বিনোদন ডেস্ক :
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে সারাবিশ্বসহ বাংলাদেশও ইসরায়েলি ও মার্কিন পণ্য বয়কট করেছে সাধারণ জনগণ। এরমধ্যে কোকাকোলা বাংলাদেশে একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশ করলে জনগণের মাঝে দেখা দেয় বিরুপ প্রতিক্রিয়া। ইতোমধ্যে কোকাকোলা তাদের সমালোচিত বিজ্ঞাপনটি ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব থেকে সরিয়ে ফেলেছে।
মঙ্গলবার (১১ জুন) সকাল থেকে কোকাকোলার ইউটিউব চ্যানেলে বিজ্ঞাপনটি আর দেখা যাচ্ছে না।
এর আগে রোববার (০৯ জুন) পণ্যটির একটি বিজ্ঞাপন প্রচার করা হলে সেটি নিয়ে নেটদুনিয়ায় শুরু হয় তুমুল সমালোচনা। সেই বিজ্ঞাপনে প্রচার করা হয় যে, ১৯৩টি দেশে কোকাকোলা তৈরি হয় এবং ফিলিস্তিনেও তাদের ফ্যাক্টরি আছে। এছাড়া ইসরায়েলি কোম্পানি নামে যে বিষয়টি প্রচলিত আছে তা সম্পূর্ন গুজব।
এদিকে বিজ্ঞাপনটিতে অভিনয় করে সমালোচনার মুখে পড়েন নির্মাতা ও অভিনেতা শরাফ আহমেদ জীবন, শিমুল শর্মা, আব্দুল্লাহ আল সেন্টু প্রমুখ। ইতোমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে কথাও বলেছেন জীবন ও শিমুল।
সোমবার (১০ জুন) দিনভর ফেসবুকে ছিল জীবন ও শিমুল শর্মাদের নিয়ে সমালোচনা। অবশেষে এই বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে স্ট্যাটাস দেন দুই অভিনেতা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিমুল লেখেন, আমি শিমুল শর্মা, যদিও পরিচয় দেবার মতো একজন অভিনেতা এখনো হয়ে উঠতে পারিনি কারণ একজন অভিনেতা হওয়ার জন্য যে অধ্যবসায় এবং দূরদর্শিতা দরকার সেটা এখনো আমার হয়ে ওঠেনি, আমি চেষ্টা করছি মাত্র। তাই হয়তো না বুঝে করা আমার কাজ আজ আমার দর্শক, তথা আমার পরিবার ও দেশের মানুষকে কষ্ট দিয়েছে। আর আমি ভবিষ্যতে কোনো কাজে অভিনয় করতে গেলে অবশ্যই আমাদের দেশের মূল্যবোধ, মানবাধিকার, মানুষের মনোভাবকে যথেষ্ট সম্মান দিয়ে বিবেচনা করে তারপর কাজ করব। আমি মাত্র আমার জীবনের পথচলা শুরু করেছি, আমার এই পথচলায় ভুল-ত্রুটি ক্ষমা সুলভ দৃষ্টিতে দেখবেন এবং আমাকে ভবিষ্যতে একজন বিবেকবান শিল্পী হয়ে ওঠার জন্য শুভ কামনায় রাখবেন।
এদিকে, অভিনেতা-নির্মাতা শরাফ আহমেদ জীবন লেখেন, ‘আমি একজন নির্মাতা এবং অভিনেতা হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। বিগত দুই দশক ধরে আমি নির্মাণ ও অভিনয়ের সঙ্গে জড়িত। সম্প্রতি কোকা-কোলা বাংলাদেশ আমার সঙ্গে তাদের একটি বিজ্ঞাপন নির্মাণ এবং অভিনয় করার জন্য নিয়োগ করেছিল। আমি শুধুমাত্র তাদের দেওয়া তথ্য ও উপাত্তই কাজটিতে তুলে ধরেছি। বিজ্ঞাপনটি প্রচার হওয়ার পর থেকে আমি আপনাদের অনেক মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করছি এবং আপনাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমি আবারো বলতে চাই কাজটি শুধুই আমার পেশাগত জীবনের একটি অংশমাত্র।ব্যক্তিগত জীবনে আমি সবসময় মানবাধিকার বিরোধী যেকোনো আগ্রাসনের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছি এবং আপনাদের অনুভূতি ও মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকেছি। এখানে আমি কোথাও ইসরায়েলের পক্ষ নিইনি এবং আমি কখনোই ইসরায়েলের পক্ষে নই। আমার হৃদয় সবসময় ন্যায়ের পক্ষে এবং মানবতার পাশে আছে, থাকবে।
তাদের পোস্টের নিচেও দেখা মিলছে নেটিজেনদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
তবে এতে কোকাকোলা উল্লেখযোগ্যভাবে সফল হয়নি, হতে পারেনি। এবার সরাসরি কোকাকোলা কোম্পানি বিজ্ঞাপন বানাল, যেখানে স্পষ্ট করে বলে দিলো কোকাকোলা ১৯৩ টি দেশে তৈরি হয় এবং ফিলিস্তিনেও কোকের ফ্যাক্টরি রয়েছে। ইসরায়েলি কোম্পানি নামে যে কথা প্রচলিত রয়েছে তা একেবার অসত্য, বিজ্ঞাপনে দাবি করা হয় এমনই।