চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ফৌজদারহাট-বায়েজিদ ফ্লাইওভারে কাজ করার সময় ক্রেন ভেঙে একটি বিশালাকৃতির গার্ডার রেললাইনের ওপর পড়ে গেছে। এতে বন্ধ হয়ে গেছে চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে ঢাকার পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের রেলপথ। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বন্দরের সাথে রেল যোগাযোগ।
এ সময় ঘটনাস্থলে ঠিকাদারদের কয়েকজন প্রকৌশলী ও বেশ কিছু নির্মাণ শ্রমিক থাকলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে গার্ডারটি দ্রুত সরিয়ে নিতে কাজ করছেন তারা।
স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাটের সাথে চট্টগ্রামের যোগাযোগ সহজ করতে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকবছর ধরে সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট-বায়েজিদ ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে এই কাজ অনেকটা এগিয়ে গিয়ে একেবারে শেষ প্রান্তে এসে পৌঁছেছে।
গত প্রায় এক বছর ধরে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ছাড়াই এই পথে চট্টগ্রাম যাতায়াত করছেন যাত্রীরা। মহাসড়ক থেকে অল্প সময়ে চট্টগ্রামের জিইসি, বহদ্দারহাট কিংবা কক্সবাজার সড়কে অল্প সময়ে যাতায়াত সম্ভব হওয়ায় পথটি এর মধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন : ডাক্তার দেখাতে গিয়ে একই পরিবারের ৬জন নিহত
অন্যদিকে শেষপ্রান্তে এসে অবশিষ্ট কাজ সম্পন্ন করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন এই ফ্লাইওভার নির্মাণের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্পেক্টা ইঞ্জিরিয়ারিং লিমিটেড। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার দুপুরে এই প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী ও নির্মাণ শ্রমিকরা ফৌজদারহাট কালুশাহনগর এলাকায় দুটি ক্রেনের সাহায্যে একটি ৯০ টন ওজনের গার্ডার স্থাপনের কাজ করার সময় বেলা ২টা ৪৫ মিনিটে পূর্বদিকের ক্রেনের নিচের মাটি দেবে গেলে ক্রেনটির মাথার একটি অংশ ভেঙে যায়।
এতে গার্ডারটি পড়ে যায় নিচ দিয়ে যাওয়া চট্টগ্রাম বন্দর-ঢাকার সংযোগ রেললাইনের ওপর। ফলে দুপুর থেকেই চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ঢাকার পণ্যবাহী ট্রেন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত গাডারটিকে ওই রেললাইন থেকে সরানো যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গার্ডারটি সরিয়ে নেবার কাজে ব্যস্ত থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্পেক্টা ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের ডেপুটি প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা দুটি ৩০০ টন ওজন বহনে সক্ষম দুটি ক্রেন দিয়ে ৯০ টন ওজনের গার্ডারটি তোলার কাজ করছিলাম। কিন্তু একটি ক্রেনের মুখ ভেঙে গিয়ে গার্ডারটি পড়ে গেছে।
তিনি বলেন, এটি সরিয়ে নিতে কাজ চলছে। তিনি আশা করছেন, সন্ধ্যার মধ্যেই এটি সরিয়ে নেওয়া যাবে। তাহলে আবারো চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ঢাকাগামী পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করতে পারবে। এ ঘটনায় কোনো কেউ হতাহত হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।