Dhaka মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাস্তা না থাকায় কাজেই আসছে না লাখ টাকার সেতু

ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি : 

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় খাল ছাড়াই একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এতে নেই কোনো রাস্তা। তাই কোনো কাজেই আসছে না কয়েক লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি। দীর্ঘদিন আগে নির্মিত সেতুটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকায় এর আয়ুকালও কমছে।

উপজেলার কুশঙ্গল ইউনিয়নে ফয়রা এলাকায় প্রায় ৫ বছর ধরে অনুপোযোগী হয়ে পড়ে আছে এই সেতুটি। সংযোগ সড়ক না থাকায় ব্যবহৃত হচ্ছে না এটি।

সরেজমিন দেখা যায়, সেতুটির পূর্ব পাশে ইটের সলিং রয়েছে যেটি দিয়ে মানুষ চলাচল করে এবং কোনো খাল ছাড়াই সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া যে বক্স কালভার্টগুলো করা হয়েছে সেগুলোতে খাল নেই।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) নলছিটি উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিঝেপি প্রজেক্টের আওতায় ৪ কোটি ৪৭ লাখ ৯৮ হাজার টাকা ব্যয়ে শিমুলতলা বাজার থেকে মানপাশা পর্যন্ত রাস্তা ও ৮টি বক্স কালভার্ট ও ১টি সেতু নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের মে মাসে। মহিউদ্দিন আহমেদ নামে এক ঠিকাদারের সঙ্গে এ চুক্তি হয়। মূল ঠিকাদার কাজটির জন্য ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলনকে সাব ঠিকাদার নিয়োগ দেন। ২০২০ সালের জুন মাসে কাজটি সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও এই সময়ে মূল সেতু ও কিছু বক্স কালভার্ট নির্মাণ সম্পন্ন হলেও নির্মাণ করা হয়নি সড়কটি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সেতুটি কোনো খাল ছাড়াই নির্মাণ করা হয়। এটা নিছক সরকারি অর্থ অপচয় করা ছাড়া আর কিছু নয়। এত টাকা দিয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হলেও সেটি কোনো উপকারে আসছে না।

নলছিটির এলজিইডি দায়িত্বরত প্রকৌশলী ইকবাল কবির বলেন, আমি যোগদান করার আগে এটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে এটি আরেকটি প্রজেক্টে দেওয়া হয়েছে। যদি অনুমোদন হয় তাহলে রাস্তার কাজ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

রাস্তা না থাকায় কাজেই আসছে না লাখ টাকার সেতু

প্রকাশের সময় : ০২:৪০:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি : 

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় খাল ছাড়াই একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এতে নেই কোনো রাস্তা। তাই কোনো কাজেই আসছে না কয়েক লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি। দীর্ঘদিন আগে নির্মিত সেতুটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকায় এর আয়ুকালও কমছে।

উপজেলার কুশঙ্গল ইউনিয়নে ফয়রা এলাকায় প্রায় ৫ বছর ধরে অনুপোযোগী হয়ে পড়ে আছে এই সেতুটি। সংযোগ সড়ক না থাকায় ব্যবহৃত হচ্ছে না এটি।

সরেজমিন দেখা যায়, সেতুটির পূর্ব পাশে ইটের সলিং রয়েছে যেটি দিয়ে মানুষ চলাচল করে এবং কোনো খাল ছাড়াই সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া যে বক্স কালভার্টগুলো করা হয়েছে সেগুলোতে খাল নেই।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) নলছিটি উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিঝেপি প্রজেক্টের আওতায় ৪ কোটি ৪৭ লাখ ৯৮ হাজার টাকা ব্যয়ে শিমুলতলা বাজার থেকে মানপাশা পর্যন্ত রাস্তা ও ৮টি বক্স কালভার্ট ও ১টি সেতু নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের মে মাসে। মহিউদ্দিন আহমেদ নামে এক ঠিকাদারের সঙ্গে এ চুক্তি হয়। মূল ঠিকাদার কাজটির জন্য ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলনকে সাব ঠিকাদার নিয়োগ দেন। ২০২০ সালের জুন মাসে কাজটি সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও এই সময়ে মূল সেতু ও কিছু বক্স কালভার্ট নির্মাণ সম্পন্ন হলেও নির্মাণ করা হয়নি সড়কটি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সেতুটি কোনো খাল ছাড়াই নির্মাণ করা হয়। এটা নিছক সরকারি অর্থ অপচয় করা ছাড়া আর কিছু নয়। এত টাকা দিয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হলেও সেটি কোনো উপকারে আসছে না।

নলছিটির এলজিইডি দায়িত্বরত প্রকৌশলী ইকবাল কবির বলেন, আমি যোগদান করার আগে এটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে এটি আরেকটি প্রজেক্টে দেওয়া হয়েছে। যদি অনুমোদন হয় তাহলে রাস্তার কাজ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।