Dhaka বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজধানীতে আবার ভূমিকম্প অনুভূত, উৎপত্তিস্থল নরসিংদী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ১০:৫৯:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ১৭৯ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক :

রাজধানীতে আবারও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ভোর ৬াট ১৫ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদীর শিবপুরে।

ভূমিকম্পের তথ্য প্রদানকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) এ তথ্য জানিয়েছে।

ইএমএসসি-এর তথ্য অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। এ ভূমিকম্পের গভীরতা ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩০ কিলোমিটার গভীরে এবং এর উৎপত্তি টঙ্গী থেকে ৩৩ কিলোমিটার উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে ও নরসিংদীর ৩ কিলোমিটার উত্তরে।

এর আগে, সোমবার (১ ডিসেম্বর) কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৭ মিনিটে কক্সবাজার শহর, উখিয়া, চকরিয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা ভূমিকম্প অনুভব করেন।

এরও আগে গত ২১ ও ২২ নভেম্বর দুই দিনে চার দফা ভূমিকম্প হয়। এর মধ্যে ছিল রিখটার স্কেলে ২১ নভেম্বরের ভূমিকম্পের মাত্রা ৫ দশমিক ৭। এতে ১০ জনের মৃত্যু হয়। এদিনের ভূমিকম্পে সৃষ্ট কম্পনে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।

বারবার ভূমিকম্পের পর এখনই করণীয় ঠিক করতে তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদি আহমেদ আনসারী সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে গত ২১ নভেম্বর বলেন, “আজকের ভূমিকম্পটা বলা যেতে পারে ‘ফোরশক’। বড় ভূমিকম্পের আগে ছোট ছোট যে ভূমিকম্প, এটা সেগুলোর একটি।”

ভূতত্ত্ববিদ অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার মনে করেন, বড় ধরনের একটি ভূমিকম্পের বিপদ বাংলাদেশের সামনে অপেক্ষা করছে। ওই ঝুঁকি বিপদজনক মাত্রায় পৌঁছেছে জনগণের সচেতনতা, সরকারের পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতির অভাবে।

তার ভাষ্য, ভূমিকম্প ঠেকানো যাবে না, প্রতিরোধ করা সম্ভব না, আগাম সংকেতও দেওয়া যাবে না; কিন্তু এর ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব—যদি সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।

“সব কথার শেষ কথা যেটা হচ্ছে, আমাদের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে এবং ভূমিকম্প প্রতিরোধ বা ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে স্বল্পমেয়াদী, মধ্যমেয়াদি, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা…।”

ভূমিকম্প নিয়ে জনমনে আতঙ্কের মধ্যে গত ২৪ নভেম্বর বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক ডাকেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। ওই বৈঠক একটি টাস্কফোর্স গঠন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

.

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

রাজধানীতে আবার ভূমিকম্প অনুভূত, উৎপত্তিস্থল নরসিংদী

প্রকাশের সময় : ১০:৫৯:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :

রাজধানীতে আবারও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ভোর ৬াট ১৫ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদীর শিবপুরে।

ভূমিকম্পের তথ্য প্রদানকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) এ তথ্য জানিয়েছে।

ইএমএসসি-এর তথ্য অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। এ ভূমিকম্পের গভীরতা ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩০ কিলোমিটার গভীরে এবং এর উৎপত্তি টঙ্গী থেকে ৩৩ কিলোমিটার উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে ও নরসিংদীর ৩ কিলোমিটার উত্তরে।

এর আগে, সোমবার (১ ডিসেম্বর) কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৭ মিনিটে কক্সবাজার শহর, উখিয়া, চকরিয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা ভূমিকম্প অনুভব করেন।

এরও আগে গত ২১ ও ২২ নভেম্বর দুই দিনে চার দফা ভূমিকম্প হয়। এর মধ্যে ছিল রিখটার স্কেলে ২১ নভেম্বরের ভূমিকম্পের মাত্রা ৫ দশমিক ৭। এতে ১০ জনের মৃত্যু হয়। এদিনের ভূমিকম্পে সৃষ্ট কম্পনে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।

বারবার ভূমিকম্পের পর এখনই করণীয় ঠিক করতে তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদি আহমেদ আনসারী সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে গত ২১ নভেম্বর বলেন, “আজকের ভূমিকম্পটা বলা যেতে পারে ‘ফোরশক’। বড় ভূমিকম্পের আগে ছোট ছোট যে ভূমিকম্প, এটা সেগুলোর একটি।”

ভূতত্ত্ববিদ অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার মনে করেন, বড় ধরনের একটি ভূমিকম্পের বিপদ বাংলাদেশের সামনে অপেক্ষা করছে। ওই ঝুঁকি বিপদজনক মাত্রায় পৌঁছেছে জনগণের সচেতনতা, সরকারের পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতির অভাবে।

তার ভাষ্য, ভূমিকম্প ঠেকানো যাবে না, প্রতিরোধ করা সম্ভব না, আগাম সংকেতও দেওয়া যাবে না; কিন্তু এর ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব—যদি সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।

“সব কথার শেষ কথা যেটা হচ্ছে, আমাদের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে এবং ভূমিকম্প প্রতিরোধ বা ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে স্বল্পমেয়াদী, মধ্যমেয়াদি, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা…।”

ভূমিকম্প নিয়ে জনমনে আতঙ্কের মধ্যে গত ২৪ নভেম্বর বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক ডাকেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। ওই বৈঠক একটি টাস্কফোর্স গঠন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

.