বিনোদন ডেস্ক 
বিশ্বনন্দিত পপ তারকা ব্রিটনি স্পিয়ার্স। করোনাকালীন বেশির ভাগ সময় ঘরেই সময় কাটাচ্ছেন। ইন্সটাগ্রামে নিয়মিতই ছবি ও ভিডিও শেয়ার করছেন। শুধু তাই নয়, অনেকটাই বেপরোয়া রূপে ছবি-ভিডিওতে দেখা মেলে এ তারকার। এতে করে ভক্তদের সমালোচনার মুখে পড়েছেন।
কখনো বিকিনি পরে আবার কখনো সুইমস্যুটে ঝলক দেখান তিনি। কখনো আবার টপলেস হয়ে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গিতে বিভিন্ন ধরনের কথাও বলেন। ইদানীং খোলামেলা হয়ে নাচ কিংবা ফান ভিডিও এবং ছবিও শেয়ার করছেন ব্রিটনি।
এসবের বিপরীতে ব্রিটনি ভক্তদের প্রশংসামূলক মন্তব্য যেমন আছে, তেমনি সমালোচকরা সমালোচনা করতেও ছাড়েননি ৩৮ বছর বয়সী এ তারকাকে।
মধ্যে ব্রিটনি বেশ মানসিক অবসাদের মধ্যে ছিলেন। ২০০৭ সালে স্বামী কেভিন ফেডারলাইনের সঙ্গে বিয়ে বিচ্ছেদের পর মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। সে সময় মেয়ের ব্যক্তিগত জীবন ও অর্থসম্পত্তি দেখাশোনার জন্য আইনি তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে নিযুক্ত হন বাবা জেমি স্পিয়ার্স।
আরও পড়ুন : করোনায় আক্রান্ত অপূর্ব আইসিইউতে চিকিৎসাধীন
প্রায় ১২ বছর ধরে তিনি ব্রিটনি ও তার সম্পত্তির নিয়ন্ত্রণে নিযুক্ত। গত আগস্টে জেমির দায়িত্ব শেষ হয়। ব্রিটনিও জেমির দায়িত্বের মেয়াদ বাড়াতে চান না। লস অ্যানজেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া আদালতে করা ব্রিটনি আপিলের নথিতে তার ব্যক্তিগত জীবনের নিয়ন্ত্রক হিসেবে বাবা জেমির ফিরে আসার বিরোধিতা করে স্টেটমেন্ট দিয়েছেন।
তিনি উল্লেখ করেছেন, তাকে মানসিক রোগী সাজিয়ে অর্থসম্পদ কুক্ষিগত করার ষড়যন্ত্র করেছেন বাবা জেমি।
সম্প্রতি ব্রিটনি এক ভিডিওতে জানিয়েছেন, তিনি মানসিকভাবে অনেক বেশি সুস্থ। সুতরাং তার সম্পত্তি তিনি নিজেই দেখভাল করার জন্য প্রস্তুত।
