Dhaka বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এয়ারবাস কিনতে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ দেবে যুক্তরাজ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশের অ্যাভিয়েশন সেক্টরের সার্বিক উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য ‘অ্যাভিয়েশন অংশীদারিত্ব’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি ‘জয়েন্ট কমিউনিক’ সই করেছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য। এ চুক্তির ফলে বাংলাদেশের অ্যাভিয়েশন খাতের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে যুক্তরাজ্য। বাংলাদেশের সঙ্গে উড়োজাহাজ চলাচল খাতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ জোরদার করতে একসঙ্গে কাজ করবে যুক্তরাজ্য।

শুক্রবার (৫ মে) যুক্তরাজ্যের লন্ডনে দুই দেশের মধ্যে এই জয়েন্ট কমিউনিক সই হয়। বাংলাদেশের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং যুক্তরাজ্যের পক্ষে সে দেশের বিনিয়োগমন্ত্রী লর্ড ডমিনিক জনসন এতে সই করেন। এ সময় ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সংক্রান্ত ট্রেড এনভয় রোশনারা আলী।

ইউরোপের এয়ারবাস থেকে যাত্রী ও মালামাল পরিবহন বিমান কেনা এবং বাংলাদেশের অ্যাভিয়েশন সেক্টরের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য অ্যাভিয়েশন অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি জয়েন্ট কমিউনিক সই করেছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য।

এই উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশের অ্যাভিয়েশন ইন্ড্রাস্ট্রির উন্নয়ন হবে। পাশাপাশি যুক্তরাজ্যসহ এয়ারবাসের অন্য ইউরোপীয় অংশীদারদের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক হবে আরও দৃঢ়। এই বিমান কেনার ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের এক্সপোর্ট ফাইন্যান্স থেকে সহজ শর্তে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ সুবিধাও পেতে পারে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের অ্যাভিয়েশন সেক্টরের সম্প্রসারণ এবং এর বহুমাত্রিকতা আনতে এ উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এটি যাত্রী পরিবহন ও কার্গো ব্যবসার ক্ষেত্রে বিমানের সক্ষমতাকে অনেক উচ্চ স্থানে নিয়ে যেতে পারে।

যৌথ ঘোষণাপত্রে সই করার পর সালমান এফ রহমান সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এ উদ্যোগের ফলে এয়ারবাস ও বাংলাদেশ বিমানের মধ্যে একটি দীর্ঘমেয়াদি ও কার্যকর সম্পর্ক গড়ে উঠবে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি এবং এয়ারবাসের মধ্যে বর্তমান সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে।

ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরের পর এক টুইটে ডমিনিক জনসন বলেছেন, এ চুক্তি বাংলাদেশের উড়োজাহাজ খাতকে শক্তিশালী করতে যুক্তরাজ্যের প্রতিশ্রুতির অংশ। এটি উভয় দেশে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে সহায়তা করবে।

এদিন এভিয়েশন ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পার্টনারশিপ বিষয়ক এ যৌথ ঘোষণাপত্রের আওতায় উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারক কোম্পানি এয়ারবাস থেকে যাত্রী ও কার্গো উড়োজাহাজ কেনার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এর আগে গত মার্চে বাংলাদেশ বিমানের কাছে উড়োজাহাজ বিক্রির প্রস্তাব দেয় এয়ারবাস। এ নিয়ে সেসসয় ঢাকায় ‘বাংলাদেশ এভিয়েশন সামিটে’ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দিনভর আলোচনা হয় এয়ারবাস প্রতিনিধিদের।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

এয়ারবাস কিনতে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ দেবে যুক্তরাজ্য

প্রকাশের সময় : ০২:০২:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাংলাদেশের অ্যাভিয়েশন সেক্টরের সার্বিক উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য ‘অ্যাভিয়েশন অংশীদারিত্ব’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি ‘জয়েন্ট কমিউনিক’ সই করেছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য। এ চুক্তির ফলে বাংলাদেশের অ্যাভিয়েশন খাতের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে যুক্তরাজ্য। বাংলাদেশের সঙ্গে উড়োজাহাজ চলাচল খাতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ জোরদার করতে একসঙ্গে কাজ করবে যুক্তরাজ্য।

শুক্রবার (৫ মে) যুক্তরাজ্যের লন্ডনে দুই দেশের মধ্যে এই জয়েন্ট কমিউনিক সই হয়। বাংলাদেশের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং যুক্তরাজ্যের পক্ষে সে দেশের বিনিয়োগমন্ত্রী লর্ড ডমিনিক জনসন এতে সই করেন। এ সময় ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সংক্রান্ত ট্রেড এনভয় রোশনারা আলী।

ইউরোপের এয়ারবাস থেকে যাত্রী ও মালামাল পরিবহন বিমান কেনা এবং বাংলাদেশের অ্যাভিয়েশন সেক্টরের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য অ্যাভিয়েশন অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি জয়েন্ট কমিউনিক সই করেছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য।

এই উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশের অ্যাভিয়েশন ইন্ড্রাস্ট্রির উন্নয়ন হবে। পাশাপাশি যুক্তরাজ্যসহ এয়ারবাসের অন্য ইউরোপীয় অংশীদারদের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক হবে আরও দৃঢ়। এই বিমান কেনার ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের এক্সপোর্ট ফাইন্যান্স থেকে সহজ শর্তে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ সুবিধাও পেতে পারে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের অ্যাভিয়েশন সেক্টরের সম্প্রসারণ এবং এর বহুমাত্রিকতা আনতে এ উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এটি যাত্রী পরিবহন ও কার্গো ব্যবসার ক্ষেত্রে বিমানের সক্ষমতাকে অনেক উচ্চ স্থানে নিয়ে যেতে পারে।

যৌথ ঘোষণাপত্রে সই করার পর সালমান এফ রহমান সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এ উদ্যোগের ফলে এয়ারবাস ও বাংলাদেশ বিমানের মধ্যে একটি দীর্ঘমেয়াদি ও কার্যকর সম্পর্ক গড়ে উঠবে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি এবং এয়ারবাসের মধ্যে বর্তমান সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে।

ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরের পর এক টুইটে ডমিনিক জনসন বলেছেন, এ চুক্তি বাংলাদেশের উড়োজাহাজ খাতকে শক্তিশালী করতে যুক্তরাজ্যের প্রতিশ্রুতির অংশ। এটি উভয় দেশে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে সহায়তা করবে।

এদিন এভিয়েশন ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পার্টনারশিপ বিষয়ক এ যৌথ ঘোষণাপত্রের আওতায় উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারক কোম্পানি এয়ারবাস থেকে যাত্রী ও কার্গো উড়োজাহাজ কেনার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এর আগে গত মার্চে বাংলাদেশ বিমানের কাছে উড়োজাহাজ বিক্রির প্রস্তাব দেয় এয়ারবাস। এ নিয়ে সেসসয় ঢাকায় ‘বাংলাদেশ এভিয়েশন সামিটে’ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দিনভর আলোচনা হয় এয়ারবাস প্রতিনিধিদের।