Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আ.লীগ জনগণের সঙ্গে কাপুরুষোচিত আচরণ করছে: ১২ দলীয় জোট

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশের মানুষের সঙ্গে আওয়ামী লীগ কাপুরোষচিত আচরণ করছে বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে এই মিছিলটি বের হয়। তাদের মিছিলটি পল্টন, বিজয়নগর মোড় ঘুরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

তিনি বলেন, দেশের মানুষের সঙ্গে আওয়ামী লীগ কাপুরোষচিত আচরণ করে চলেছে। তারা এক দিকে জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। অন্যদিকে নিত্যপণ্যের বাজারে একের পর এক সিন্ডিকেট বাণিজ্য করে নিজেদের পকেট ভারি করছে। দেশের জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়ভার নেই।

১২ দলীয় জোটের নেতারা বলেন, আগামী নির্বাচনের আগেই বিএনপি, ১২ দলীয় জোট, জামায়াতসহ সরকারবিরোধী নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি আওয়ামী লীগ ও পুলিশ যৌথ হামলা চালাচ্ছে। দলীয় নেতাকর্মীদের না পেয়ে কারও বাবা-মা, কারও ভাই-বোন, কারও স্ত্রীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সরকার দলীয় ক্যাডাররা বিরোধী দলের নেতাদের আহত করে পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছে এবং পুলিশ আহত নেতাকর্মীদের আদালতে তুলে রিমান্ড চেয়ে নির্যাতন চালাচ্ছে।

তারা বলছেন, আগামী নির্বাচনের আগেই বিএনপি, ১২ দলীয় জোট, জামায়াতসহ সরকারবিরোধী নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি আওয়ামী লীগ ও পুলিশ যৌথ হামলা চালাচ্ছে। দলীয় নেতাকর্মীদের না পেয়ে কারো বাবা-মা, কারো ভাই-বোন, কারো স্ত্রীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি নওয়াব আলী আব্বাস খান বলেন, ‘এই সরকার জনগণের সরকার নয়। এই সরকার জুলুমবাজ সরকার। জনগণের ওপর নিপীড়ন চালিয়ে আবারও ক্ষমতায় থাকতে চায়। জনগণ এখন প্রস্তুত এদের বিদায় করার জন্য।’

জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের হাতে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এখন শ্রী-মতীর পাঠশালায় পরিণত হয়েছে। শিক্ষাব্যবস্থার অন্তিম যাত্রা শুরু থেকে এখন ধ্বংসের চূড়ান্ত পর্যায়। তাই দেশবাসী মনে করে আওয়ামী লীগ দেশ ও জনগণের জন্য একটি আগাছা দলে পরিণত হয়েছে। অচিরেই আওয়ামী লীগের পতন ঘটাতে হবে।’
লেবার পার্টির লায়ন ফারুক রহমান বলেন, ‘জনগণ থেকে প্রত্যাখাত হয়ে এই সরকার গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকেও আজ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সুতরাং তাদের আর রেহাই নেই।’

উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির হান্নান আহমেদ খান বাবলু, কাজী মো. নজরুল, জাগপার অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, আসাদুর রহমান খান, বাংলাদেশ এলডিপির, সৈয়দ ইব্রাহিম রওনক, এমএ বাশার, আবদুল হাই নোমান, ফরিদ উদ্দিন, বাংলাদেশ জাতীয় দলের বেলায়েত হোসেন শামীম, আবুল মনসুর, জমিয়তের আতাউর রহমান খান, মাওলানা এমএ কাশেম ইসলামাবাদী, বাংলাদেশ লেবার পার্টির হুমায়ুন কবির, শরীফুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, মো. আসাদ, যুব জাগপার নজরুল ইসলাম বাবলু, এলডিপি যুবদলের ফয়সাল আহমেদ, ছাত্রসমাজের কাজী ফয়েজ আহমেদ, মেহেদী হাসান, ফাহিম হোসাইন, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের নিজাম উদ্দিন আল আদনান, ছাত্র মিশনের মোসতাকিন বিল্লাহ প্রমূখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মব জাস্টিস সরকার কোনোভাবেই বরদাশত করে না : রিজওয়ানা হাসান

