Dhaka রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘাপটি মেরে বসে থাকা পতিত দোসরসহ আমরা যেকোনো অপশক্তিকে রুখে দিতে প্রস্তুত আছি : মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঘাপটি মেরে বসে থাকা পতিত দোসরসহ আমরা যেকোনো অপশক্তিকে রুখে দিতে প্রস্তুত আছি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) নয়াপল্টনে জাতীয় বিপ্লব ও গণসংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত গণ র‌্যালি শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে এখন থেকে গণতন্ত্র ছাড়া অন্য কিছু চলবে না। দীর্ঘ ১৭ বছর শেখ হাসিনা তার দোসর বাহিনী দিয়ে এই দেশে লুটপাট করে খেয়েছিল। আমরা দীর্ঘ ১৭ বছর তার বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। সর্বশেষ ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতা থেকে নামাতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু তার দোসররা এখনো ঘাপটি মেরে বসে আছে। আমরা যেকোনো অপশক্তিকে রুখে দিতে প্রস্তুত আছি। এর জন্য আমরা সব সময় ঐক্যবদ্ধ আছি এবং ভবিষ্যতে থাকব।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, শেখ হাসিনা তার সহকর্মীদের নিয়ে লুটপাট করেছেন। এই ১৭ বছরে অনেক মানুষ জীবন দিয়েছেন। হাজার হাজার মানুষ কারাবরণ করেছেন। বিএনপির ৬০ হাজার নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।

ফখরুল বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালালেও তার দোসররা এখনো ঘাঁপটি মেরে আছে। তারা সুযোগ পেলে হামলা করবে। আমরা জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে তাদের সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেব।

তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের মানুষ তাদের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের ব্যাপারে আপসহীন থাকবেন। আসুন, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে বলি, এখানে গণতন্ত্র ছাড়া অন্য কিছু চলবে না। আবার ফ্যাসিবাদ এলে এ দেশের মানুষ প্রতিহত করবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মহান বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আজকের এই শোভাযাত্রা। এতে আমরা এটিই প্রমাণ করব যে, বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক শক্তি হচ্ছে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক জিয়াউর রহমান।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, আপনারা জানেন ৭ নভেম্বরের আগে খালেদ মোশাররফ এক অভ্যুত্থান করেছিল। তারপরই জিয়াউর রহমান দেশের সার্বভৌমত্বকে ফিরিয়ে আনতে ৭ নভেম্বর সিপাহি জনতাকে নিয়ে এই আন্দোলন করে দেশকে মুক্ত করেছেন।

তিনি বলেন, যেভাবে ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের হাল ধরেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, সেভাবে হাল ধরেন বেগম খালেদা জিয়া। এখন হাল ধরেছেন তারেক রহমান।

র‌্যালি শুরুর আগে কোরআন পাঠ, দোয়া ও মোনাজাত করেন ওলামা দলের আহ্বায়ক কাজী মো. সেলিম রেজা।

অনুষ্ঠানে বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতাম সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় র‌্যালি উদ্ভোধন করেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। র‌্যালি শুরুর আগে কথা বলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ড. আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ ঢাকা মহানগর ও দলটির সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বিমানের ফ্লাইটে ফের ত্রুটি, শারজাহ না গিয়ে ফিরে এলো ঢাকায়

ঘাপটি মেরে বসে থাকা পতিত দোসরসহ আমরা যেকোনো অপশক্তিকে রুখে দিতে প্রস্তুত আছি : মির্জা ফখরুল

প্রকাশের সময় : ০৪:৪১:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঘাপটি মেরে বসে থাকা পতিত দোসরসহ আমরা যেকোনো অপশক্তিকে রুখে দিতে প্রস্তুত আছি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) নয়াপল্টনে জাতীয় বিপ্লব ও গণসংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত গণ র‌্যালি শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে এখন থেকে গণতন্ত্র ছাড়া অন্য কিছু চলবে না। দীর্ঘ ১৭ বছর শেখ হাসিনা তার দোসর বাহিনী দিয়ে এই দেশে লুটপাট করে খেয়েছিল। আমরা দীর্ঘ ১৭ বছর তার বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। সর্বশেষ ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতা থেকে নামাতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু তার দোসররা এখনো ঘাপটি মেরে বসে আছে। আমরা যেকোনো অপশক্তিকে রুখে দিতে প্রস্তুত আছি। এর জন্য আমরা সব সময় ঐক্যবদ্ধ আছি এবং ভবিষ্যতে থাকব।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, শেখ হাসিনা তার সহকর্মীদের নিয়ে লুটপাট করেছেন। এই ১৭ বছরে অনেক মানুষ জীবন দিয়েছেন। হাজার হাজার মানুষ কারাবরণ করেছেন। বিএনপির ৬০ হাজার নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।

ফখরুল বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালালেও তার দোসররা এখনো ঘাঁপটি মেরে আছে। তারা সুযোগ পেলে হামলা করবে। আমরা জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে তাদের সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেব।

তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের মানুষ তাদের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের ব্যাপারে আপসহীন থাকবেন। আসুন, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে বলি, এখানে গণতন্ত্র ছাড়া অন্য কিছু চলবে না। আবার ফ্যাসিবাদ এলে এ দেশের মানুষ প্রতিহত করবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মহান বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আজকের এই শোভাযাত্রা। এতে আমরা এটিই প্রমাণ করব যে, বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক শক্তি হচ্ছে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক জিয়াউর রহমান।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, আপনারা জানেন ৭ নভেম্বরের আগে খালেদ মোশাররফ এক অভ্যুত্থান করেছিল। তারপরই জিয়াউর রহমান দেশের সার্বভৌমত্বকে ফিরিয়ে আনতে ৭ নভেম্বর সিপাহি জনতাকে নিয়ে এই আন্দোলন করে দেশকে মুক্ত করেছেন।

তিনি বলেন, যেভাবে ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের হাল ধরেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, সেভাবে হাল ধরেন বেগম খালেদা জিয়া। এখন হাল ধরেছেন তারেক রহমান।

র‌্যালি শুরুর আগে কোরআন পাঠ, দোয়া ও মোনাজাত করেন ওলামা দলের আহ্বায়ক কাজী মো. সেলিম রেজা।

অনুষ্ঠানে বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতাম সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় র‌্যালি উদ্ভোধন করেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। র‌্যালি শুরুর আগে কথা বলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ড. আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ ঢাকা মহানগর ও দলটির সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।