টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি :
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নের মেঘনা বনগ্রাম বাজার থেকে কাওনহোলা হয়ে ধুবড়িয়া ইউনিয়নের সেহরাইল সড়কে কাওনহোলা খালের ওপর বাঁশের সাঁকোটি। এটি টাঙ্গাইলের নাগরপুর ও মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার সংযোগস্থলও বটে। কয়েক বছর আগে স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত ২৬০ ফুট লম্বা এই সাঁকো বর্তমানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এর ওপর দিয়ে চলাচল করা বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।
এই সাঁকো দিয়েই প্রতিদিন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ যাতায়াত করে। রোগী পরিবহনেও রয়েছে চরম ঝুঁকি। প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটে। একটি সেতুর অভাবে দুই উপজেলার অন্তত ২২টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তি পোহাচ্ছে। নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন সময়ে সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও ভোট শেষে আর কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেয় না। বাধ্য হয়ে এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে ও নিজেদের অর্থায়নে বাঁশের সাঁকো তৈরি করেন। বর্তমানে সেটিও নড়বড়ে। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
ভাদ্রা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য লুৎফর রহমান বাবুল বলেন, ২০১৯ সালে এলাকাবাসীর উদ্যোগে বাঁশ-কাঠের সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এখন সেটিই মানুষের একমাত্র ভরসা। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতুর কারণে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিষয়টি আমরা একাধিকবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানিয়েছি।
ভাদ্রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শওকত হোসেন বলেন, কাওনহোলা খালের ওপর বাঁশের সাঁকো এখন এই অঞ্চলের মানুষের জন্য গলার কাঁটা। এখানে পাকা সেতু না থাকায় প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়ছে পথচারীরা। ইউনিয়ন পরিষদের সামান্য বরাদ্দ আর এলাকাবাসীর সহায়তায় অস্থায়ী সাঁকো নির্মাণ করা হলেও এর অবস্থা এখন অত্যন্ত নাজুক।
উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) তোরাপ আলী বলেন, ধুবড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বনগ্রাম বাজার হয়ে সেহরাইল পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার ৩০০ মিটার সড়ক উন্নয়ন এবং কাওনহোলা খালের ওপর ৪০ মিটার দীর্ঘ গার্ডার সেতু নির্মাণের প্রাক্কলন করা হয়েছে। এই প্রস্তাব এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে দরপত্র আহ্বান করে দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।