Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপির সমাবেশ নিয়ে নিরাপত্তার শঙ্কা নেই: ডিবিপ্রধান

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘আগামী ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার কোনো শঙ্কা নেই। ডিএমপি কমিশনার কর্তৃক যে রাজনৈতিক দলই সমাবেশ করার অনুমতি পাবেন তাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেবে পুলিশ। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য পুলিশ কাজ করবে।

রোববার (২২ অক্টোবর) সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

ডিবিপ্রধান বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করবে। আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেবো। আগামী ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে আমাদের কাছে নিরাপত্তার কোনো শঙ্কা নেই।

বিএনপির পক্ষ থেকে ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ ডাকা হয়েছে। এই সমাবেশ ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার হয়রানি ও চেকপোস্টের নামে ঢাকায় আসা নেতাকর্মীদের আটক করা হচ্ছে। এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি’র গোয়েন্দা প্রধান বলেন, এটা ঠিক না। ঢাকায় অনেক কেপিআইভুক্ত প্রতিষ্ঠান আছে। অনেক উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। ডিএমপি সেগুলোর নিরাপত্তা তদারকি দিয়ে থাকে। ঢাকা শহরে এসে অনেক বহিরাগত এসে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে সেজন্য আমরা অভিযান পরিচালনা করি। এটা আমাদের রুটিন কাজ। এটা সব সময়ই করি। আজও আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। চেকপোস্ট, অভিযান আছে বলেই ঢাকায় মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারছে। টহল পার্টি, চেকপোস্ট না থাকলে তো ঢাকা অপরাধের অভয়ারণ্যে পরিণত হবে। কোনো রাজনৈতিক দলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে চেকপোস্ট, টহল চলে না। আপনারা দেখবেন এটা আমরা নিয়মিতই করি। কোনো ধরনের রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের নামে হয়রানি করা হচ্ছে না।

আরেক প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান হারুন বলেন, আমরা যখন ছাত্র ছিলাম তখন দেখেছি, বিরোধী দলের কোনো মত নেই, এক দল সমাবেশ করত, আরেক দলকে সমাবেশ করতে দেওয়া হতো না। এখন কিন্তু ঢাকা শহরে একই দিনে ৩/৪ টা দল সমাবেশ করছে। প্রত্যেকটা সমাবেশকে আমরা নিরাপত্তা দিচ্ছি। কোনো সমাবেশ ঘিরে অপ্রীতিকর কিছু ঘটছে না। আমরা আশাবাদী আগামী ২৮ অক্টোবরও নাশকতা বা অপ্রীতিকর কিছু ঘটনা আশঙ্কা বা সম্ভাবনা নেই।

হারুন বলেন, আমরা যখন ছাত্র ছিলাম দেখেছি, বিরোধী দল মতপ্রকাশের স্বাধীনতা পেতো না। তারা সভা-সমাবেশ করতে পারত না। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রতিটি সমাবেশে নিরাপত্তা দিচ্ছি। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আমি মনে করি, সারা বাংলাদেশে অনেকগুলো মহাসমাবেশ হয়েছে। কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আমরা আশাবাদী আগামী ২৮ অক্টোবরও নাশকতা বা অপ্রীতিকর কিছু ঘটনা আশঙ্কা বা সম্ভাবনা নেই। তবে আমরা সিকিউরিটি প্ল্যান সাজিয়েছি। এছাড়াও আমাদের কমিশনার মহোদয় পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে থাকেন।

তিনি বলেন, আমরা আশঙ্কাকে ঘিরেই আমরা কিন্তু নিরাপত্তা পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকি। আমরা প্রত্যেকটা দলের সমাবেশেই ডিএমপি কমিশনার পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করেন। পরবর্তী ২৮ অক্টোবর যদি বিএনপি মহাসমাবেশের অনুমতি পায় তবে আমরা পর্যাপ্ত সংখ্যক নিরাপত্তা দেব। আইনশৃঙ্খলা যাতে ঠিক থাকে, সাধারণ মানুষ যেন স্বাচ্ছন্দ্যে চলতে পারে।

ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি’র ১০ লাখ নেতাকর্মী ঢাকায় ঢুকে গেছে। জাহাঙ্গীর কবির নানকও তাই বলেছেন। এই তথ্যগুলো তো গোয়েন্দা তথ্যেই পায়। ডিবি পুলিশের কাছে কি এ ধরনের তথ্য রয়েছে? জানতে চাইলে হারুন বলেন, রাজনৈতিক নেতারা কে কি বলেন, সেটা আমরা ভাবছি না। আমাদের গোয়েন্দা তথ্য বাইরে যাওয়ার কথা না।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বিএনপির সমাবেশ নিয়ে নিরাপত্তার শঙ্কা নেই: ডিবিপ্রধান