আ.লীগ জনগণের সঙ্গে কাপুরুষোচিত আচরণ করছে: ১২ দলীয় জোট

প্রকাশের সময় : ০৪:১৯:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশের মানুষের সঙ্গে আওয়ামী লীগ কাপুরোষচিত আচরণ করছে বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে এই মিছিলটি বের হয়। তাদের মিছিলটি পল্টন, বিজয়নগর মোড় ঘুরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

তিনি বলেন, দেশের মানুষের সঙ্গে আওয়ামী লীগ কাপুরোষচিত আচরণ করে চলেছে। তারা এক দিকে জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। অন্যদিকে নিত্যপণ্যের বাজারে একের পর এক সিন্ডিকেট বাণিজ্য করে নিজেদের পকেট ভারি করছে। দেশের জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়ভার নেই।

১২ দলীয় জোটের নেতারা বলেন, আগামী নির্বাচনের আগেই বিএনপি, ১২ দলীয় জোট, জামায়াতসহ সরকারবিরোধী নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি আওয়ামী লীগ ও পুলিশ যৌথ হামলা চালাচ্ছে। দলীয় নেতাকর্মীদের না পেয়ে কারও বাবা-মা, কারও ভাই-বোন, কারও স্ত্রীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সরকার দলীয় ক্যাডাররা বিরোধী দলের নেতাদের আহত করে পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছে এবং পুলিশ আহত নেতাকর্মীদের আদালতে তুলে রিমান্ড চেয়ে নির্যাতন চালাচ্ছে।

তারা বলছেন, আগামী নির্বাচনের আগেই বিএনপি, ১২ দলীয় জোট, জামায়াতসহ সরকারবিরোধী নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি আওয়ামী লীগ ও পুলিশ যৌথ হামলা চালাচ্ছে। দলীয় নেতাকর্মীদের না পেয়ে কারো বাবা-মা, কারো ভাই-বোন, কারো স্ত্রীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি নওয়াব আলী আব্বাস খান বলেন, ‘এই সরকার জনগণের সরকার নয়। এই সরকার জুলুমবাজ সরকার। জনগণের ওপর নিপীড়ন চালিয়ে আবারও ক্ষমতায় থাকতে চায়। জনগণ এখন প্রস্তুত এদের বিদায় করার জন্য।’

জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের হাতে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এখন শ্রী-মতীর পাঠশালায় পরিণত হয়েছে। শিক্ষাব্যবস্থার অন্তিম যাত্রা শুরু থেকে এখন ধ্বংসের চূড়ান্ত পর্যায়। তাই দেশবাসী মনে করে আওয়ামী লীগ দেশ ও জনগণের জন্য একটি আগাছা দলে পরিণত হয়েছে। অচিরেই আওয়ামী লীগের পতন ঘটাতে হবে।’
লেবার পার্টির লায়ন ফারুক রহমান বলেন, ‘জনগণ থেকে প্রত্যাখাত হয়ে এই সরকার গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকেও আজ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সুতরাং তাদের আর রেহাই নেই।’

উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির হান্নান আহমেদ খান বাবলু, কাজী মো. নজরুল, জাগপার অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, আসাদুর রহমান খান, বাংলাদেশ এলডিপির, সৈয়দ ইব্রাহিম রওনক, এমএ বাশার, আবদুল হাই নোমান, ফরিদ উদ্দিন, বাংলাদেশ জাতীয় দলের বেলায়েত হোসেন শামীম, আবুল মনসুর, জমিয়তের আতাউর রহমান খান, মাওলানা এমএ কাশেম ইসলামাবাদী, বাংলাদেশ লেবার পার্টির হুমায়ুন কবির, শরীফুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, মো. আসাদ, যুব জাগপার নজরুল ইসলাম বাবলু, এলডিপি যুবদলের ফয়সাল আহমেদ, ছাত্রসমাজের কাজী ফয়েজ আহমেদ, মেহেদী হাসান, ফাহিম হোসাইন, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের নিজাম উদ্দিন আল আদনান, ছাত্র মিশনের মোসতাকিন বিল্লাহ প্রমূখ।