Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নো আমি এনজয় করছি, আমার কোনো কষ্ট নেই : এম এ মান্নান

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৩:০৬:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৪
  • ১৮৬ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দীর্ঘ ১০ বছর দায়িত্ব পালনের পর মন্ত্রণালয় থেকে বিদায় নিচ্ছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিদায় বেলায় কোনো আক্ষেপ বা কষ্ট রয়ে গেছে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেছেন, নো নো, আমি এনজয় করছি। আমার কোনো কষ্ট নেই।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। পরিকল্পনামন্ত্রী হিসেবে বৃহস্পতিবার শেষ অফিস করছেন মান্নান। বিদায়ী দিনে মন্ত্রণালয়ের অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে কুশলাদি বিনিময় করেন তিনি।

তিনি বলেন, আমি মন্ত্রী না থাকলেও সংসদে আছি। সংসদ সরকারের ওপরে। আমি দলের একজন কর্মী। আমি শেখ হাসিনার একজন কর্মী। দল যেখানে কাজে লাগাবে সেখানে কাজ করবো।

এই মন্ত্রণালয়ে নতুন যিনি মন্ত্রী হয়ে আসবেন তার প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এখানে নতুন যিনি আসবেন তিনিই আমার সহকর্মী। আমার কোনো মতামত নিলে উনাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো। তিনি আমার সরকারের বাইরের কেউ নন। নতুন যিনি আসবেন তাকে অভিনন্দন জানাই।

তিনি বলেন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে কাজের চমৎকার পরিবেশ। এখানে কাজ উপভোগ করা যায়। সবকিছুই প্রাণবন্ত। তবে এখানে একটাই চ্যালেঞ্জ, সবার প্রত্যাশা অনেক বেশি থাকে। এখানেও নানা বিধিবিধান মেনেই কাজ করতে হয়। বাস্তবিক অর্থে এখানে প্রধানমন্ত্রীই প্রধান।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রসঙ্গে এম এ মান্নান বলেন, বাংলাদেশের অনেক আর্থ-সামাজিক বিবর্তন হয়েছে। এখানে প্রকল্প পাস ও তৈরি করা হয়। এখানে সব প্রকল্পই জনকল্যাণে হয়। সবাই খুব অভিজ্ঞ ও ভালো। আগামীতেও সবাই আমরা দেশের কল্যাণে কাজ করবো।

তিনি বলেন, এখানে (পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে) একটা একাডেমিক পরিবেশ আছে। সব মিলে এই মন্ত্রণালয়ে প্রচুর কাজের পরিবেশ আছে। সাধারণ মানুষও এখন পরিকল্পনা কমিশন চেনে। গ্রামে সবাই এখন একনেক চেনে। গ্রামের মানুষ এখন উন্নয়নের সঙ্গে খুব পরিচিত।

বিদায়ী মন্ত্রী বলেন, দেশে সুশাসন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গ্রামের মানুষ খুব উন্নয়ন চায়। উন্নয়নেক সামনে এগিয়ে নিতে চায়। একনেক হলে মানুষ টেলিভিশন বা পত্রিকায় চেয়ে থাকে। কোন অঞ্চলে কী প্রকল্প পাস হয় এটা সবাই দেখতে চায়।

নতুন মন্ত্রিসভা প্রসঙ্গে এম এ মান্নান বলেন, চমৎকার মন্ত্রিসভা করেছে সরকার। প্রত্যেকে কাজের মানুষ। বাস্তবতার নিরিখে আমি এখানে কাজ করছি। এই মন্ত্রণালয়ে সবাই ভালো কাজ করে।

নতুন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আজ বৃহস্পতিবার। বঙ্গভবনে সন্ধ্যা সাতটায় নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

নো আমি এনজয় করছি, আমার কোনো কষ্ট নেই : এম এ মান্নান

প্রকাশের সময় : ০৩:০৬:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দীর্ঘ ১০ বছর দায়িত্ব পালনের পর মন্ত্রণালয় থেকে বিদায় নিচ্ছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিদায় বেলায় কোনো আক্ষেপ বা কষ্ট রয়ে গেছে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেছেন, নো নো, আমি এনজয় করছি। আমার কোনো কষ্ট নেই।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। পরিকল্পনামন্ত্রী হিসেবে বৃহস্পতিবার শেষ অফিস করছেন মান্নান। বিদায়ী দিনে মন্ত্রণালয়ের অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে কুশলাদি বিনিময় করেন তিনি।

তিনি বলেন, আমি মন্ত্রী না থাকলেও সংসদে আছি। সংসদ সরকারের ওপরে। আমি দলের একজন কর্মী। আমি শেখ হাসিনার একজন কর্মী। দল যেখানে কাজে লাগাবে সেখানে কাজ করবো।

এই মন্ত্রণালয়ে নতুন যিনি মন্ত্রী হয়ে আসবেন তার প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এখানে নতুন যিনি আসবেন তিনিই আমার সহকর্মী। আমার কোনো মতামত নিলে উনাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো। তিনি আমার সরকারের বাইরের কেউ নন। নতুন যিনি আসবেন তাকে অভিনন্দন জানাই।

তিনি বলেন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে কাজের চমৎকার পরিবেশ। এখানে কাজ উপভোগ করা যায়। সবকিছুই প্রাণবন্ত। তবে এখানে একটাই চ্যালেঞ্জ, সবার প্রত্যাশা অনেক বেশি থাকে। এখানেও নানা বিধিবিধান মেনেই কাজ করতে হয়। বাস্তবিক অর্থে এখানে প্রধানমন্ত্রীই প্রধান।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রসঙ্গে এম এ মান্নান বলেন, বাংলাদেশের অনেক আর্থ-সামাজিক বিবর্তন হয়েছে। এখানে প্রকল্প পাস ও তৈরি করা হয়। এখানে সব প্রকল্পই জনকল্যাণে হয়। সবাই খুব অভিজ্ঞ ও ভালো। আগামীতেও সবাই আমরা দেশের কল্যাণে কাজ করবো।

তিনি বলেন, এখানে (পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে) একটা একাডেমিক পরিবেশ আছে। সব মিলে এই মন্ত্রণালয়ে প্রচুর কাজের পরিবেশ আছে। সাধারণ মানুষও এখন পরিকল্পনা কমিশন চেনে। গ্রামে সবাই এখন একনেক চেনে। গ্রামের মানুষ এখন উন্নয়নের সঙ্গে খুব পরিচিত।

বিদায়ী মন্ত্রী বলেন, দেশে সুশাসন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গ্রামের মানুষ খুব উন্নয়ন চায়। উন্নয়নেক সামনে এগিয়ে নিতে চায়। একনেক হলে মানুষ টেলিভিশন বা পত্রিকায় চেয়ে থাকে। কোন অঞ্চলে কী প্রকল্প পাস হয় এটা সবাই দেখতে চায়।

নতুন মন্ত্রিসভা প্রসঙ্গে এম এ মান্নান বলেন, চমৎকার মন্ত্রিসভা করেছে সরকার। প্রত্যেকে কাজের মানুষ। বাস্তবতার নিরিখে আমি এখানে কাজ করছি। এই মন্ত্রণালয়ে সবাই ভালো কাজ করে।

নতুন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আজ বৃহস্পতিবার। বঙ্গভবনে সন্ধ্যা সাতটায় নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।