Dhaka বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাবেক আইনমন্ত্রীর পিএসের ১১৪টি ব্যাংক একাউন্ট জব্দের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) ও ‘বান্ধবী’ তৌফিকা করিমের ১১৪টি ব্যাংক একাউন্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এসব একাউন্টে অবৈধ লেনদেন হয়েছে ছয়শত ৫৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজের আদালত এ আদেশ দেন।

তৌফিকা করিমের নামে থাকা ১১৪টি ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ চেয়ে আবেদন করেন সিআইডির উপ-পুলিশ পরিদর্শক (নি.) (ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম) মো. মনিরুজ্জামান।

জব্দ করার স্বপক্ষে আদালত যেসব যুক্তি দেয়া হয়-অভিযুক্ত তৌফিকা করিম সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বান্ধবী ও সাবেক পিএস। তিনি আইনমন্ত্রীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে আদালতে আসামি জামিন, নিয়োগ বাণিজ্য, বদলির তদবিরসহ নানা অপকর্ম করে উপার্জন করেন। উপার্জিত অর্থ দ্বারা ফ্ল্যাট, গাড়ি ও জমি ক্রয় করাসহ বিদেশে অর্থপাচার করে মানিলন্ডারিংয়েল অপরাধ করায় তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালিত ১১৪টি ব্যাংক এ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়। এসব একাউন্টে মোট ছয়শত ৫৩ কোটি ৩৬ লাখ ৫৮ হাজার ১৩১ টাকা জমা এবং পাঁচশত ৬৬ কোটি ৩৮ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৫ টাকা উত্তোলন হয়েছে। হিসাবগুলোতে বর্তমানে ৮৬ কোটি ৯৮ লাখ ৪০ হাজার ৫৫৬ টাকা স্থিতি রয়েছে।

ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তি ক্ষমতার অপ-ব্যবহার করে সংঘবদ্ধভাবে অবৈধভাবে বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচার করেছে মর্মে তথ্য পাওয়া যায়। যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ২ (শ) (২৬) ও (১৪) ধারা মতে সম্পৃক্ত অপরাধ। তাই ব্যাংক হিসাবগুলো ফ্রিজ করা একান্ত প্রয়োজন। ফ্রিজ না হলে অর্থ অন্যত্র হস্তান্তর হতে পারে।

অতএব, সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ১৪(১) ধারা মোতাবেক উপরোক্ত হিসাবগুলো স্থায়ী অবরুদ্ধকরণের জন্য পরিচালক বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, বাংলাদেশ ব্যাংক, মতিঝিল, ঢাকাকে আদেশদানে আপনার সদয় মর্জি হয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সাবেক আইনমন্ত্রীর পিএসের ১১৪টি ব্যাংক একাউন্ট জব্দের নির্দেশ

প্রকাশের সময় : ০৫:০২:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) ও ‘বান্ধবী’ তৌফিকা করিমের ১১৪টি ব্যাংক একাউন্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এসব একাউন্টে অবৈধ লেনদেন হয়েছে ছয়শত ৫৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজের আদালত এ আদেশ দেন।

তৌফিকা করিমের নামে থাকা ১১৪টি ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ চেয়ে আবেদন করেন সিআইডির উপ-পুলিশ পরিদর্শক (নি.) (ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম) মো. মনিরুজ্জামান।

জব্দ করার স্বপক্ষে আদালত যেসব যুক্তি দেয়া হয়-অভিযুক্ত তৌফিকা করিম সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বান্ধবী ও সাবেক পিএস। তিনি আইনমন্ত্রীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে আদালতে আসামি জামিন, নিয়োগ বাণিজ্য, বদলির তদবিরসহ নানা অপকর্ম করে উপার্জন করেন। উপার্জিত অর্থ দ্বারা ফ্ল্যাট, গাড়ি ও জমি ক্রয় করাসহ বিদেশে অর্থপাচার করে মানিলন্ডারিংয়েল অপরাধ করায় তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালিত ১১৪টি ব্যাংক এ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়। এসব একাউন্টে মোট ছয়শত ৫৩ কোটি ৩৬ লাখ ৫৮ হাজার ১৩১ টাকা জমা এবং পাঁচশত ৬৬ কোটি ৩৮ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৫ টাকা উত্তোলন হয়েছে। হিসাবগুলোতে বর্তমানে ৮৬ কোটি ৯৮ লাখ ৪০ হাজার ৫৫৬ টাকা স্থিতি রয়েছে।

ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তি ক্ষমতার অপ-ব্যবহার করে সংঘবদ্ধভাবে অবৈধভাবে বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচার করেছে মর্মে তথ্য পাওয়া যায়। যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ২ (শ) (২৬) ও (১৪) ধারা মতে সম্পৃক্ত অপরাধ। তাই ব্যাংক হিসাবগুলো ফ্রিজ করা একান্ত প্রয়োজন। ফ্রিজ না হলে অর্থ অন্যত্র হস্তান্তর হতে পারে।

অতএব, সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ১৪(১) ধারা মোতাবেক উপরোক্ত হিসাবগুলো স্থায়ী অবরুদ্ধকরণের জন্য পরিচালক বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, বাংলাদেশ ব্যাংক, মতিঝিল, ঢাকাকে আদেশদানে আপনার সদয় মর্জি হয়।