Dhaka বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অভিনেত্রী তিশার কণ্ঠে গান

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১০:২৭:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ১৯২ জন দেখেছেন

বিনোদন ডেস্ক : 

অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশার শুরু শিশুশিল্পী হিসেবে। তবে অভিনয় না, সে যাত্রায় সঙ্গী ছিল গান। একটি ব্যান্ডও গঠন করেছিলেন এ অভিনেত্রী। সেই ব্যান্ডের অ্যালবাম প্রকাশ করেছিলেন।

এরপর কেটে গেছে দেড় দশক। অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় সুর নিয়ে খেলা করা হয়নি তিশার। নতুন খবর হচ্ছে, লম্বা বিরতি ভেঙে এবার ফের কণ্ঠে গান তুলে নিয়েছেন তিশা। সামাজিক মাধ্যমে এ খবর অভিনেত্রী নিজেই জানিয়েছেন।

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নির্মিত ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’র টাইটেল গানে কণ্ঠ দিয়েছেন অভিনেত্রী তিশা। ‘অটোবায়োগ্রাফি’ শিরোনামে এই গানটি লিখেছেন ইশতিয়াক আহমেদ। সুর ও সংগীতায়োজন করছেন পাভেল অরিন। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে চরকিতে রিলিজ হয়েছে গানটি।

তার আগে একটি ছোট্ট তথ্য যোগ করা প্রয়োজন। ছোটবেলা থেকে মূলত গান করতেন তিশা। গানে তার দখল, স্বীকৃতিও ছিল বেশ। বিটিভির ‘নতুন কুঁড়ি’র শৈশব পেরিয়ে তারুণ্যে গড়েছেন একটি ব্যান্ডও। ‘অ্যাঞ্জেল ফোর’ নামের সেই ব্যান্ডের সদস্য হলো চার বন্ধু- তিশা, রুমানা, কণা ও নাফিজা (প্রয়াত)। প্রকাশ হয়েছে তাদের অ্যালবামও। এরপর শখের বশেই অভিনয়ে পা রাখেন। আর এটাই হয়ে যায় তার মূল পেশা।

গানটির বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে তিশা বলেন, ‘দীর্ঘ ১৫ বছর পর গাইলাম। ছোট সময়ে গান গাওয়া হলেও এখন শুধু অভিনয় করি আমি। সিনেমাটির সঙ্গে আমাদের অনেক আবেগ জড়িত। গানটি লেখা ও সুরের পর আমি গাইতে চাইলে সেই সুযোগ আমাকে দেওয়া হয়’।

গান গাওয়ার ক্ষেত্রে দেড় দশকের বিরতি ভাঙার পেছনে ভাবনাটা কেমন ছিল তাহলে? অভিনেত্রীর জবাব, আসলে ‘অটোবায়োগ্রাফি’ আমার আর সরয়ারের খুব ব্যক্তিগত একটা ছবি। তো যখন এই গানটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল, লেখা-সুর হলো; শোনার পর আমার কাছে মনে হয়েছে, গানটি আমি ভালো গাইতে পারবো। সেই সুবাদে গাওয়া। নিজের আত্মবিশ্বাস ছিল যে মানুষের ভালো লাগবে। এখন প্রকাশের পর দেখছি, প্রত্যাশার চেয়েও বেশি ভালোবাসা পাচ্ছি।

গান নিয়ে তো দূর, কোনও বিষয়েই আগাম চিন্তা করতে চান না তিশা। কারণ, তিনি মনে করেন জীবন অনিশ্চিত। সুতরাং ভবিষ্যতে আবার কবে গান করবেন, এ নিয়ে এখনই কিছু ভাবছেন না।

গানটি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করেছেন তিশা। পোস্টের মন্তব্যের ঘরে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। একজন লিখেছেন, ‘সর্ব গুণে সম্পূর্ণ আপু’। আরেকজন লিখেছেন, ‘শব্দ, কথা, সুর, কণ্ঠ—সব মিলিয়ে অসাধারণ গান শুনলাম। নুসরাত ইমরোজ তিশা খুব ভালো অভিনেত্রী, পাশাপাশি এই গানের মাধ্যমে প্রমাণিত সে অসম্ভব ভালো গায়িকা। নিঃসন্দেহে সে আমার পছন্দের মানুষ।’

সম্প্রতি একটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ওয়েব ফিল্ম ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’। তিশার কণ্ঠে এই গানটি মূলত এই ফিল্মের টাইটেল সং।

‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ সিনেমাটি তিশা-ফারুকী দম্পতির জন্য অনেকগুলো ‘প্রথম’র সমন্বয়। তিশার ভাষ্যে, ‘সন্তান হওয়ার পর আমার (তিশা) প্রথম কাজ। একজন লেখিকা হিসেবে আমার প্রথম লেখা। মেয়ে ইলহামের প্রথম মিউজিক ভিডিও, একজন ডিরেক্টর ফারুকীর প্রথম অভিনয়। এক কথায় এই ফিল্মে অনেক কিছুই প্রথমবার ঘটেছে আমাদের। আর যেকোনো প্রথম বিষয় মানুষের জীবনে অনেক স্পেশাল।

সিনেমাটিতে ফারুকী-তিশা ছাড়াও অভিনয় করেছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল, ইরেশ যাকের, শরাফ আহমেদ জীবন, ডলি জহুরসহ অনেকে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আপস করলে খালেদা জিয়া অনেক আগেই ক্ষমতায় বসতে পারতেন : সেলিমা রহমান

