Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পরিচালক হয়ে আসছেন তারকা দম্পতি সোহেল চৌধুরী-দিতির কন্যা

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০১:২১:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ মে ২০২৪
  • ১৯০ জন দেখেছেন

বিনোদন ডেস্ক : 

চলচ্চিত্র নির্মাণে আসছেন সোনালি যুগের তারকা দম্পতি সোহেল চৌধুরী ও পারভীন সুলতানা দিতির কন্যা লামিয়া চৌধুরী। তবে অভিনয়ে আসছেন না তিনি। আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছেন পরিচালক হিসেবে।

দেড় দশক আগেই নিজের সিনেমা নিয়ে স্বপ্নের কথা মাকে জানান লামিয়া। কিন্তু দিতি চাননি তার মেয়ে মিডিয়াতে আসুক। এরপর লামিয়া চলে যান অর্থনীতি নিয়ে যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করতে। কিন্তু পড়াশোনায় মন বসে না। সিনেমা তাকে বেশি টানে।

বিষয়টি মাকে জানান তিনি। দিতিও মেয়ের সিদ্ধান্তে সায় দেন। ফিল্ম নিয়ে ক্যারিয়ার গড়তে ইকোনমিকস পড়া বাদ দিয়ে লন্ডন ফিল্ম স্কুলে ফিল্ম প্রডাকশনের ওপর ডিপ্লোমা করা শুরু করেন লামিয়া। সেখানে থেকে নির্মাণ, চিত্রনাট্য লেখা, স্টোরি টেলিং, সম্পাদনাসহ সিনেমার সব বিষয়ে শিখতে থাকেন।

সম্প্রতি এই তারকাকন্যা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিনেমা তৈরি করবেন। এরই মধ্যে শুরু করতে যাচ্ছেন প্রথম সিনেমা পরিচালনার কাজ। এ বিষয়ে দেশের একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।

লামিয়া বলেন, আমি দেশে এসেছিলাম মায়ের সঙ্গে পরিচালনার জন্য। এটাই ছিল আমার জীবনের স্বপ্ন। আমার গল্প ছিল নারীদের নিয়ে। গল্প-ভাবনা নিয়ে মা খুশি হয়েছিলেন। যতই আমি স্বপ্নের পথে এগোতে থাকি, ততই মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। মা যাওয়ার পরে একেবারে একা হয়ে পড়ি। একে আমি দেশে নতুন। অনেক কিছুই চিনি না, জানি না। আমাকে গাইড করার মতো কেউ নেই। যেন অথই এক সাগরে পড়ে যাই। পরিবারের সবকিছু ছোট বয়সেই দেখার ভার আমার ওপরে পড়ে। তখন আমি আর সিনেমা নিয়ে কাজ করতে পারিনি।

২০১৬ সালে দিতি প্রয়াত হওয়ার কয়েক বছর নানাভাবে চেষ্টা করেছেন কাজটি করার। কিন্তু বারবার হতাশ হতে হয়েছে। তত দিনে চারপাশে দেখা গল্পের চরিত্রগুলো বড় হতে থাকে। গত বছরের শুরু থেকে সিনেমাটি নিয়ে নতুন করে ভাবতে থাকেন। পাঁচ মাস ধরে সিনেমাটি নিয়ে টানা কাজ করছেন। ১০ বছর আগের সেই গল্প এখন পুরোপুরি পরিবর্তন করতে হয়েছে। নিজেই চিত্রনাট্য করেছেন।

লামিয়া বলেন, আমার এই স্বপ্নের সঙ্গে শুরু থেকে মা জড়িত। আমি বারবার চেয়েছিলাম নির্মাণ করতে। কিন্তু আমাকে সাপোর্ট করতে পারে এমন লোক পাইনি। কয়েকবার প্রজেক্টটি নিয়ে এগিয়ে গিয়েও আবার পিছপা হতে হয়েছে। সহযোগিতা পাইনি। কিন্তু আমার মনে সব সময় একটা স্বপ্ন ছিল, এই গল্পটা আমার জন্য স্পেশাল। আমাকে বানাতেই হবে। আমার সেই স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। আমি সিনেমা বানাব। মাকে ছাড়া সিনেমাটির কাজ করাটা অনেক কঠিন হবে।

