রাজধানীর উত্তরার জসিমউদ্দিন এলাকায় বাস র্যাপিড ট্রানজিট সিস্টেম’র (বিআরটি) গার্ডার ভেঙে প্রাইভেট কারের ওপর পড়ে চারজন নিহত হয়েছেন। সোমবার (১৫ই আগস্ট) বিকেলের দিকে গার্ডারটি ভেঙে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন, প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল ইসলাম।
জানা গেছে, প্রাইভেটকারে একই পরিবারের সাত সদস্য ছিলেন। নিহতরা হলেন- রুবেল (৬০), ফাহিমা (৪০), ঝরনা (২৮), ঝরনার দুই সন্তান জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)। ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। শুধু বেঁচে গেছেন হৃদয় ও রিয়া মনি নামের নবদম্পতি। তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এ হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী মরহুমদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও তাঁদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।
ট্রাফিক পুলিশের উত্তরা বিভাগের সহকারি কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল মালিক বলেন, উত্তরার জসিমউদ্দিন এলাকায় উড়াল সড়কের একটি গার্ডার ক্রেনে করে স্থানান্তর করার সময় ক্রেনটি ভারসাম্য হারিয়ে একদিকে কাত হয়ে যায়। এসময় ওই গার্ডারটি চলতে থাকা একটি প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে যায়। প্রকাণ্ড এই গার্ডারের চাপে থেতলে যায় ঢাকা মেট্রো গ-২২-৬০০৮ নম্বরের প্রাইভেটকারটি। গাড়িতে থাকা হৃদয় (২৬) ও রিয়া মনি (২১) নামের ২জনকে আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়।
উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসীন জানান, চারজনের লাশ গাড়ির ভেতরেই চাপা পড়ে রয়েছে। এছাড়া দুজনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, প্রাইভেটকারটি গাজীপুর যাচ্ছিল।
ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার দেওয়ান আজাদ হোসেন জানান, ক্রেন দিয়ে গার্ডারটি উঠানোর কাজ চলতেছিল। প্রাইভেটকার নিচ দিয়ে যাচ্ছিল। তখন গার্ডারটি ছিটকে গাড়ির ওপরে পড়ে যায়। যাতে ঘটে এ দুর্ঘটনা।
জানা গেছে, শরীয়তপুর সদরের ঢালী বাজার এলাকার বাসিন্দা রিয়া মনির সঙ্গে হৃদয়ের বিয়ে হয় গত শনিবার। আজ কাওলায় হৃদয়দের বাড়িতে ছিল বউভাতের অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান শেষে রিয়ার বাবা মো. রুবেল গাড়ি চালিয়ে তাদের আশুলিয়ার খেজুরবাগানে রিয়াদের বাসায় পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন। এ সময় দুর্ঘটনা ঘটে। আহত হৃদয় ও রিয়ামনি এখন রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।