নিজস্ব প্রতিবেদক :
এডিস মশাবাহী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯৩ জনে। এসময় নতুন করে ৯৮১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৬০ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৫৯ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১৯৬ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১৮০ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৫ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৭ জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৭ জন, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩০ জন, সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) চারজন রয়েছেন।
১ জানুয়ারি থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে মোট ৩৮ হাজার ৭৮৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, যার মধ্যে ৬৩ দশমিক ৩০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৭০ শতাংশ নারী। মৃত ১৯৩ জনের মধ্যে ৫০ দশমিক ৩০ শতাংশ নারী এবং ৪৯ দশমিক ৭০ শতাংশ পুরুষ।
প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গেল বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছিলেন, যার মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।
সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন ডেঙ্গুতে মারা যান, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বাধিক মৃত্যু।
২০১৯ সালে এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং প্রায় ৩০০ জন মারা গিয়েছিলেন। ২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে ডেঙ্গুর সংক্রমণ কম ছিল, কিন্তু ২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন এবং ১০৫ জন মারা যান। ২০২২ সালে ডেঙ্গুর জন্য মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, যার মধ্যে ২৮১ জন মারা গিয়েছিলেন।