নিজস্ব প্রতিবেদক :
এই গ্রীষ্মে তিনটি যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নেবে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনী। আঞ্চলিক নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা জোরদারে এই যৌথ মহড়ার মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখবে দুই দেশ। তিনটি মহড়ার মধ্যে ‘টাইগার লাইটনিং’ এবং ‘টাইগার শার্ক’ মহড়া জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর সেপ্টেম্বরে ‘প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল’ মহড়া অনুষ্ঠিত হবে।
রোববার (২০ জুলাই) ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, এই তিনটি যৌথ মহড়া এবং একটি নতুন দক্ষতা সংযোজনের মাধ্যমে দুই দেশের দীর্ঘদিনের অংশীদারিত্ব বজায় রাখবে, যা আমাদের অভিন্ন নিরাপত্তা লক্ষ্যকে আরও দৃঢ় করবে। এই প্রচেষ্টাগুলো বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র এবং এই অঞ্চলকে আরও শক্তিশালী ও নিরাপদ করে তোলে।
তিনটি মহড়ার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
টাইগার লাইটনিং মহড়া
টানা চতুর্থ বছরের মতো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং যুক্তরাষ্ট্রের আর্মি প্যাসিফিক ‘টাইগার লাইটনিং’ মহড়া পরিচালনা করবে। বাস্তবধর্মী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দুদেশের সৈনিকরা সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান, শান্তিরক্ষা, জঙ্গলে অভিযান, আহতদের চিকিৎসার জন্য দ্রুত সরিয়ে নেওয়া এবং তাৎক্ষণিক বিস্ফোরক ডিভাইস (আইইডি) প্রতিরোধের জন্য প্রস্তুতি অর্জন করবে।
টাইগার শার্ক মহড়া
টাইগার শার্ক (ফ্ল্যাশ বেঙ্গল সিরিজের অংশ) একটি যৌথ প্রশিক্ষণ মহড়া যেখানে দুই দেশের বিশেষ বাহিনী যুদ্ধকৌশল অনুশীলন করে। ২০০৯ সাল থেকে চলমান এই মহড়ায় প্যাট্রোল বোট পরিচালনা এবং স্বল্পপাল্লার অস্ত্রের লক্ষ্যভেদে দক্ষতা অর্জনের অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যা বাংলাদেশ স্পেশাল ওয়ারফেয়ার ডাইভিং অ্যান্ড স্যালভেজ এবং প্যারা কমান্ডো ব্রিগেডকে সঙ্কট মোকাবিলায় আরও দক্ষ করে তুলবে। এই যৌথ মহড়ার বিশেষ আকর্ষণ হলো উভয় দেশের ব্যবহৃত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সরঞ্জাম।
প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল মহড়া
বাংলাদেশে চতুর্থবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল। এই মহড়ায় দুদেশের প্রতিরক্ষা সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক, সি-১৩০ বহরকে তুলে ধরা হবে, যা দুর্যোগকালে আকাশপথে সরঞ্জাম সরবরাহ ও চলাচল সংক্রান্ত অভিযানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মহড়াটি অনুসন্ধান ও উদ্ধার (এসএআর) এবং অ্যারোমেডিকেল কার্যক্রমের উপরও গুরুত্ব দেয়, যা মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলায় বাংলাদেশের সক্ষমতা বাড়াবে।
আরকিউ-২১ কর্মসূচি চালু
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সঙ্গে একত্রে বাংলাদেশের জন্য একটি মানববিহীন আকাশযান ব্যবস্থা (ইউএএস) সক্ষমতা গড়ে তুলছে।
দূতাবাস আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশ সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত একটি রেজিমেন্ট নতুন আরকিউ-২১ ব্ল্যাকজ্যাক সিস্টেম পরিচালনা করবে। এই সম্মিলিত উদ্যোগ বাংলাদেশকে সমুদ্রসীমা পর্যবেক্ষণ, সীমান্ত নিরাপত্তা এবং শান্তিরক্ষা মিশন পরিচালনায় সক্ষম করে তুলবে।