Dhaka মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সোমবার থেকে সারা দেশে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

অবৈধ ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে ফের অভিযানে নামছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) থেকে সারাদেশে একযোগে এ অভিযান পরিচালনা করা হবে। এ বিষয়ে জেলা পর্যায়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে অধিদফতর।

রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এক জরুরি ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর।

তিনি বলেন, আমরা গত বছর যেসব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নেই, মেয়াদোত্তীর্ণ এবং অনিয়ম করছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছি। ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে ফের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের তথ্য পাচ্ছি। যারা এসব অনিয়মের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আমরা আবারো ব্যবস্থা নেব। আগামীকাল থেকে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ফের অভিযানে নামবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। একযোগে সারাদেশে এ অভিযান পরিচালিত হবে।

আহমেদুল কবীর বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত সব রোগীর জন্য নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) প্রয়োজন হয় না। তারপরও কিছু ক্লিনিক যাদের আইসিইউ সুবিধা নেই, তবুও রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে তারা আইসিইউতে রাখে। এসব বিষয়ে অধিদপ্তর নজর রাখছে। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, কিছু ক্লিনিক এবং হাসপাতাল মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে রোগীকে হাসপাতালে রাখছে এবং আইসিইউতে নিচ্ছে। এসব হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে এবং যেসব হাসপাতাল ও ক্লিনিকের নিবন্ধন নেই কিংবা মেয়াদোত্তীর্ণ সেসব হাসপাতালের বিরুদ্ধেই আমাদের অভিযান পরিচালিত হবে। আমরা আমাদের রোগীদের জিম্মি করে কোনো অসাদু চক্রকে লাভবান হতে দেব না। যারা এ ধরনের কাজ করছে তারা দেশপ্রেমিক না।

ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু সংক্রমণ পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঢাকার তুলনায় ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ডেঙ্গু বিষয়ে যে গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে সেটি প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। অযথা কাউকে ঢাকামুখী না করা হয় সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সব এলাকায়ই চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সারাদেশের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি।

ডেঙ্গু রোগীদের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আইভি ফ্লুইড দেওয়া উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিছু অসাদু ব্যবসায়ী এই সময়ে এসে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করে থাকে। আমরা সিভিল সার্জনদের নির্দেশনা দিয়েছি কেউ যদি স্যালাইনের দাম বেশি রাখে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আমাদের স্যালাইনের সংকট হয়নি। বাংলাদেশে পেঁয়াজের মজুদ থাকলেও সংকট দেখা দেয়। আর্টিফিশিয়াল যে সংকট তৈরি করতে চায় তা যেন না করতে পারে সেজন্য ব্যবস্থা হিসেবে আমরা বিদেশ থেকে আমদানি করছি। আমরা ৩ লাখ স্যালাইন আমদানি করছি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন সড়কের বেহাল দশা, চলাচলে চরম ভোগান্তি

সোমবার থেকে সারা দেশে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অভিযান

প্রকাশের সময় : ০৪:৪৩:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

অবৈধ ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে ফের অভিযানে নামছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) থেকে সারাদেশে একযোগে এ অভিযান পরিচালনা করা হবে। এ বিষয়ে জেলা পর্যায়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে অধিদফতর।

রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এক জরুরি ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর।

তিনি বলেন, আমরা গত বছর যেসব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নেই, মেয়াদোত্তীর্ণ এবং অনিয়ম করছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছি। ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে ফের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের তথ্য পাচ্ছি। যারা এসব অনিয়মের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আমরা আবারো ব্যবস্থা নেব। আগামীকাল থেকে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ফের অভিযানে নামবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। একযোগে সারাদেশে এ অভিযান পরিচালিত হবে।

আহমেদুল কবীর বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত সব রোগীর জন্য নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) প্রয়োজন হয় না। তারপরও কিছু ক্লিনিক যাদের আইসিইউ সুবিধা নেই, তবুও রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে তারা আইসিইউতে রাখে। এসব বিষয়ে অধিদপ্তর নজর রাখছে। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, কিছু ক্লিনিক এবং হাসপাতাল মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে রোগীকে হাসপাতালে রাখছে এবং আইসিইউতে নিচ্ছে। এসব হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে এবং যেসব হাসপাতাল ও ক্লিনিকের নিবন্ধন নেই কিংবা মেয়াদোত্তীর্ণ সেসব হাসপাতালের বিরুদ্ধেই আমাদের অভিযান পরিচালিত হবে। আমরা আমাদের রোগীদের জিম্মি করে কোনো অসাদু চক্রকে লাভবান হতে দেব না। যারা এ ধরনের কাজ করছে তারা দেশপ্রেমিক না।

ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু সংক্রমণ পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঢাকার তুলনায় ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ডেঙ্গু বিষয়ে যে গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে সেটি প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। অযথা কাউকে ঢাকামুখী না করা হয় সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সব এলাকায়ই চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সারাদেশের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি।

ডেঙ্গু রোগীদের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আইভি ফ্লুইড দেওয়া উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিছু অসাদু ব্যবসায়ী এই সময়ে এসে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করে থাকে। আমরা সিভিল সার্জনদের নির্দেশনা দিয়েছি কেউ যদি স্যালাইনের দাম বেশি রাখে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আমাদের স্যালাইনের সংকট হয়নি। বাংলাদেশে পেঁয়াজের মজুদ থাকলেও সংকট দেখা দেয়। আর্টিফিশিয়াল যে সংকট তৈরি করতে চায় তা যেন না করতে পারে সেজন্য ব্যবস্থা হিসেবে আমরা বিদেশ থেকে আমদানি করছি। আমরা ৩ লাখ স্যালাইন আমদানি করছি।