিআইবিও তা বলে। আমি টিআইবি ইন্টারন্যাশনালের কথা বলিনি। বাংলাদেশের কথা বলেছি।’

বৈঠকে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, উপ-দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।