প্রকাশের সময় : ০১:৩২:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘আগামী ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার কোনো শঙ্কা নেই। ডিএমপি কমিশনার কর্তৃক যে রাজনৈতিক দলই সমাবেশ করার অনুমতি পাবেন তাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেবে পুলিশ। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য পুলিশ কাজ করবে।

রোববার (২২ অক্টোবর) সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

ডিবিপ্রধান বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করবে। আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেবো। আগামী ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে আমাদের কাছে নিরাপত্তার কোনো শঙ্কা নেই।

বিএনপির পক্ষ থেকে ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ ডাকা হয়েছে। এই সমাবেশ ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার হয়রানি ও চেকপোস্টের নামে ঢাকায় আসা নেতাকর্মীদের আটক করা হচ্ছে। এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি’র গোয়েন্দা প্রধান বলেন, এটা ঠিক না। ঢাকায় অনেক কেপিআইভুক্ত প্রতিষ্ঠান আছে। অনেক উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। ডিএমপি সেগুলোর নিরাপত্তা তদারকি দিয়ে থাকে। ঢাকা শহরে এসে অনেক বহিরাগত এসে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে সেজন্য আমরা অভিযান পরিচালনা করি। এটা আমাদের রুটিন কাজ। এটা সব সময়ই করি। আজও আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। চেকপোস্ট, অভিযান আছে বলেই ঢাকায় মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারছে। টহল পার্টি, চেকপোস্ট না থাকলে তো ঢাকা অপরাধের অভয়ারণ্যে পরিণত হবে। কোনো রাজনৈতিক দলের সমাবেশকে কেন্দ্র করে চেকপোস্ট, টহল চলে না। আপনারা দেখবেন এটা আমরা নিয়মিতই করি। কোনো ধরনের রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের নামে হয়রানি করা হচ্ছে না।

আরেক প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান হারুন বলেন, আমরা যখন ছাত্র ছিলাম তখন দেখেছি, বিরোধী দলের কোনো মত নেই, এক দল সমাবেশ করত, আরেক দলকে সমাবেশ করতে দেওয়া হতো না। এখন কিন্তু ঢাকা শহরে একই দিনে ৩/৪ টা দল সমাবেশ করছে। প্রত্যেকটা সমাবেশকে আমরা নিরাপত্তা দিচ্ছি। কোনো সমাবেশ ঘিরে অপ্রীতিকর কিছু ঘটছে না। আমরা আশাবাদী আগামী ২৮ অক্টোবরও নাশকতা বা অপ্রীতিকর কিছু ঘটনা আশঙ্কা বা সম্ভাবনা নেই।

হারুন বলেন, আমরা যখন ছাত্র ছিলাম দেখেছি, বিরোধী দল মতপ্রকাশের স্বাধীনতা পেতো না। তারা সভা-সমাবেশ করতে পারত না। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রতিটি সমাবেশে নিরাপত্তা দিচ্ছি। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আমি মনে করি, সারা বাংলাদেশে অনেকগুলো মহাসমাবেশ হয়েছে। কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আমরা আশাবাদী আগামী ২৮ অক্টোবরও নাশকতা বা অপ্রীতিকর কিছু ঘটনা আশঙ্কা বা সম্ভাবনা নেই। তবে আমরা সিকিউরিটি প্ল্যান সাজিয়েছি। এছাড়াও আমাদের কমিশনার মহোদয় পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে থাকেন।

তিনি বলেন, আমরা আশঙ্কাকে ঘিরেই আমরা কিন্তু নিরাপত্তা পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকি। আমরা প্রত্যেকটা দলের সমাবেশেই ডিএমপি কমিশনার পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করেন। পরবর্তী ২৮ অক্টোবর যদি বিএনপি মহাসমাবেশের অনুমতি পায় তবে আমরা পর্যাপ্ত সংখ্যক নিরাপত্তা দেব। আইনশৃঙ্খলা যাতে ঠিক থাকে, সাধারণ মানুষ যেন স্বাচ্ছন্দ্যে চলতে পারে।

ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি’র ১০ লাখ নেতাকর্মী ঢাকায় ঢুকে গেছে। জাহাঙ্গীর কবির নানকও তাই বলেছেন। এই তথ্যগুলো তো গোয়েন্দা তথ্যেই পায়। ডিবি পুলিশের কাছে কি এ ধরনের তথ্য রয়েছে? জানতে চাইলে হারুন বলেন, রাজনৈতিক নেতারা কে কি বলেন, সেটা আমরা ভাবছি না। আমাদের গোয়েন্দা তথ্য বাইরে যাওয়ার কথা না।