Dhaka শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আন্দোলনের ঝড় তোলার সক্ষমতা নেই বিএনপির : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আন্দোলনের ঝড় তোলার সামর্থ্য নেই বলে গলাবাজি করে নিজেদের অক্ষমতাকে ঢাকতে চাইছে বিএনপি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (১৪ মে) আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে শেষে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, বিএনপির নিজেদের নেতা নেই; আবার যে জোট করেছে তাদেরও নেতা নেই। আর নেতা ছাড়া কোনো আন্দোলন সফল হয় না।

বিএনপির রাজনৈতিক ঝড় তোলার প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঝড় আসছে, ঝড় আসবে, এর সঙ্গে আমাদের পলিটিক্যাল অপনেন্ট বিএনপির মহাসচিব বলেছেন রাজনৈতিক ঝড় নাকি আসবে। মানুষ সৃষ্ট রাজনৈতিক ঝড়ের অপেক্ষায় আমরা আছি। বিএনপির ঝড়ে নাকি শেখ হাসিনা সরকারের পতন হবে। আসলে বাস্তবতা হচ্ছে এদের এখন আন্দোলন করার ঝড় তোলার সামর্থ্য নেই। সামর্থ্য নেই বলেই এরা আজকে গলাবাজি করে নিজেদের অক্ষমতাকে ডাকতে চেয়েছি। কিন্তু আওয়ামী লীগ কচু পাতার ওপর ভোরের শিশির বিন্দু নয়। বিএনপির যে কোনো কূটকৌশল সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ করা হবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আন্দোলনে যে পথরেখা তারা নিজেরাই সেই পথরেখা থেকে সরে গেছে। তাদের ঘরে এখন অনৈক্য। জোটে এখন অনৈক্য। জোটের উইকেট এখন পতন হচ্ছে। প্রতিদিনই কোনো না কোনো উইকেট পতন হচ্ছে। ৫৪ দলের জোট থেকে এখন ১৪-১৫ দলে আছে বলে মনে হয়। এই জোটে নেতা নেই, এই আন্দোলনের নেতা নেই, এই নির্বাচনের নেতা নেই। নির্বাচন পর্যন্ত সতর্ক পাহারা দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীরা অবস্থান করবে।

তিনি  বলেন, বিএনপি ক্ষমতার আশা দেখিয়ে নেতাকর্মীদের নামিয়েছিল। বিভিন্ন জায়গায় সমাবেশ দেয়, সেখানে সাত দিন আগে থেকেই নানাভাবে লেপ, কম্বল নিয়ে পিকনিক মোডে তারা অবস্থান করে। এই ধরনের পরিস্থিতি আমরা দেখেছি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি গরম থেকে নরম, আর নরম থেকে গরম কর্মসূচি দিয়েও কোনো ফল পায়নি। কর্মসূচির ধরন পাল্টালেও ফল পাল্টায়নি। জনসম্পৃক্ততা না থাকলে সেটি সফল হয়নি।

বিএনপির যে কোনো কূটকৌশল সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, বিদেশি দূতাবাসগুলোতে নালিশ করা, এই প্রবণতা বিএনপির। দেশকে ছোট করে বিদেশিদের ইচ্ছায় বাংলাদেশে নির্বাচন হবে- এমন অবান্তর ধারণা নিয়ে আছে বিএনপি।

আগামী নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে চাই জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সে কারণে দেশে শান্তির বাতাবরণ বিরাজ করুক। আজকে দেশ দুটি ধারায় বিভক্ত। একদিকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারা, অপরদিকে সাম্প্রদায়িক ধারা- যার নেতৃত্ব দিচ্ছে বিএনপি।

সেতুমন্ত্রী  বলেন, নির্বাচনে বিএনপি আসবে না- এটা তাদের ইচ্ছা। কিন্তু নির্বাচন করতে দেবে না, রুখে দেবে সংকল্প ব্যত্যয় করে, এমন হুমকিদাতাদের আমরাও দেখে নেব কারা রুখে দেয়। সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র আমরা রুখে দেব।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের কর্মসূচিতে মানুষ বিভ্রান্ত হয়নি। আজ তাদের নেতাকর্মীরা বুঝে গেছেন মুখের গলাবাজি বাস্তবে মরিচিকা। আন্দোলনের পথরেখা থেকে নিজেরা সরে গেছেন। তাদের জোটে অনৈক্য। উইকেটের পতন ঘটছে। এখন ১৪/১৫ টা দল আছে মনে হয়। তাদের নেতা নেই। নেতা ছাড়া আন্দোলন দুঃস্বপ্ন। কী কর্মসূচি দেবে তা ভেবে তারা দিশেহারা।

তিনি বলেন, সতর্ক আছি। নির্বাচন পর্যন্ত সারাদেশে নেতাকর্মীরা পাহারায় থাকবে। তারা যতই হুমকি-ধামকি দিক আমরা আমাদের কর্মসূচিতে অবিচল আছি। ২০১৩-১৪ সালের মতো তারা আগুন সন্ত্রাসের কূটকৌশল নিয়ে এগোতে পারে। কিন্তু আমরা সতর্ক আছি। বাংলাদেশে শান্তি বিনষ্টকারী কূটকৌশল প্রতিরোধে আমরা সতর্ক আছি।

জিয়াউর রহমানের নামে হত্যা মামলা দায়ের প্রশ্নে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, দল বা সরকার কোনো মামলা দায়ের করেনি। একজন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি মামলা করেছেন।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দীপু মনি, বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, আবদুস সোবহান গোলাপ, ফরিদুন্নাহার লাইলী, শাম্মী আহমেদ, আমিনুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাশ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ-দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