অভিনেত্রী তিশার কণ্ঠে গান

প্রকাশের সময় : ১০:২৭:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩

বিনোদন ডেস্ক : 

অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশার শুরু শিশুশিল্পী হিসেবে। তবে অভিনয় না, সে যাত্রায় সঙ্গী ছিল গান। একটি ব্যান্ডও গঠন করেছিলেন এ অভিনেত্রী। সেই ব্যান্ডের অ্যালবাম প্রকাশ করেছিলেন।

এরপর কেটে গেছে দেড় দশক। অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় সুর নিয়ে খেলা করা হয়নি তিশার। নতুন খবর হচ্ছে, লম্বা বিরতি ভেঙে এবার ফের কণ্ঠে গান তুলে নিয়েছেন তিশা। সামাজিক মাধ্যমে এ খবর অভিনেত্রী নিজেই জানিয়েছেন।

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী নির্মিত ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’র টাইটেল গানে কণ্ঠ দিয়েছেন অভিনেত্রী তিশা। ‘অটোবায়োগ্রাফি’ শিরোনামে এই গানটি লিখেছেন ইশতিয়াক আহমেদ। সুর ও সংগীতায়োজন করছেন পাভেল অরিন। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে চরকিতে রিলিজ হয়েছে গানটি।

তার আগে একটি ছোট্ট তথ্য যোগ করা প্রয়োজন। ছোটবেলা থেকে মূলত গান করতেন তিশা। গানে তার দখল, স্বীকৃতিও ছিল বেশ। বিটিভির ‘নতুন কুঁড়ি’র শৈশব পেরিয়ে তারুণ্যে গড়েছেন একটি ব্যান্ডও। ‘অ্যাঞ্জেল ফোর’ নামের সেই ব্যান্ডের সদস্য হলো চার বন্ধু- তিশা, রুমানা, কণা ও নাফিজা (প্রয়াত)। প্রকাশ হয়েছে তাদের অ্যালবামও। এরপর শখের বশেই অভিনয়ে পা রাখেন। আর এটাই হয়ে যায় তার মূল পেশা।

গানটির বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে তিশা বলেন, ‘দীর্ঘ ১৫ বছর পর গাইলাম। ছোট সময়ে গান গাওয়া হলেও এখন শুধু অভিনয় করি আমি। সিনেমাটির সঙ্গে আমাদের অনেক আবেগ জড়িত। গানটি লেখা ও সুরের পর আমি গাইতে চাইলে সেই সুযোগ আমাকে দেওয়া হয়’।

গান গাওয়ার ক্ষেত্রে দেড় দশকের বিরতি ভাঙার পেছনে ভাবনাটা কেমন ছিল তাহলে? অভিনেত্রীর জবাব, আসলে ‘অটোবায়োগ্রাফি’ আমার আর সরয়ারের খুব ব্যক্তিগত একটা ছবি। তো যখন এই গানটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল, লেখা-সুর হলো; শোনার পর আমার কাছে মনে হয়েছে, গানটি আমি ভালো গাইতে পারবো। সেই সুবাদে গাওয়া। নিজের আত্মবিশ্বাস ছিল যে মানুষের ভালো লাগবে। এখন প্রকাশের পর দেখছি, প্রত্যাশার চেয়েও বেশি ভালোবাসা পাচ্ছি।

গান নিয়ে তো দূর, কোনও বিষয়েই আগাম চিন্তা করতে চান না তিশা। কারণ, তিনি মনে করেন জীবন অনিশ্চিত। সুতরাং ভবিষ্যতে আবার কবে গান করবেন, এ নিয়ে এখনই কিছু ভাবছেন না।

গানটি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করেছেন তিশা। পোস্টের মন্তব্যের ঘরে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। একজন লিখেছেন, ‘সর্ব গুণে সম্পূর্ণ আপু’। আরেকজন লিখেছেন, ‘শব্দ, কথা, সুর, কণ্ঠ—সব মিলিয়ে অসাধারণ গান শুনলাম। নুসরাত ইমরোজ তিশা খুব ভালো অভিনেত্রী, পাশাপাশি এই গানের মাধ্যমে প্রমাণিত সে অসম্ভব ভালো গায়িকা। নিঃসন্দেহে সে আমার পছন্দের মানুষ।’

সম্প্রতি একটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ওয়েব ফিল্ম ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’। তিশার কণ্ঠে এই গানটি মূলত এই ফিল্মের টাইটেল সং।

‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ সিনেমাটি তিশা-ফারুকী দম্পতির জন্য অনেকগুলো ‘প্রথম’র সমন্বয়। তিশার ভাষ্যে, ‘সন্তান হওয়ার পর আমার (তিশা) প্রথম কাজ। একজন লেখিকা হিসেবে আমার প্রথম লেখা। মেয়ে ইলহামের প্রথম মিউজিক ভিডিও, একজন ডিরেক্টর ফারুকীর প্রথম অভিনয়। এক কথায় এই ফিল্মে অনেক কিছুই প্রথমবার ঘটেছে আমাদের। আর যেকোনো প্রথম বিষয় মানুষের জীবনে অনেক স্পেশাল।

সিনেমাটিতে ফারুকী-তিশা ছাড়াও অভিনয় করেছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল, ইরেশ যাকের, শরাফ আহমেদ জীবন, ডলি জহুরসহ অনেকে।