বিনোদন ডেস্ক :
গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। সরকার পতনের পর উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন সারাদেশের মানুষ। এর মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার খবরও পাওয়া যায়।
এ পরিস্থিতিতে শোবিজ অঙ্গনের অনেক তারকা বৈষ্যমবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের পক্ষে ও সংখ্যালঘুদের বাড়িতে হামলার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। তবে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। ভারতীয় একটি গণমাধ্যম এ অভিনেতার বক্তব্য প্রকাশ করেছে। এ বিষয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন চঞ্চল।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) চঞ্চল চৌধুরী নিজের ফেসবুকে আমি চঞ্চল চৌধুরী বলছি’ শিরোনামে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এতে তিনি লেখেন, ‘আমি চঞ্চল চৌধুরী বলছিৃ। আমার নাম ব্যবহার করে কোনো বিদেশি/দেশি পত্রপত্রিকা বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে যদি কিছু লেখা হয়, তার দায় আমার নয়। কারণ এখন পর্যন্ত আমি কোনো পত্রপত্রিকা বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিইনি।
চঞ্চল চৌধুরীর মা শারীরিকভাবে অসুস্থ। তা জানিয়ে এ অভিনেতা লেখেন, আমি সাধারণ একজন শিল্পী। পেশাগত কারণ ছাড়া কোনো কিছুর সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমার মায়ের চরম অসুস্থ্যতাজনিত কারণে সাম্প্রতিক সময়ে আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খুব বেশি সক্রিয় নই। দেশে শান্তি বিরাজ করুক, সকলের মঙ্গল হোক।
উল্লেখ্য, চঞ্চল চৌধুরী ছোট পর্দা থেকে শুরু করে চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসা লাভ করেছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি মডেল, শিক্ষক ও গায়ক। তার অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং সেরা অভিনেতা বিভাগে একটি মেরিল-প্রথম আলো ও দুটি সমালোচক পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া মোট বারোটি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। চঞ্চল চৌধুরী কোডা, সোডা ও ইউডা কলেজের চারুকলার প্রভাষকও।
চঞ্চল চৌধুরীর পরবর্তী সিনেমা ‘পদাতিক’। প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মৃণাল সেনের এ বায়োপিক নির্মাণ করেছেন কলকাতার গুণী পরিচালক সৃজিত মুখার্জি। এতে মৃণাল সেনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের চঞ্চল চৌধুরী। আগামী ১৫ আগস্ট সিনেমাটি মুক্তির কথা রয়েছে।