আন্দোলনের ঝড় তোলার সক্ষমতা নেই বিএনপির : কাদের

প্রকাশের সময় : ০২:৫৯:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আন্দোলনের ঝড় তোলার সামর্থ্য নেই বলে গলাবাজি করে নিজেদের অক্ষমতাকে ঢাকতে চাইছে বিএনপি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (১৪ মে) আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে শেষে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, বিএনপির নিজেদের নেতা নেই; আবার যে জোট করেছে তাদেরও নেতা নেই। আর নেতা ছাড়া কোনো আন্দোলন সফল হয় না।

বিএনপির রাজনৈতিক ঝড় তোলার প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঝড় আসছে, ঝড় আসবে, এর সঙ্গে আমাদের পলিটিক্যাল অপনেন্ট বিএনপির মহাসচিব বলেছেন রাজনৈতিক ঝড় নাকি আসবে। মানুষ সৃষ্ট রাজনৈতিক ঝড়ের অপেক্ষায় আমরা আছি। বিএনপির ঝড়ে নাকি শেখ হাসিনা সরকারের পতন হবে। আসলে বাস্তবতা হচ্ছে এদের এখন আন্দোলন করার ঝড় তোলার সামর্থ্য নেই। সামর্থ্য নেই বলেই এরা আজকে গলাবাজি করে নিজেদের অক্ষমতাকে ডাকতে চেয়েছি। কিন্তু আওয়ামী লীগ কচু পাতার ওপর ভোরের শিশির বিন্দু নয়। বিএনপির যে কোনো কূটকৌশল সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ করা হবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আন্দোলনে যে পথরেখা তারা নিজেরাই সেই পথরেখা থেকে সরে গেছে। তাদের ঘরে এখন অনৈক্য। জোটে এখন অনৈক্য। জোটের উইকেট এখন পতন হচ্ছে। প্রতিদিনই কোনো না কোনো উইকেট পতন হচ্ছে। ৫৪ দলের জোট থেকে এখন ১৪-১৫ দলে আছে বলে মনে হয়। এই জোটে নেতা নেই, এই আন্দোলনের নেতা নেই, এই নির্বাচনের নেতা নেই। নির্বাচন পর্যন্ত সতর্ক পাহারা দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীরা অবস্থান করবে।

তিনি  বলেন, বিএনপি ক্ষমতার আশা দেখিয়ে নেতাকর্মীদের নামিয়েছিল। বিভিন্ন জায়গায় সমাবেশ দেয়, সেখানে সাত দিন আগে থেকেই নানাভাবে লেপ, কম্বল নিয়ে পিকনিক মোডে তারা অবস্থান করে। এই ধরনের পরিস্থিতি আমরা দেখেছি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি গরম থেকে নরম, আর নরম থেকে গরম কর্মসূচি দিয়েও কোনো ফল পায়নি। কর্মসূচির ধরন পাল্টালেও ফল পাল্টায়নি। জনসম্পৃক্ততা না থাকলে সেটি সফল হয়নি।

বিএনপির যে কোনো কূটকৌশল সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, বিদেশি দূতাবাসগুলোতে নালিশ করা, এই প্রবণতা বিএনপির। দেশকে ছোট করে বিদেশিদের ইচ্ছায় বাংলাদেশে নির্বাচন হবে- এমন অবান্তর ধারণা নিয়ে আছে বিএনপি।

আগামী নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে চাই জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সে কারণে দেশে শান্তির বাতাবরণ বিরাজ করুক। আজকে দেশ দুটি ধারায় বিভক্ত। একদিকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারা, অপরদিকে সাম্প্রদায়িক ধারা- যার নেতৃত্ব দিচ্ছে বিএনপি।

সেতুমন্ত্রী  বলেন, নির্বাচনে বিএনপি আসবে না- এটা তাদের ইচ্ছা। কিন্তু নির্বাচন করতে দেবে না, রুখে দেবে সংকল্প ব্যত্যয় করে, এমন হুমকিদাতাদের আমরাও দেখে নেব কারা রুখে দেয়। সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সকল ষড়যন্ত্র আমরা রুখে দেব।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের কর্মসূচিতে মানুষ বিভ্রান্ত হয়নি। আজ তাদের নেতাকর্মীরা বুঝে গেছেন মুখের গলাবাজি বাস্তবে মরিচিকা। আন্দোলনের পথরেখা থেকে নিজেরা সরে গেছেন। তাদের জোটে অনৈক্য। উইকেটের পতন ঘটছে। এখন ১৪/১৫ টা দল আছে মনে হয়। তাদের নেতা নেই। নেতা ছাড়া আন্দোলন দুঃস্বপ্ন। কী কর্মসূচি দেবে তা ভেবে তারা দিশেহারা।

তিনি বলেন, সতর্ক আছি। নির্বাচন পর্যন্ত সারাদেশে নেতাকর্মীরা পাহারায় থাকবে। তারা যতই হুমকি-ধামকি দিক আমরা আমাদের কর্মসূচিতে অবিচল আছি। ২০১৩-১৪ সালের মতো তারা আগুন সন্ত্রাসের কূটকৌশল নিয়ে এগোতে পারে। কিন্তু আমরা সতর্ক আছি। বাংলাদেশে শান্তি বিনষ্টকারী কূটকৌশল প্রতিরোধে আমরা সতর্ক আছি।

জিয়াউর রহমানের নামে হত্যা মামলা দায়ের প্রশ্নে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, দল বা সরকার কোনো মামলা দায়ের করেনি। একজন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি মামলা করেছেন।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দীপু মনি, বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, আবদুস সোবহান গোলাপ, ফরিদুন্নাহার লাইলী, শাম্মী আহমেদ, আমিনুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাশ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ-দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।