নিজস্ব প্রতিবেদক :
বড় পরিসরে প্রবাসীদের ভোট নিশ্চিত করতে প্রক্সি ছাড়া বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, প্রবাসীদের ভোটের আওতায় আনতে মন্দের ভালো খুঁজে বের করতে হবে।
সোমবার (১৭ মার্চ) নির্বাচন ভবনে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থাভুক্ত (ওআইসি) ১৯ দেশের বাংলাদেশ মিশন প্রধানদের কাছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি অবহিত করতে বৈঠকে করে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, প্রস্তাবিত পোস্টাল ব্যালট, অনলাইন ভোটিং এবং প্রক্সি ভোটিং এর মধ্যে প্রক্সি ভোটিং ছাড়া বিকল্প আছে বলে মনে হচ্ছে না। প্রক্সি ভোট ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই প্রবাসী ভোট নিয়ে। বর্তমান কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রবাসী ভোট নিয়ে কথা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রস্তুতি নিয়ে কথা হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে ভোটিং ব্যবস্থা নেই, সেখান থেকে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে আইনগত সমস্যা হবে কি-না, এমন প্রশ্নে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, সে কারণে আমাদের এমন একটা পরিস্থিতি অবলম্বন করতে হবে, যাতে তারা আইনগত সমস্যায় না পড়েন। এটাও একটা কারণ প্রক্সি ভোটে যাওয়ার। উনি একজন টেলিফোনে ওনার একজন সহযোগীকে বলে দিতে পারবেন, তাকে তো কোথাও সমাবেশ করে লাইন ধরে ভোট দিতে হচ্ছে না।
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, আমাদের দেশে শারীরিক প্রতিবন্ধীরা আরেকজনের সহায়তা নিয়ে ভোট দিয়ে থাকেন। জমিজমাও পাওয়ার অব অ্যাটর্নির মাধ্যমে করা হয়ে থাকে।
তিনি বলেন, পোস্টাল ব্যালটটা বর্তমানে অকার্যকরী। অনলাইন পদ্ধতি নিয়ে আজও তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। মিশরের রাষ্ট্রদূত জানালেন, তাদের অভিজ্ঞতা ভালো নয়, তারা চালু করে অনলাইন ভোট বন্ধ করে দিয়েছে। পাকিস্তানের প্রতিনিধি বলেছেন, তাদের প্রাথমিক অভিজ্ঞতা ভালো, পূর্ণাঙ্গভাবে অনলাইনে চালুর অবস্থানে নেই তারা।
আগামী এপ্রিলের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিষ্ঠান ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করে ইসি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান সানাউল্লাহ।
তিনি বলেন, উন্নয়ন সহযোগী দেশ বা সংস্থার সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করা হচ্ছে, মতবিনিময় হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় ওআইসিভুক্ত দেশের মিশন প্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। তারা আজ এসেছিলেন, আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। আমাদের বর্তমান কার্যক্রম, গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেসব কাজ হাতে নিয়েছি, সেসব অবহিত করেছি। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশে আমাদের প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটের ব্যাপারে তাদের সহযোগিতা আশা করেছি।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য কোন পদ্ধতিতে ভোট নেওয়া যায়, সেই সম্পর্কে ইসি মতামত জানতে চেয়েছিল সভায় অংশগ্রহণকারীদের কাছে।
সানাউল্লাহ বলেন, প্রবাসী ভোট সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা তারা শেয়ার করেছেন। বিশেষ করে কোনো কোনো রাষ্ট্রদূত সহযোগিতার বিষয়ে তাদের আগ্রহ দেখিয়েছেন এবং অবজারভার টিম পাঠানোর জন্য। আমরা স্বাগত জানিয়েছি এবং যথাসময়ে এগুলো ফরমালাইজ করব।
এ নির্বাচন কমিশনার জানান, ইসির বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি, পরিকল্পনা প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়।
বৈঠকে আলজেরিয়া, ব্রুনেই, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, কুয়েত, মালয়েশিয়া, মরক্কো, পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।