Dhaka বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শাহজালালে অগ্নিকাণ্ড : হার্ডওয়্যার খাতে ক্ষতি প্রায় ৩৫ কোটি টাকা

  • প্রতিনিধির নাম
  • প্রকাশের সময় : ১১:৫৩:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৯৪ জন দেখেছেন

 

ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ১৮ অক্টোবর সংঘটিত ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ও হার্ডওয়্যার খাতে বিপুল ক্ষতি হয়েছে, যা পুরো খাতের জন্য এক বড় আঘাত। অগ্নিকাণ্ডে বিসিএসের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর আমদানিকৃত বিপুল পরিমাণ প্রযুক্তিপণ্য পুড়ে নষ্ট হয়েছে। প্রাথমিক হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ কোটি টাকা হলেও, প্রকৃত ক্ষতি আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে সংঘটিত ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ও হার্ডওয়্যার খাতে বিপুল ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিক হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ কোটি টাকা ধরা হলেও প্রকৃত ক্ষতি আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

১৮ অক্টোবর দুর্ঘটনার পর অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতির প্রকৃত চিত্র নিরূপণের জন্য বিসিএস জরুরি ভিত্তিতে সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠায় এবং অনলাইনে তথ্য প্রদানের জন্য একটি ফরম সরবরাহ করে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেই প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির এই পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, বিসিএস সদস্যদের প্রযুক্তিপণ্যের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ কোটি টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- স্মার্ট টেকনোলজি বাংলাদেশ লিমিটেড, ডাটাটেক কম্পিউটার, নিউটেক টেকনোলজি, দিহান এন্টারপ্রাইজ ও রিভ সিস্টেম।

এ প্রসঙ্গে বিসিএস সভাপতি মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, অগ্নিকাণ্ডে সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো পুরোপুরি জানা সম্ভব হয়নি। আমরা সদস্যদের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছি। প্রাথমিক হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ কোটি টাকা হলেও, প্রকৃত ক্ষতি এর চেয়েও বেশি হতে পারে।

তিনি বলেন, এই দুর্ঘটনা শুধু আমাদের সদস্যদের ব্যক্তিগত ক্ষতি নয়, বরং পুরো আইসিটি খাতের জন্য বড় ধাক্কা। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের প্রযুক্তি সরবরাহ ব্যবস্থা। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমদানিকৃত পণ্য দেশে পৌঁছানোর পর এভাবে পুড়ে যাওয়ায় বড় আকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা রোধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি।

গত ১৮ অক্টোবর দুপুর আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্স ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নেভাতে গিয়ে আনসার বাহিনীর ২৫ সদস্যসহ মোট ৩৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন না দিতে পারলে এর দায় অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিতে হবে : নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

শাহজালালে অগ্নিকাণ্ড : হার্ডওয়্যার খাতে ক্ষতি প্রায় ৩৫ কোটি টাকা

প্রকাশের সময় : ১১:৫৩:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

 

ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ১৮ অক্টোবর সংঘটিত ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ও হার্ডওয়্যার খাতে বিপুল ক্ষতি হয়েছে, যা পুরো খাতের জন্য এক বড় আঘাত। অগ্নিকাণ্ডে বিসিএসের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর আমদানিকৃত বিপুল পরিমাণ প্রযুক্তিপণ্য পুড়ে নষ্ট হয়েছে। প্রাথমিক হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ কোটি টাকা হলেও, প্রকৃত ক্ষতি আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে সংঘটিত ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ও হার্ডওয়্যার খাতে বিপুল ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিক হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ কোটি টাকা ধরা হলেও প্রকৃত ক্ষতি আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

১৮ অক্টোবর দুর্ঘটনার পর অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতির প্রকৃত চিত্র নিরূপণের জন্য বিসিএস জরুরি ভিত্তিতে সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠায় এবং অনলাইনে তথ্য প্রদানের জন্য একটি ফরম সরবরাহ করে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেই প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির এই পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, বিসিএস সদস্যদের প্রযুক্তিপণ্যের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ কোটি টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- স্মার্ট টেকনোলজি বাংলাদেশ লিমিটেড, ডাটাটেক কম্পিউটার, নিউটেক টেকনোলজি, দিহান এন্টারপ্রাইজ ও রিভ সিস্টেম।

এ প্রসঙ্গে বিসিএস সভাপতি মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, অগ্নিকাণ্ডে সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো পুরোপুরি জানা সম্ভব হয়নি। আমরা সদস্যদের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছি। প্রাথমিক হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৫ কোটি টাকা হলেও, প্রকৃত ক্ষতি এর চেয়েও বেশি হতে পারে।

তিনি বলেন, এই দুর্ঘটনা শুধু আমাদের সদস্যদের ব্যক্তিগত ক্ষতি নয়, বরং পুরো আইসিটি খাতের জন্য বড় ধাক্কা। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের প্রযুক্তি সরবরাহ ব্যবস্থা। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমদানিকৃত পণ্য দেশে পৌঁছানোর পর এভাবে পুড়ে যাওয়ায় বড় আকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা রোধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি।

গত ১৮ অক্টোবর দুপুর আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্স ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন নেভাতে গিয়ে আনসার বাহিনীর ২৫ সদস্যসহ মোট ৩৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।