Dhaka বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ১২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পৃথক তিন হত্যা মামলায় আনিসুল-কামরুল-পলক-সালমানসহ ৬ জন গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জুলাই আন্দোলনকেন্দ্রিক যাত্রাবাড়ী থানার পৃথক তিন মামলায় আনিসুল হক, কামরুল ইসলাম, জুনাইদ আহমেদ পলক, সালমান এফ রহমানসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

বুধবার (২৭ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

এদের মধ্যে আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, জুনাইদ আহমেদ পলক এবং যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসানকে স্টিলের দোকানের কর্মচারী রাসেল মিয়া হত্যা মামলায়, মেহেদী হাসান প্রান্ত হত্যা মামলায় কামরুল ইসলামকে এবং ইমরান হাসান হত্যা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব চৌধুরী জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার এসআই মো. ফকরুল হাসান ফারুক, জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন একই থানার এসআই মো. নাহিদ হাসান। অন্য চার আসামিকে যাত্রাবাড়ী থানার এসআই মোহাম্মদ জহির উদ্দিন গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন।

আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানির দিন বুধবার ধার্য করেন। এদিন শুনানিকালে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালত তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শামসুদ্দোহা সুমন।

রাসেল হত্যা মামলার বিবরণী থেকে, জুলাই আন্দোলনের সময় ১৯ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানাধীন কুতুবখালী পকেট গেট সংলগ্ন এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেন রাসেল মিয়া। বিকেলে আসামিদের ছোড়া গুলিতে আহত হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের বোন আকলিমা আক্তার ৩০ জুন যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন।

মেহেদী হাসান প্রান্ত হত্যা মামলার বিবরণী থেকে, ১৯ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানাধীন রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ডে রাস্তার ওপর বৈষম্যবিরোধী মিছিলে অংশ নেন প্রান্ত। সেখানে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। তাকে হাসপাতালে নেওয়া চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় তার চাচা নাদিম ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৯৪ জনের নামে মামলাটি দায়ের করেন৷

ইমরান হত্যা মামলার বিবরণী থেকে, জুলাই আন্দোলনের শেষ দিন অর্থাৎ ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও পুলিশ বাহিনী আন্দোলনকারীদের ওপর নির্বিচারে গুলি করে। এতে ইমরান হাসান গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। গত ১ সেপ্টেম্বর তার মা কোহিনুর আক্তার বাদী হয়ে শেখ হাসিনাসহ ২৯৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পৃথক তিন হত্যা মামলায় আনিসুল-কামরুল-পলক-সালমানসহ ৬ জন গ্রেপ্তার

প্রকাশের সময় : ০১:১৬:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

জুলাই আন্দোলনকেন্দ্রিক যাত্রাবাড়ী থানার পৃথক তিন মামলায় আনিসুল হক, কামরুল ইসলাম, জুনাইদ আহমেদ পলক, সালমান এফ রহমানসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

বুধবার (২৭ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

এদের মধ্যে আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, জুনাইদ আহমেদ পলক এবং যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসানকে স্টিলের দোকানের কর্মচারী রাসেল মিয়া হত্যা মামলায়, মেহেদী হাসান প্রান্ত হত্যা মামলায় কামরুল ইসলামকে এবং ইমরান হাসান হত্যা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব চৌধুরী জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার এসআই মো. ফকরুল হাসান ফারুক, জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন একই থানার এসআই মো. নাহিদ হাসান। অন্য চার আসামিকে যাত্রাবাড়ী থানার এসআই মোহাম্মদ জহির উদ্দিন গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন।

আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানির দিন বুধবার ধার্য করেন। এদিন শুনানিকালে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালত তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর শামসুদ্দোহা সুমন।

রাসেল হত্যা মামলার বিবরণী থেকে, জুলাই আন্দোলনের সময় ১৯ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানাধীন কুতুবখালী পকেট গেট সংলগ্ন এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেন রাসেল মিয়া। বিকেলে আসামিদের ছোড়া গুলিতে আহত হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের বোন আকলিমা আক্তার ৩০ জুন যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন।

মেহেদী হাসান প্রান্ত হত্যা মামলার বিবরণী থেকে, ১৯ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানাধীন রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ডে রাস্তার ওপর বৈষম্যবিরোধী মিছিলে অংশ নেন প্রান্ত। সেখানে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। তাকে হাসপাতালে নেওয়া চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় তার চাচা নাদিম ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৯৪ জনের নামে মামলাটি দায়ের করেন৷

ইমরান হত্যা মামলার বিবরণী থেকে, জুলাই আন্দোলনের শেষ দিন অর্থাৎ ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও পুলিশ বাহিনী আন্দোলনকারীদের ওপর নির্বিচারে গুলি করে। এতে ইমরান হাসান গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। গত ১ সেপ্টেম্বর তার মা কোহিনুর আক্তার বাদী হয়ে শেখ হাসিনাসহ ২৯৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।