লামিয়ার নির্মিতব্য এই সিনেমার নাম ‘মেয়েদের গল্প’। এই প্রজন্মের ১৮ থেকে ২৫ বছরের মেয়েদের মায়েদের সঙ্গে সম্পর্ক, প্রত্যাশা, বন্ধুত্ব, বোঝাপড়া নিয়েই এগিয়ে যাবে তিন মেয়ে ও তিন মায়ের গল্প। ইতিমধ্যে অভিনয়শিল্পী নির্বাচন, লোকেশন বাছাই, কস্টিউম ডিজাইনের কাজ শুরু করেছেন। বর্ষা মৌসুমের পরে সিনেমার শুটিংয়ে যেতে চান। ইচ্ছা রয়েছে সিনেমাটি নেটফ্লিক্সে মুক্তি দেওয়ার।

১৯৮৬ সালে সোহেল চৌধুরী অভিনেত্রী পারভীন সুলতানা দিতিকে বিয়ে করেন। তাদের দুই সন্তান আছে। ১৯৮৭ সালে জন্ম হয় লামিয়া চৌধুরীর এবং ১৯৮৯ সালে এ দম্পতির ছেলে দীপ্ত চৌধুরীর জন্ম হয়। নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে দিতি ও সোহেল চৌধুরীর দাম্পত্য জীবনের বিচ্ছেদ ঘটে।

১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর বনানীর ১৭ নম্বর রোডের আবেদীন টাওয়ারে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। অন্যদিকে, দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে ২০১৬ সালের ২০ মার্চ পরপারে পাড়ি জমান দিতি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

পরিচালক হয়ে আসছেন তারকা দম্পতি সোহেল চৌধুরী-দিতির কন্যা

প্রকাশের সময় : ০১:২১:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ মে ২০২৪

বিনোদন ডেস্ক : 

চলচ্চিত্র নির্মাণে আসছেন সোনালি যুগের তারকা দম্পতি সোহেল চৌধুরী ও পারভীন সুলতানা দিতির কন্যা লামিয়া চৌধুরী। তবে অভিনয়ে আসছেন না তিনি। আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছেন পরিচালক হিসেবে।

দেড় দশক আগেই নিজের সিনেমা নিয়ে স্বপ্নের কথা মাকে জানান লামিয়া। কিন্তু দিতি চাননি তার মেয়ে মিডিয়াতে আসুক। এরপর লামিয়া চলে যান অর্থনীতি নিয়ে যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করতে। কিন্তু পড়াশোনায় মন বসে না। সিনেমা তাকে বেশি টানে।

বিষয়টি মাকে জানান তিনি। দিতিও মেয়ের সিদ্ধান্তে সায় দেন। ফিল্ম নিয়ে ক্যারিয়ার গড়তে ইকোনমিকস পড়া বাদ দিয়ে লন্ডন ফিল্ম স্কুলে ফিল্ম প্রডাকশনের ওপর ডিপ্লোমা করা শুরু করেন লামিয়া। সেখানে থেকে নির্মাণ, চিত্রনাট্য লেখা, স্টোরি টেলিং, সম্পাদনাসহ সিনেমার সব বিষয়ে শিখতে থাকেন।

সম্প্রতি এই তারকাকন্যা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিনেমা তৈরি করবেন। এরই মধ্যে শুরু করতে যাচ্ছেন প্রথম সিনেমা পরিচালনার কাজ। এ বিষয়ে দেশের একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।

