নিজস্ব প্রতিবেদক :
আওয়ামী লীগের কৌশল এখন আর কাজ করে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক।
রোববার (৭ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরাম আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, দলের যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না ও সহ-সভাপতি ইউসূফ বিন জলিলের বিরুদ্ধে করা মামলাকে ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করা হয়। এসব মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করা হয় সেখানে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ যখন গামছা পরে নদী পার হয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তির সমাবেশে যোগ দেয়, তখনই আপনাদের বোঝা উচিত ছিল, ক্ষমতায় আর থাকার সুযোগ নেই।
বিএনপির এ নেতা বলেন, যেই দেশের মানুষ ঈদের পরে একটি ডিম খেতে পারেনি, বাচ্চাদের একটু মুরগির মাংস খাওয়াতে পারেনি, যেই দেশের মানুষ বিদ্যুৎ ও গ্যাসের চড়া বিল পরিশোধ করতে পারেনি, সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমানে বৃহৎ বহর নিয়ে জাপান, আমেরিকা ও ওয়াশিংটন গেলেন। আর তারা আজকে দেশের অর্থ অপচয় করে বিদেশের মাটিতে ক্ষমতায় থাকার জন্য ধরনা দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, তারেক রহমানের কৌশলের কাছে আওয়ামী লীগ প্রতি মুহূর্তে পরাজিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগের কৌশল এখন কাজ করে না। শিরিন-হীরার মিছিলে গোয়েন্দা ঢুকিয়ে বোমা মেরে মানুষ মারবেন, গাড়িতে আগুন জ্বালাবেন, সেই ষড়যন্ত্র আর চলবে না। তারেক রহমান সব বুঝে।
সমাবেশে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা প্রসঙ্গে জয়নাল আবেদীন ফারুক বলেন, যার স্বামী বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন, যার স্বামী মুক্তিযুদ্ধের একজন সেক্টর কমান্ডার ছিলেন, তাকে আজ একটি অসত্য মামলায় কারাগারে রাখা হয়েছে।
পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো স্বৈরাচার সরকার বেশদিন ক্ষমতায় থাকতে পারেনি জানিয়ে তিনি লেন, যে দেশের মানুষ ঈদের পরে একটি ডিমও খেতে পারেনি, যে দেশের মানুষ ঈদের পরে বাচ্চাদের একটু মুরগির মাংস খাওয়াতে পারেনি, যে দেশের মানুষ বিদ্যুৎ ও গ্যাসের চড়া বিল পরিশোধ করতে পারেনি, সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ বিমানে বহর নিয়ে জাপান, আমেরিকা ও ওয়াশিংটন গেলেন। তারা আজ দেশের অর্থ অপচয় করে বিদেশের মাটিতে ক্ষমতায় থাকার ধরনা দিচ্ছেন।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, আমরা দেশের মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই করি, বিদ্যুতের দাম কমানোর জন্য লড়াই করি, দেশের মানুষের পেট ভরে খাওয়া ব্যবস্থা করার জন্য লড়াই করি। আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছিলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য নয়, আপনার ভোট আপনি দেবেন এই অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করি।
নেতাকর্মীদের নিরাশ না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফারুক বলেন, বাংলাদেশে এই সরকার পদত্যাগ করবে। পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে। সংসদে থেকে ভোট করবেন, এই আশা মিথ্যা। দেশের মানুষ যখন গামছা পরে নদী পার হয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তির সমাবেশে যোগ দেয়, তখনই আপনাদের (আওয়ামী লীগ) বোঝা উচিত ছিল, ক্ষমতায় আর থাকার সুযোগ নেই।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, পদ-পদবী বড় নয়। সবচেয়ে বড় কথা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, সংকট তৈরি করেছেন আপনারা (আওয়ামী লীগ)। এই সংকট আপনাদেরই সমাধান করতে হবে। তাই আমাদের (বিএনপি) দাবি মেনে নিন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন।
বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত ওই প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রাশেদা বেগম হীরা, নির্বাহী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন বুলু ছাড়াও কৃষক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম, বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের উপদেষ্টা নাজমুল হাসান, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী, তেজগাঁও থানা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল মোল্লা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।