নিজস্ব প্রতিবেদক 
রাজধানীর প্রায় অর্ধেক মানুষই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে ২৪ শতাংশের বয়স ৬০ বছরের বেশি। ১৮ শতাংশের বয়স ১৫ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে।
এ ছাড়া চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতেই বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছিল। ভাইরাসটির জিন গবেষণা করে এমনটিই অনুমান করছেন গবেষকরা।
সোমবার বিকালে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে দেশে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি ও জিন রূপান্তর (মিউটেশন) নিয়ে গবেষণার এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের দাতা সংস্থা ইউএসএআইডি এবং বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহযোগিতায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) ও আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) যৌথভাবে এই গবেষণা করে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার সভাপতিত্বে গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করেন আইইডিডিআর ও আইসিডিডিআরবি’র গবেষক ও বিজ্ঞানীরা। অনুষ্ঠানে অনলাইনে যোগ দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক।
আরও পড়ুন : করোনায় বিমানবাহিনীর জরুরি পরিবহন সেবা
গবেষণায় দেখা যায়, করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে ২৪ শতাংশের বয়স ৬০ বছরের বেশি। ১৮ শতাংশের বয়স ১৫ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। রাজধানীর ঢাকা শহরের বস্তির প্রায় তিন চচুর্থাংশ মানুষ এরই মধ্যে সংক্রমিত হয়েছেন। রক্ত পরীক্ষায় দেখা গেছে ৪৫ শতাংশ নগরবাসী করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কিন্তু তাদের মধ্যে কোনো উপসর্গ দেখা দেয়নি।
গবেষণায় দৈবচয়ন পদ্ধতিতে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ১২৯টি ওয়ার্ড থেকে ২৫টি ওয়ার্ড বেছে নেয়া হয়। প্রতি ওয়ার্ড থেকে একটি মহল্লা বাছাই করা হয়। প্রতি মহল্লা থেকে ১২০টি খানা জরিপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এছাড়া ৮টি বস্তিকে গবেষণায় যুক্ত করা হয়েছিল।
এপ্রিল থেকে জুলাই মাসের মধ্যে সাধারণ পরিবার এবং জুলাই থেকে আগস্টে বস্তির পরিবারের নমুনা নেয়া হয়।
ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ, চিকিৎসা ও টিকা দেয়ার ব্যাপারে এসব তথ্য কাজে লাগবে বলে জানান গবেষকরা।
