নিজস্ব প্রতিবেদক :
সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
তিনি বলেন, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।
জাকির হোসেন ১৯৭৭ সালে ছাত্রলীগে যোগদান করে ১৯৮১ সালে কুড়িগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হন। তিনি ২০১৫ সাল থেকে রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৪ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জাকির হোসেন। এরপর ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসন থেকে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০১৯ সালে জাকির হোসেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হন।
অভিযোগ রয়েছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিষয়ক সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের ঢাকার মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবন ছিল ঘুষ লেনদেনের ‘হাট-বাজার’। প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পিয়ন থেকে শিক্ষক পর্যন্ত নিয়োগ ও প্রকল্পের ঘুষের টাকা লেনদেন হতো ওই ভবনে বসেই। তার স্ত্রী ও ভাগিনাসহ নিকট আত্মীয়রা ছিল দুর্নীতির মাধ্যম। গত বছরের ডিসেম্বরে বাধ্য হয়ে ঘুষের টাকা ফেরতও দিতে হয়েছিল জাকির সিন্ডিকেটকে।
কুড়িগ্রাম থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।
অবৈধ সম্পদের বিষয়ে জানা যায়, নামে-বেনামে তার ঢাকায় একাধিক বাড়ি, রংপুরে বাড়ি, কুড়িগ্রাম জেলা শহরে বহুতল বাড়ি, রৌমারীতে দুটি বাড়ি এবং রাজিবপুর উপজেলায়ও রয়েছে একটি বাড়ি। চারটি মার্কেট, সরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি দখল করে ৫টি স্থানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন। মিল, চাতাল, খামারবাড়ি-সবই আছে তার। যার মূল্য কয়েকশ কোটি টাকা। এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীরা জানান, সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি ও তার আশীর্বাদপুষ্টরা অনেক ভূমি ও সম্পদ দখলের ঘটনায় জড়িয়েছেন।