লামিয়া বলেন, আমি দেশে এসেছিলাম মায়ের সঙ্গে পরিচালনার জন্য। এটাই ছিল আমার জীবনের স্বপ্ন। আমার গল্প ছিল নারীদের নিয়ে। গল্প-ভাবনা নিয়ে মা খুশি হয়েছিলেন। যতই আমি স্বপ্নের পথে এগোতে থাকি, ততই মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। মা যাওয়ার পরে একেবারে একা হয়ে পড়ি। একে আমি দেশে নতুন। অনেক কিছুই চিনি না, জানি না। আমাকে গাইড করার মতো কেউ নেই। যেন অথই এক সাগরে পড়ে যাই। পরিবারের সবকিছু ছোট বয়সেই দেখার ভার আমার ওপরে পড়ে। তখন আমি আর সিনেমা নিয়ে কাজ করতে পারিনি।

২০১৬ সালে দিতি প্রয়াত হওয়ার কয়েক বছর নানাভাবে চেষ্টা করেছেন কাজটি করার। কিন্তু বারবার হতাশ হতে হয়েছে। তত দিনে চারপাশে দেখা গল্পের চরিত্রগুলো বড় হতে থাকে। গত বছরের শুরু থেকে সিনেমাটি নিয়ে নতুন করে ভাবতে থাকেন। পাঁচ মাস ধরে সিনেমাটি নিয়ে টানা কাজ করছেন। ১০ বছর আগের সেই গল্প এখন পুরোপুরি পরিবর্তন করতে হয়েছে। নিজেই চিত্রনাট্য করেছেন।

লামিয়া বলেন, আমার এই স্বপ্নের সঙ্গে শুরু থেকে মা জড়িত। আমি বারবার চেয়েছিলাম নির্মাণ করতে। কিন্তু আমাকে সাপোর্ট করতে পারে এমন লোক পাইনি। কয়েকবার প্রজেক্টটি নিয়ে এগিয়ে গিয়েও আবার পিছপা হতে হয়েছে। সহযোগিতা পাইনি। কিন্তু আমার মনে সব সময় একটা স্বপ্ন ছিল, এই গল্পটা আমার জন্য স্পেশাল। আমাকে বানাতেই হবে। আমার সেই স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। আমি সিনেমা বানাব। মাকে ছাড়া সিনেমাটির কাজ করাটা অনেক কঠিন হবে।

লামিয়ার নির্মিতব্য এই সিনেমার নাম ‘মেয়েদের গল্প’। এই প্রজন্মের ১৮ থেকে ২৫ বছরের মেয়েদের মায়েদের সঙ্গে সম্পর্ক, প্রত্যাশা, বন্ধুত্ব, বোঝাপড়া নিয়েই এগিয়ে যাবে তিন মেয়ে ও তিন মায়ের গল্প। ইতিমধ্যে অভিনয়শিল্পী নির্বাচন, লোকেশন বাছাই, কস্টিউম ডিজাইনের কাজ শুরু করেছেন। বর্ষা মৌসুমের পরে সিনেমার শুটিংয়ে যেতে চান। ইচ্ছা রয়েছে সিনেমাটি নেটফ্লিক্সে মুক্তি দেওয়ার।

১৯৮৬ সালে সোহেল চৌধুরী অভিনেত্রী পারভীন সুলতানা দিতিকে বিয়ে করেন। তাদের দুই সন্তান আছে। ১৯৮৭ সালে জন্ম হয় লামিয়া চৌধুরীর এবং ১৯৮৯ সালে এ দম্পতির ছেলে দীপ্ত চৌধুরীর জন্ম হয়। নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে দিতি ও সোহেল চৌধুরীর দাম্পত্য জীবনের বিচ্ছেদ ঘটে।

১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর বনানীর ১৭ নম্বর রোডের আবেদীন টাওয়ারে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। অন্যদিকে, দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে ২০১৬ সালের ২০ মার্চ পরপারে পাড়ি জমান দিতি।