নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর ওয়ারী থানার টিপু সুলতান রোডে গ্যাস লাইনের আগুনে পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের সবাইকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৬ জুন) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এই আগুনের ঘটনা ঘটে। তাদের দ্রুত শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
দগ্ধরা হলেন- মো. সুমন ওরফে হেলাল ((৪০) আব্দুর রশিদ (৬৫), মো. মামুন (৫০), মো. সোহেল (৩৫), মো. আনোয়ারুল (২১)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা এস এম আইউব হোসেন। তিনি বলেন,ওয়ারী থেকে দগ্ধ অবস্থায় পাঁচজনকে জরুরী বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের সবাইকে জরুরি বিভাগে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। এখনও দগ্ধের পরিমাণ জানা যায়নি। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
এদের মধ্যে মো. হেলালের শরীরের ১০ শতাংশ, আব্দুর রশিদের শরীরের ৭ শতাংশ, মো. মামুনের শরীরের ১২ শতাংশ, মো. সোহেলের শরীরে ৮০ শতাংশ ও মো. এনামুলের শরীরের ২২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের মধ্যে সোহেল নামে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে আইসিইউতে রেফার্ড করা হয়েছে। বাকিদেরকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।
তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা সহকর্মী মনির হোসেন জানান, টিপু সুলতান রোডের বিউটি পার্লারের সামনের রাস্তায় তিতাস গ্যাসের লাইন মেরামতের কাজের সময় এ ঘটনা ঘটে। রাত আড়াইটার দিকে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি খোঁড়ার সময় হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে একটি ফাস্টফুডের দোকানে আগুন লেগে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি বলেন, তিতাসের চার শ্রমিক ও একজন পথচারীসহ পাঁচজন দগ্ধ হয়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়। এদের মধ্যে সোহেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক, তার শরীরের ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (৬ জুন) দিনগত রাত ২টা ২৫ মিনিটে ফায়ার সার্ভিস আগুনের খবর পায়। তৎক্ষণাৎ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে যুক্ত হন। পরে তিতাস গ্যাসের দুটি টিম ঘটনাস্থলে এসে তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়। পরে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন তারা।