নিজস্ব প্রতিবেদক :
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে (ইসি) ৭৩টি দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাকে চূড়ান্ত করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। আগ্রহী কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আগামী ২০ অক্টোবর পর্যন্ত দাবি বা আপত্তি জানাতে পারবে। এই সময়সীমার পর এসব সংস্থার নিবন্ধন চূড়ান্ত হবে।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ইসির জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক মো. আশাদুল হক এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তি বলা হয়েছে, গত ২৭ জুলাই প্রকাশ করা বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে অন্তর্ভুক্তির আবেদনগুলো যথাযথভাবে যাচাই বাছাই শেষে এ সংক্রান্ত নীতিমালার ৪.৪ (ক) অনুচ্ছেদের আলোকে ৭৩টি প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে কারো কোনো দাবি/আপত্তি/অভিযোগ থাকলে তা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ১৫ কার্যদিবসের (২০ অক্টোবর) মধ্যে ইসির সিনিয়র সচিব বরাবর লিখিতভাবে জানাতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কারো বিরুদ্ধে কোনো দাবি/আপত্তি/অভিযোগ থাকলে তার স্বপক্ষে উপযুক্ত প্রমাণাদিসহ আপত্তিকারীর নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বর উল্লেখপূর্বক ৬ (ছয়) সেট আপত্তি দাখিল করতে হবে। আপত্তির শুনানি শেষে তা গ্রহণ বা বাতিল সম্পর্কে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
জানা যায়, নবম সংসদ নির্বাচনের আগে প্রথমবারের মতো পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন চালু হয়। ২০০৮ সালে ১৩৮টি প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন দেয় তৎকালীন এটিএম শামসুল হুদা কমিশন। তখন নিবন্ধনের মেয়াদ ছিল এক বছর।
নবম সংসদ নির্বাচনে দেশি ৭৫টি প্রতিষ্ঠান ভোট পর্যবেক্ষণে ছিল। ২০১১ সালে নিবন্ধন দেওয়া হয় ১২০টি প্রতিষ্ঠানকে। এগুলোর নিবন্ধনের মেয়াদ ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে শেষ হওয়ার পর কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ কমিশন তা আরও এক বছর বাড়ায়।
দশম সংসদে ভোট পর্যবেক্ষণে ছিল ৩৫টি প্রতিষ্ঠান। ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে আবেদন করে ১৯৯টি, কে এম নুরুল হুদা কমিশন নিবন্ধন দেয় ১১৯। মেয়াদ শেষ হয় পাঁচ বছর পর চলতি জুলাই মাসে।
তবে ওই সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে ৮১টি দেশি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন ২১০টি আবেদনের মধ্যে প্রাথমিকভাবে বাছাই করেছে ৬৮টি।