Dhaka মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আশুগঞ্জ নৌবন্দরে টার্মিনাল হলে বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে : নৌপরিবহন উপদেষ্টা

  • প্রতিনিধির নাম
  • প্রকাশের সময় : ০৯:২৪:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪
  • ২০২ জন দেখেছেন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : 

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার অব. এম. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, কার্গো টার্মিনাল নির্মাণের জন্য আশুগঞ্জ নৌবন্দরকে হাব হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। আগে এটি পরিপূর্ণ বন্দর ছিল না। টার্মিনালটি নির্মিত হলে নৌপথে বাণিজ্যের আরও প্রসার ঘটবে। এখানে সাইলোসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রকল্প ও প্রতিষ্ঠান আছে। এটি বাংলাদেশের একটি হাব।

সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দরে কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে নৌবন্দরে নতুন কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ করছে বিআইডব্লিউটিএ। নতুন এই টার্মিনালে তিনটি জেটি ও স্টোরেজ সেডসহ বিভিন্ন অবকাঠামো রয়েছে। আগামী বছর প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

উপদেষ্টা বলেন, অনেকদিন থেকেই আশুগঞ্জে কার্গো টার্মিনাল করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা হচ্ছিল। আরেকটি বিষয় হলো বিশ্বব্যাংক যখন অর্থায়ন করে, তখন তারা না দেখে করে না। তারা যদি মনে করে এটা লাভজনক, তখনই তারা অর্থায়ন করে।

আশুগঞ্জ নৌবন্দরে কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ শেষ হলে বন্দরের সক্ষমতা আরও বাড়বে বলে প্রত্যাশা করেন নৌ উপদেষ্টা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘আশুগঞ্জ অভ্যন্তরীণ দ্বিতীয় কন্টেইনার নদীবন্দর স্থাপন প্রকল্প’কে বিলাসবহুল প্রকল্প উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে আমাদের দেশের কোনো লাভ দেখছি না। কেবল ভারতের স্বার্থেই এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তবে আমিতো আর এ প্রকল্প বন্ধ করতে পারব না। সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘ওই যে, ভাই-বোনের সম্পর্ক বলে একটা কথা আছে না?’

উপদেষ্টা সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, যারা এ ধরনের অচিন্তিত প্রকল্প চালু করেছিলেন তাদের প্রশ্ন করা দরকার ছিল যে, কার স্বার্থে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে? এতে আমাদের কী লাভ হচ্ছে? ট্রানজিট আর করিডোর দুটি ভিন্ন জিনিস উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, এটি কী? তৎকালীন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা উচিত ছিল।

পরিদর্শনকালে নৌপরিবহন উপদেষ্টার সাথে ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার জাবেদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন সুলতানা, আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্যামল চন্দ্র বসাক, নির্মাণাধীন কার্গো টার্মিনালের প্রকল্প পরিচালক আইয়ুব আলী ও আশুগঞ্জ অভ্যন্তরীণ দ্বিতীয় কন্টেইনার নদীবন্দরের প্রকল্প পরিচালক সাজেদুর রহমান প্রমুখ।

আবহাওয়া

সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি তরুণীর পা বিচ্ছিন্ন

আশুগঞ্জ নৌবন্দরে টার্মিনাল হলে বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে : নৌপরিবহন উপদেষ্টা

প্রকাশের সময় : ০৯:২৪:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : 

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার অব. এম. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, কার্গো টার্মিনাল নির্মাণের জন্য আশুগঞ্জ নৌবন্দরকে হাব হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। আগে এটি পরিপূর্ণ বন্দর ছিল না। টার্মিনালটি নির্মিত হলে নৌপথে বাণিজ্যের আরও প্রসার ঘটবে। এখানে সাইলোসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রকল্প ও প্রতিষ্ঠান আছে। এটি বাংলাদেশের একটি হাব।

সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দরে কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে নৌবন্দরে নতুন কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ করছে বিআইডব্লিউটিএ। নতুন এই টার্মিনালে তিনটি জেটি ও স্টোরেজ সেডসহ বিভিন্ন অবকাঠামো রয়েছে। আগামী বছর প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

উপদেষ্টা বলেন, অনেকদিন থেকেই আশুগঞ্জে কার্গো টার্মিনাল করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা হচ্ছিল। আরেকটি বিষয় হলো বিশ্বব্যাংক যখন অর্থায়ন করে, তখন তারা না দেখে করে না। তারা যদি মনে করে এটা লাভজনক, তখনই তারা অর্থায়ন করে।

আশুগঞ্জ নৌবন্দরে কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ শেষ হলে বন্দরের সক্ষমতা আরও বাড়বে বলে প্রত্যাশা করেন নৌ উপদেষ্টা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘আশুগঞ্জ অভ্যন্তরীণ দ্বিতীয় কন্টেইনার নদীবন্দর স্থাপন প্রকল্প’কে বিলাসবহুল প্রকল্প উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে আমাদের দেশের কোনো লাভ দেখছি না। কেবল ভারতের স্বার্থেই এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তবে আমিতো আর এ প্রকল্প বন্ধ করতে পারব না। সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘ওই যে, ভাই-বোনের সম্পর্ক বলে একটা কথা আছে না?’

উপদেষ্টা সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, যারা এ ধরনের অচিন্তিত প্রকল্প চালু করেছিলেন তাদের প্রশ্ন করা দরকার ছিল যে, কার স্বার্থে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে? এতে আমাদের কী লাভ হচ্ছে? ট্রানজিট আর করিডোর দুটি ভিন্ন জিনিস উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, এটি কী? তৎকালীন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা উচিত ছিল।

পরিদর্শনকালে নৌপরিবহন উপদেষ্টার সাথে ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার জাবেদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন সুলতানা, আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্যামল চন্দ্র বসাক, নির্মাণাধীন কার্গো টার্মিনালের প্রকল্প পরিচালক আইয়ুব আলী ও আশুগঞ্জ অভ্যন্তরীণ দ্বিতীয় কন্টেইনার নদীবন্দরের প্রকল্প পরিচালক সাজেদুর রহমান প্রমুখ।