Dhaka শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দিল্লির প্ররোচনায় নানা কায়দায় নির্বাচন বানচালের চেষ্টা চলছে : জয়নুল আবদিন ফারুক

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৩৮:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১৮১ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, এখনও ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি। দিল্লির প্ররোচনায় নানা কায়দায় নির্বাচন বানচালের চেষ্টা চলছে। এসময় আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাতের মাধ্যমে কেউ নির্বাচন বানচাল করতে চাইলে তাদেরকে প্রতিহত করা হবে।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের মওলানা আকরাম খাঁ হলে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য আবার নানা পদ্ধতি, নানা কায়দা, নানা মব সৃষ্টি করছে একটা পক্ষ। জাতীয়তাবাদী দলের সব পর্যায়ের নেতাকে আহ্বান জানাবো, ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়নি, (চক্রান্তকারী) এখনো দিল্লিতে বসে আছে (ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে)।

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, যেই দিল্লি স্বাধীনতার সহায়তার নামে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ বাংলাদেশ থেকে লুট করে নিয়েছে, সেই দিল্লির প্ররোচনায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে যদি কেউ প্রফেসর ইউনূসের অধীনে নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করে, জনগণ তা প্রতিহত করবে।

তিনি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, তোমার অধীনে নির্বাচন, তোমার বাপের (শেখ মুজিবুর রহমান) অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি।

নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ্য করে ফারুক বলেন, এমন একটি নির্বাচন দিন যেখানে জনগণ তার নিজের ভোট নিজে দিতে পারবে এবং দিনের ভোট দিনে দিতে পারবে।

জামায়াতে ইসলামীর প্রতি ইঙ্গিত করে বিএনপির এ নেতা বলেন, আপনাদের রাজনৈতিক কৌশল পরিবর্তন করে জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। একদল গণভোট না হলে নির্বাচনে যাবে না, আরেকদল পিআর না হলে নির্বাচনে যাবে না—অথচ তারা ৩০০ আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে। মসজিদে মসজিদে প্রচারণা শুরু করে দিয়েছে, ঘরে ঘরে প্রচারণা শুরু করে দিয়েছে যে— ‘বেহেশতে নিয়ে যাব যদি দাঁড়িপাল্লায় ভোট দাও’।

ফারুক বলেন, বাংলাদেশের জনগণ জানে যে খালেদা জিয়া, তারেক রহমান এবং শহীদ জিয়াউর রহমানের দল যখনই ক্ষমতায় ছিল, জনগণের সঙ্গে কখনো বিশ্বাসঘাতকতা করেনি।

‘তারেক রহমানের আত্মত্যাগ এবং জনগণের প্রতি তার সহানুভূতি প্রমাণ হবে যদি অন্তর্বর্তী সরকার একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারে। বাংলাদেশের জনগণের দল হলো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’, যোগ করেন ফারুক।

সভায় তাঁতী দল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, বাংলাদেশ স্বাধীনতা ঘোষক পরিষদের সভাপতি শেখ শামীম হাসান অনিক, সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

দিল্লির প্ররোচনায় নানা কায়দায় নির্বাচন বানচালের চেষ্টা চলছে : জয়নুল আবদিন ফারুক

প্রকাশের সময় : ০৪:৩৮:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, এখনও ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি। দিল্লির প্ররোচনায় নানা কায়দায় নির্বাচন বানচালের চেষ্টা চলছে। এসময় আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাতের মাধ্যমে কেউ নির্বাচন বানচাল করতে চাইলে তাদেরকে প্রতিহত করা হবে।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের মওলানা আকরাম খাঁ হলে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য আবার নানা পদ্ধতি, নানা কায়দা, নানা মব সৃষ্টি করছে একটা পক্ষ। জাতীয়তাবাদী দলের সব পর্যায়ের নেতাকে আহ্বান জানাবো, ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়নি, (চক্রান্তকারী) এখনো দিল্লিতে বসে আছে (ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে)।

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, যেই দিল্লি স্বাধীনতার সহায়তার নামে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ বাংলাদেশ থেকে লুট করে নিয়েছে, সেই দিল্লির প্ররোচনায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে যদি কেউ প্রফেসর ইউনূসের অধীনে নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করে, জনগণ তা প্রতিহত করবে।

তিনি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, তোমার অধীনে নির্বাচন, তোমার বাপের (শেখ মুজিবুর রহমান) অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি।

নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ্য করে ফারুক বলেন, এমন একটি নির্বাচন দিন যেখানে জনগণ তার নিজের ভোট নিজে দিতে পারবে এবং দিনের ভোট দিনে দিতে পারবে।

জামায়াতে ইসলামীর প্রতি ইঙ্গিত করে বিএনপির এ নেতা বলেন, আপনাদের রাজনৈতিক কৌশল পরিবর্তন করে জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। একদল গণভোট না হলে নির্বাচনে যাবে না, আরেকদল পিআর না হলে নির্বাচনে যাবে না—অথচ তারা ৩০০ আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে। মসজিদে মসজিদে প্রচারণা শুরু করে দিয়েছে, ঘরে ঘরে প্রচারণা শুরু করে দিয়েছে যে— ‘বেহেশতে নিয়ে যাব যদি দাঁড়িপাল্লায় ভোট দাও’।

ফারুক বলেন, বাংলাদেশের জনগণ জানে যে খালেদা জিয়া, তারেক রহমান এবং শহীদ জিয়াউর রহমানের দল যখনই ক্ষমতায় ছিল, জনগণের সঙ্গে কখনো বিশ্বাসঘাতকতা করেনি।

‘তারেক রহমানের আত্মত্যাগ এবং জনগণের প্রতি তার সহানুভূতি প্রমাণ হবে যদি অন্তর্বর্তী সরকার একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারে। বাংলাদেশের জনগণের দল হলো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’, যোগ করেন ফারুক।

সভায় তাঁতী দল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, বাংলাদেশ স্বাধীনতা ঘোষক পরিষদের সভাপতি শেখ শামীম হাসান অনিক, সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।