নিজস্ব প্রতিবেদক :
পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে দেশে সকাল-বিকেল এমপি বেচাকেনা হবে এবং সরকারের স্থিতিশীলতা থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণ-অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর রমনায় বিআইআইএসএস অডিটোরিয়ামে ‘সংস্কার ও নির্বাচন: প্রেক্ষিত জাতীয় ঐক্য’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তৃতাকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পিআর পদ্ধতির বাস্তবায়ন নিয়ে রাশেদ খান তীব্র বিরোধিতা করে বলেন, নিম্নকক্ষে (জাতীয় সংসদ) পিআর বাংলাদেশের বাস্তবতায় কখনোই সম্ভব নয়, তবে উচ্চকক্ষে পিআর নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, পিআর পদ্ধতি চালু হলে এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন সম্ভব হতে পারে এবং এর ফলে দেশে আরেকটি জাতিগত বিভাজন ও ধর্মীয় দাঙ্গা লাগার শঙ্কা তৈরি হবে।
রাশেদ খান প্রশ্ন তোলেন, পিআর হলে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভাগ্য কী হবে, তা স্পষ্ট করে বলা হয়নি।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘সংস্কার ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না’ এমন বক্তব্যের মধ্যদিয়ে কমিশন বা সরকার দায় এড়াতে চাইছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ভিন্নমতকে ঐকমত্যে নিয়ে আসার দায়িত্ব সরকারের, এবং সবার বক্তব্য শুনে একটি সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এসময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের চলমান আন্দোলনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, আলোচনা চলমান থাকার সময় মাঠের আন্দোলনের উদ্দেশ্য কী? ভিসি-ডিসি নিয়োগ বা সুযোগ-সুবিধার সময় যারা আন্দোলন করেনি, এখন আন্দোলন করছে। এর অর্থ তারা আরেকটি সংকট তৈরি করতে চাচ্ছে। আরেকটি ১/১১ হলে দায় এড়াতে পারবেন না।
গণ-অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনের আগে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন এবং প্রশ্ন তোলেন: অদৃশ্য সরকারকে অন্তর্বর্তী সরকার কেন নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না?
জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ১০৪ জনের ব্যয়বহুল সফর নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাশেদ খান বলেন, ‘সাম্যের কথা বলে সরকার বৈষম্যের বিস্তার ঘটিয়েছে। জাতিসংঘে মাত্র তিনটি দলকে নিয়ে গিয়ে সরকার নির্দিষ্ট কিছু দলকে গুরুত্ব দিচ্ছে। ১০৪ জনের এত বড় বহর নিয়ে গেলে পরিবর্তন এলো কোথায়?