Dhaka বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগ ফেরা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা : ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ১০:৫৮:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ২৫২ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগ ফেরা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা বলে মন্তব্য করে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়নি, কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে; যেকোনো সময় আওয়ামী লীগের কার্যক্রম সচল হতে পারে। প্রধান উপদেষ্টার এমন বক্তব্য গণমাধ্যমে এসেছে। ওই বক্তব্য পুরো জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে জামায়াতের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আয়োজিত এক ছাত্র প্রতিনিধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সরকার আওয়ামী লীগকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ না করলেও দেশের জনগণ ইতোমধ্যে তাদের গণহত্যাকারী দল হিসেবে চিহ্নিত করে নিষিদ্ধ করেছে। ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জনগণ আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। পৃথিবীর কোথাও গণহত্যাকারী দল দ্বিতীয়বার জনগণের সামনে ফিরে আসতে পারেনি, আওয়ামী লীগও ফিরতে পারবে না। যারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করবে, জনগণ তাদের প্রতিহত করবে। জনগণের বুকে গুলি চালানো গণহত্যাকারী দল রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে।

ড. মাসুদ বলেন, যে আওয়ামী লীগ জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার বুকে গুলি চালিয়ে দুই হাজারেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে, ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষকে আহত ও পঙ্গু করেছে, বিগত ১৫ বছরে দেশজুড়ে খুন-গুম, জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে—তাদের কোনোভাবেই রাজনৈতিক দল বলা যায় না। আওয়ামী লীগ হচ্ছে গণহত্যাকারী দল।

সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে ইসলামি ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে জনগণকে অধিকার আদায়ের জন্য বারবার রক্ত দিতে হয়েছে। শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার পরিবার জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, হাসিনার ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজের নেতৃত্বে জাতি রাজপথে নেমেছিল। জুলাই আন্দোলনের মুখে তার পতন হয়েছে।

তিনি ছাত্র উপদেষ্টাদের সমালোচনা করে বলেন, তারা বিপ্লবের সময়ে ছাত্র-জনতার পাশে দাঁড়াতে ব্যর্থ হয়েছেন, ফলে উপদেষ্টা পদে থাকার নৈতিকতা হারিয়েছেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি এবং ঢাকা-৫ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত রেখে তাদের পুনর্বাসনের সুযোগ করে দেওয়ার চেষ্টা জনগণ মেনে নেবে না। তিনি দাবি করেন, অবিলম্বে আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিষিদ্ধ করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা-৫ আসনে জামায়াতের নির্বাচন পরিচালক আব্দুস সালাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক গোলাম মর্তুজা, ইসলামি ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন রুবেল ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের নবনির্বাচিত জিএস মাজহারুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিবির ও জামায়াত নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আওয়ামী লীগ ফেরা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা : ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ

প্রকাশের সময় : ১০:৫৮:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগ ফেরা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা বলে মন্তব্য করে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়নি, কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে; যেকোনো সময় আওয়ামী লীগের কার্যক্রম সচল হতে পারে। প্রধান উপদেষ্টার এমন বক্তব্য গণমাধ্যমে এসেছে। ওই বক্তব্য পুরো জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে জামায়াতের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আয়োজিত এক ছাত্র প্রতিনিধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সরকার আওয়ামী লীগকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ না করলেও দেশের জনগণ ইতোমধ্যে তাদের গণহত্যাকারী দল হিসেবে চিহ্নিত করে নিষিদ্ধ করেছে। ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জনগণ আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। পৃথিবীর কোথাও গণহত্যাকারী দল দ্বিতীয়বার জনগণের সামনে ফিরে আসতে পারেনি, আওয়ামী লীগও ফিরতে পারবে না। যারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করবে, জনগণ তাদের প্রতিহত করবে। জনগণের বুকে গুলি চালানো গণহত্যাকারী দল রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে।

ড. মাসুদ বলেন, যে আওয়ামী লীগ জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার বুকে গুলি চালিয়ে দুই হাজারেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে, ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষকে আহত ও পঙ্গু করেছে, বিগত ১৫ বছরে দেশজুড়ে খুন-গুম, জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে—তাদের কোনোভাবেই রাজনৈতিক দল বলা যায় না। আওয়ামী লীগ হচ্ছে গণহত্যাকারী দল।

সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে ইসলামি ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে জনগণকে অধিকার আদায়ের জন্য বারবার রক্ত দিতে হয়েছে। শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার পরিবার জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, হাসিনার ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজের নেতৃত্বে জাতি রাজপথে নেমেছিল। জুলাই আন্দোলনের মুখে তার পতন হয়েছে।

তিনি ছাত্র উপদেষ্টাদের সমালোচনা করে বলেন, তারা বিপ্লবের সময়ে ছাত্র-জনতার পাশে দাঁড়াতে ব্যর্থ হয়েছেন, ফলে উপদেষ্টা পদে থাকার নৈতিকতা হারিয়েছেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি এবং ঢাকা-৫ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত রেখে তাদের পুনর্বাসনের সুযোগ করে দেওয়ার চেষ্টা জনগণ মেনে নেবে না। তিনি দাবি করেন, অবিলম্বে আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিষিদ্ধ করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা-৫ আসনে জামায়াতের নির্বাচন পরিচালক আব্দুস সালাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক গোলাম মর্তুজা, ইসলামি ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন রুবেল ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের নবনির্বাচিত জিএস মাজহারুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিবির ও জামায়াত নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।