স্পোর্টস ডেস্ক :
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে এবার চমকের পর চমক দেখিয়েছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। প্রথম পর্বে আবাহনীর পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পয়েন্ট নিয়ে সুপার লিগে জায়গা করে নেয় তারা। সুপার লিগেও প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছিল দলটি। তবে সুপার লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে এসে হোঁচট খেতে হল তাদের।
ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছিলেন শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের ওপেনার জিশান আলম। কিন্তু ক্যারিয়ারের প্রথম লিস্ট এ সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়েও সুযোগ হাতছাড়া করেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে বিশ্বকাপ খেলা এ ব্যাটার। উদীয়মান এ ক্রিকেটারের মাইলফলক মিসের দিনে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের ব্যাটার ফজলে মাহমুদ রাব্বি। তার অনবদ্য ব্যাটিংয়ে শাইনপুকুরকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে ধানমন্ডির ক্লাবটি।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে আগে ব্যাট করতে নেমে জিশানের তাণ্ডবের পরেও ৪৬.১ ওভারে ২৬৪ রান তুলে অলআউট হয় শাইনপুকুর।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে এদিন রীতিমতো ঝড় তোলেন দুই ওপেনার। পাওয়ার প্লের ১০ ওভারেই ১০১ রান তোলে কোনো উইকেট হারায়নি শাইনপুকুর। মাত্র ২৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন জিশান আলম।
এই ব্যাটার লিস্ট এ ক্রিকেটে নিজের প্রথম সেঞ্চুরিটি মিস করেন অল্পের জন্য। তাইবুর রহমানের বলে এলডিবব্লিউ হওয়ার আগে ৮ চার ও সমান ছক্কায় ৬১ বলে ৯৮ রান করেন তিনি। লেগ স্পিনার মেহেদী হাসান সোহাগের বলে আগেই আউট হন আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর আকবর আলী ছাড়া আর কোনো ব্যাটারই সেভাবে রান করতে পারেননি। ৪ চার ৩ ছক্কায় ৮৩ বলে ৬৪ রান করেন আকবর। শেখ জামালের হয়ে ১০ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তাইবুর রহমান। দুটি উইকেট পান মেহেদী হাসান সোহাগ,জিয়াউর রহমান ও রবিউল ইসলাম।
২৬৫ রান তাড়া করতে নেমে ওপেনার সাইফ হাসানের ফিফটি ও তিনে নামা ফজলে মাহমুদ রাব্বির সেঞ্চুরিতে ৪৬.২ ওভারেই লক্ষ্য পৌঁছে যায় শেখ জামাল।
নাহিদ রানার বলে তানজিদ হাসান তামিমের ক্যাচ হওয়ার আগে ৬৭ রান করেন সাইফ। অন্যদিকে সমান ছয়টি করে চার-ছক্কায় ১০১ রানের হার না মানা ইনিংসে দলকে জিতিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন ফজলে মাহমুদ।
এই হারে শিরোপার স্বপ্ন ফিকে হয়ে গেল শাইনপুকুরের। অন্যদিকে শিরোপার দৌড়ে না থাকলেও সুপার লিগে প্রথম জয়ের উৎসব করছে শেখ জামাল।