চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেললাইন দিয়ে ঢাকা থেকে শিলিগুড়ি ট্রেন চলাচল শুরু হবে আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে। রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে রেলপথটির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
শনিবার নীলফামারীর চিলাহাটি ও ভারতের হলদিবাড়ির মধ্যে সংযোগস্থল (জিরো পয়েন্টে) পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, এ ট্রেন চলাচল বহুদিন আগেই শুরু হতো। কিন্তু দীর্ঘ সময়ে স্বাধীনতাবিরোধী ও ভারত বিদ্বেষীরা ক্ষমতায় থাকার কারণে তা চালু হয়নি। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর পুনরায় এ পথ দিয়ে ট্রেন চলাচলের উদ্যোগ নেয় দু’দেশের সরকার। আর কিছুদিনের মধ্যেই তা বাস্তবায়ন হবে।
রেলপথ নির্মাণকালে উচ্ছেদ করা ৭৮টি পরিবারের কয়েকশ’ সদস্য মন্ত্রীর কাছে আর্থিক সাহায্যের দাবি জানালে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন তাদের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন : ২৯ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর নির্মাণকাজের উদ্বোধন
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নীল-ফামারীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) হাফিজুল রহমান চৌধরী, ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীনা শবনম, ৫৬ বিজিবির অধিনায়ক মায়মুনুল রহমান, রেলের পশ্চিম জোনের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন, সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান উদ্দিন, বিভাগীয় রেল কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক আবদুর রহিম প্রমুখ।
রেলওয়ে সূত্র মতে, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট পাকিস্তান-ভারত বিভক্তের পরও এ পথে রেল চালু ছিল। সে সময়ে এ পথে দু’দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলাচল করত যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রেন। ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের পর বন্ধ হয় দু’দেশের মধ্যে রেল চলাচল। পরিত্যক্ত রেলপথটি চালুর উদ্যোগ নেয় শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি সরকার।
গত ৮ অক্টোবর ভারতের কুচবিহার জেলার হলদিবাড়ি সীমান্ত রেলস্টেশন পেরিয়ে ইঞ্জিনটি বাংলাদেশ সীমান্তে পৌঁছে। সেখানে ১০ মিনিট অবস্থানের পর পুনরায় ছেড়ে যায় হলদিবাড়ির উদ্দেশ্যে। পরে ওই সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় রেলবিভাগের কর্মকর্তারা স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
গত ২৭ অক্টোবর চিলাহাটি রেলস্টেশন থেকে ছয় দশমিক ৭২৪ কিলোমিটার ভারত-বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্তের (জিরো ল্যান্ড) বাংলাদেশে রেলওয়ের ইঞ্জিনের মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।