আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি : 

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে এক গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার হলে ওই রাতেই থানায় তিন ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওই মামলার এক আসামীকে শনিবার রাতেই পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করে। আদালতের নির্দেশে ধর্ষককে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রধান আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের পূর্ব সুজনকাঠী গ্রামের এক গৃহবধূ বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার পশ্চিম সুজনকাঠী গ্রামে খালাবাড়ি বেড়াতে যায়। ওইদিন দিবাগত ২৬ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গৃহবধূ ঘর থেকে বাইরে বের হলে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা ৩ জন যুবক ওই গৃহবধূর মুখ চেপে পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে যায়। তারা হলো একই এলাকার দুলাল সরদারের ছেলে নাবিল সরদার (২০), মোহাম্মদ আলী বেপারীর ছেলে ফয়সাল বেপারী (২৬) ও অজ্ঞাতনামা একজন। তারা তিনজনে মিলে পালাক্রমে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পরে ধর্ষিতাকে অসুস্থাবস্থায় ফেলে গেলে তার চিৎকার শুনে ঘরে থাকা লোকজন বের হয়ে ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে। এঘটনায় ধর্ষিতা গৃহবধূ বাদী হয়ে ২৬ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে আগৈলঝাড়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

মামলার বাদী ও ধর্ষিতা গৃহবধূ সাংবাদিকদের জানায়, আমি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে রাতে ঘর থেকে বাইরে বের হলে আসামীরা আমাকে মুখ চেপে পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে তিনজনে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। আমি তখন অসুস্থ হয়ে পরি। আমি চিৎকার করলে আমার খালা ও ঘরে থাকা লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে। এরপরে ওই রাতেই থানায় গিয়ে মামলা করি।

এ ব্যাপারে আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ পরিদর্শক সুশংকর মল্লিক বলেন, ধর্ষণ মামলার আসামী ফয়সাল বেপারী (২৬) কে শনিবার সকালে উপজেলার ফুল্লশ্রীর বাইপাস সড়কের চৌরাস্তা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে ওইদিন আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও ধর্ষিতাকে পরীক্ষার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।