নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর উত্তরার তুরাগ এলাকায় ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের সোয়া ১১ কোটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত ভার গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে।

রোববার (১২ মার্চ) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) হারুন-অর-রশীদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ৯ মার্চ সকালে রাজধানীর উত্তরার তুরাগ থানাধীন দিয়াবাড়ী ১১ নম্বর সড়কে ডাচ বাংলা ব্যাংকের টাকা বহনকারী মানি প্লান্ট লিঙ্ক প্রাইভেট লিমিটেডের গাড়ি থেকে সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনায় অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করে ৯ মার্চ দিবাগত রাতে মানি প্ল্যান্ট লিঙ্ক প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে তুরাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

ছিনতাইয়ের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উত্তরা এলাকা থেকে ছিনতাই হওয়া সোয়া ১১ কোটি টাকার মধ্যে আনুমানিক ৯ কোটি টাকা উদ্ধারের কথা জানায় ডিবি। পরে উদ্ধার হওয়া টাকা গণনা করে ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাওয়া যায়।

সেসময় ছিনতাইকারীরা ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়েছিলেন। তবে তাদের হাতে ছিল না কোনো আগ্নেয়াস্ত্র কিংবা দেশীয় কোনো ধারালো অস্ত্র। ছিনতাইয়ের এ ঘটনাকে পূর্বপরিকল্পিত বলে দাবি করেছিল পুলিশ ও ভুক্তভোগী প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা জানান, পুলিশের কাছে তথ্য ছিল, সোয়া ১১ কোটি টাকাভর্তি চারটি ট্রাঙ্ক ছিনতাই হয়েছে। যেহেতু তিনটি ট্রাঙ্ক উদ্ধার হয়েছে, তাই বেশিরভাগ টাকা অর্থাৎ ধারণা করেই তাৎক্ষনিকভাবে প্রায় ৯ কোটি টাকা উদ্ধারের কথা জানান ডিবি প্রধান।

কিন্তু উদ্ধার হওয়া তিনটি ট্রাঙ্ক থানায় নিলে একটি খালি পাওয়া যায়। বাকি দুই ট্রাঙ্কে ছিল ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

টাকা বহনকারী প্রতিষ্ঠানের মানি প্ল্যান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেডের লোকজনই ট্রাঙ্কগুলো আনলক করেন। চাবিগুলো তাদের কাছেই ছিল।

সর্বশেষ আজ (রোববার) দুপুরে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের টাকা ডাকাতির ঘটনায় নতুন করে আরও দুই কোটি ৫৩ লাখ ৯৯ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের(ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ। রাজধানীর মিরপুর, বনানী সুনামগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে এই টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।