Dhaka শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভেঙে পড়তে পারে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট ভবন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ওয়েস্টমিনিস্টারের এই হেরিটেজ সৌধ থেকে পানি চুঁইয়ে পড়ছে, ফাটল দেখা যাচ্ছে। এতে ভবনটি ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট ভবন একটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ। শতাব্দী প্রাচীন এই ভবন বহু ইতিহাসের সাক্ষী। কিন্তু সেই ভবনই আর কতদিন রক্ষা করা যাবে, তা নিয়ে এমপিদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে।

হাউস অব কমন্সে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি যে রিপোর্ট দিয়েছে- তাতে বলা হয়েছে, ভবনের বিভিন্ন জায়গা থেকে পানি চুইয়ে পড়ছে। বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা গেছে। আগুন লাগলে তা নেভানোর মতো যথেষ্ট ব্যবস্থা নেই। ফলে বড় কোনো বিপর্যয় ঘটলে ভবনটি ভেঙে পড়তে পারে। অবিলম্বে সংস্কার প্রয়োজন।

সংসদ সদস্যদের বক্তব্য, ভবনটির এখন যা অবস্থা, তা সংস্কার করতে বহু অর্থ ব্যয় হবে। তাছাড়া আরও অপেক্ষা করলে ভবনটি সংস্কারের অযোগ্যও হয়ে পড়তে পারে। এখন পর্যন্ত যা কাজ হয়েছে তা কার্যত ‘ধর তক্তা মার পেরেক’ গোছের বলে জানিয়েছে পার্লামেন্টের কমিটি। তাতেই সপ্তাহে দুই মিলিয়ন পাউন্ড করে খরচ হয়েছে।

ওয়েস্টমিনিস্টার রাজপ্রাসাদটিকেই ব্রিটেনের পার্লামেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এর আগেও এর সংস্কার নিয়ে বারবার আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কখনওই সামগ্রিক সংস্কারের ব্যবস্থা হয়নি। আলোচনাও খুব ধীর গতিতে এগিয়েছে।

২০১৮ সালে এমপিরা ভোটাভুটির মাধ্যমে ঠিক করেছিলেন যে, ২০২০ সালে ভবনটি কিছুদিনের জন্য খালি করে দেওয়া হবে। সে সময় সংস্কারের কাজ করা যাবে। কিন্তু ২০২০ সালে সকলে পার্লামেন্ট ভবন ছেড়ে যেতে চাননি। ফলে সংস্কারও সম্ভব হয়নি।

যারা ভবনটি ছেড়ে যেতে চাননি, তারা বার বার বলেছেন, পার্লামেন্ট ঠিকমতো সংস্কার করতে হলে বহু বছর সময় লেগে যাবে। এতদিন ওই ভবন ছেড়ে অন্যত্র পার্লামেন্ট চালানো সম্ভব নয়।

২০১৬ সাল থেকে পার্লামেন্ট ভবনে অন্তত ৪৪টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। যার ফলে এখন ২৪ ঘণ্টা দমকলকর্মীরা ভবনটি পাহারা দেন। ১৮৩৪ সালে অগ্নিকাণ্ডেই নষ্ট হয়েছিল পুরোনো ওয়েস্টমিনস্টার প্রাসাদ। এরপর চার্লস ব্যারি নামক এক স্থপতি নতুন ভবনটি তৈরি করেন। নিও গথিক স্থাপত্যের সেই ভবনই এখন যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট। সূত্র : ডয়চে ভেলে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সেনাবাহিনীর সমর্থন না থাকলে এই সরকার টিকবে না : ফরহাদ মজহার

ভেঙে পড়তে পারে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট ভবন

প্রকাশের সময় : ০১:২৬:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ মে ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ওয়েস্টমিনিস্টারের এই হেরিটেজ সৌধ থেকে পানি চুঁইয়ে পড়ছে, ফাটল দেখা যাচ্ছে। এতে ভবনটি ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট ভবন একটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ। শতাব্দী প্রাচীন এই ভবন বহু ইতিহাসের সাক্ষী। কিন্তু সেই ভবনই আর কতদিন রক্ষা করা যাবে, তা নিয়ে এমপিদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে।

হাউস অব কমন্সে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি যে রিপোর্ট দিয়েছে- তাতে বলা হয়েছে, ভবনের বিভিন্ন জায়গা থেকে পানি চুইয়ে পড়ছে। বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা গেছে। আগুন লাগলে তা নেভানোর মতো যথেষ্ট ব্যবস্থা নেই। ফলে বড় কোনো বিপর্যয় ঘটলে ভবনটি ভেঙে পড়তে পারে। অবিলম্বে সংস্কার প্রয়োজন।

সংসদ সদস্যদের বক্তব্য, ভবনটির এখন যা অবস্থা, তা সংস্কার করতে বহু অর্থ ব্যয় হবে। তাছাড়া আরও অপেক্ষা করলে ভবনটি সংস্কারের অযোগ্যও হয়ে পড়তে পারে। এখন পর্যন্ত যা কাজ হয়েছে তা কার্যত ‘ধর তক্তা মার পেরেক’ গোছের বলে জানিয়েছে পার্লামেন্টের কমিটি। তাতেই সপ্তাহে দুই মিলিয়ন পাউন্ড করে খরচ হয়েছে।

ওয়েস্টমিনিস্টার রাজপ্রাসাদটিকেই ব্রিটেনের পার্লামেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এর আগেও এর সংস্কার নিয়ে বারবার আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কখনওই সামগ্রিক সংস্কারের ব্যবস্থা হয়নি। আলোচনাও খুব ধীর গতিতে এগিয়েছে।

২০১৮ সালে এমপিরা ভোটাভুটির মাধ্যমে ঠিক করেছিলেন যে, ২০২০ সালে ভবনটি কিছুদিনের জন্য খালি করে দেওয়া হবে। সে সময় সংস্কারের কাজ করা যাবে। কিন্তু ২০২০ সালে সকলে পার্লামেন্ট ভবন ছেড়ে যেতে চাননি। ফলে সংস্কারও সম্ভব হয়নি।

যারা ভবনটি ছেড়ে যেতে চাননি, তারা বার বার বলেছেন, পার্লামেন্ট ঠিকমতো সংস্কার করতে হলে বহু বছর সময় লেগে যাবে। এতদিন ওই ভবন ছেড়ে অন্যত্র পার্লামেন্ট চালানো সম্ভব নয়।

২০১৬ সাল থেকে পার্লামেন্ট ভবনে অন্তত ৪৪টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। যার ফলে এখন ২৪ ঘণ্টা দমকলকর্মীরা ভবনটি পাহারা দেন। ১৮৩৪ সালে অগ্নিকাণ্ডেই নষ্ট হয়েছিল পুরোনো ওয়েস্টমিনস্টার প্রাসাদ। এরপর চার্লস ব্যারি নামক এক স্থপতি নতুন ভবনটি তৈরি করেন। নিও গথিক স্থাপত্যের সেই ভবনই এখন যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট। সূত্র : ডয়চে ভেলে।