নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পু যে কোনো সময় পদত্যাগ করবেন। তার পদত্যাগ করা উচিত। তার রাষ্ট্রপতি হওয়ার যোগ্যতা নেই। তিনি আপাদমস্তক একটা দুর্নীতিবাজ লোক।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ইতালির বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আমিনুর রহমান সালামের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ‘সংবর্ধনা ও সাংবাদিকতার বিকাশে জিয়াউর রহমানের অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় রিপন এ কথা বলেন।
রিপন বলেন, বাংলাদেশে কেউ রাষ্ট্রপতি হতে হলে তাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হয়। চুপ্পু সিঙ্গাপুরের নাগরিক। এসব জায়গায় নাগরিক হতে হলে অনেক টাকা লাগে। এসব টাকা কীভাবে পেলেন। মানিলন্ডারিং ছাড়া এসব টাকা নেওয়া যাবে না।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে ক্যারিবিয়ান রাষ্ট্র বার্বাডোসের নাগরিক দাবি করে ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, অন্য দেশের নাগরিক কীভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হন? একমাত্র বাংলাদেশেই এমন অদ্ভুত বিষয় দেখা যায়। অন্য দেশের নাগরিক হয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হওয়া যায়। এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এজন্য তার শাস্তি হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, আমরা শুনেছি তিনি বার্বাডোসের নাগরিক হয়েছেন। এটা মনে হয় শুধু বাংলাদেশেই হয়। অন্যদেশের নাগরিক এদেশের রাষ্ট্রপতি হয়। চুপ্পু সাহেব দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। তাকে কেন বানানো হয়েছিল, কারণ পদ্মা সেতুতে একটা বড় দুর্নীতি হয়েছে। এটা ওয়ার্ল্ড ব্যাংক মনে করে, আমরাও মনে করি। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক যখন তদন্তে আসে এটা জেনেই শেখ হাসিনা চুপ্পুকে ওখানে বসিয়ে দিলেন। এরপর সেই মেয়াদ শেষ হলে ওনাকে ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান করলেন। এরপর সবাই আশ্চর্য হয়ে গেলেন। উনি নাকি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। এটা কিন্তু কেউ জানেন না। ওবায়দুল কাদেরও জানতেন না।
তিনি বলেন, এই যে না জানা, এটা একটা সিন্ডিকেট। বিচার বিভাগ, পুলিশ সব জায়গাতেই তারা একটা সিন্ডিকেট তৈরি করেছিলেন। যাতে তারা ভিন্নমত দমন করতে পারেন।
বিএনপির এ নেতা বলেন, রাষ্ট্রপতি তিন বাহিনীর প্রধানকে পেছনে রেখে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। তাকে পদত্যাগপত্র দেওয়া হয়ছিল। সেখানে হয়তো এটাই লেখা ছিল যে সংসদ ভেঙে দিতে হবে। তা-ই তিনি দিয়েছেন। এখন আড়াই মাস পর এসে বলেন পদত্যাগপত্র পাননি তিনি। এর মধ্যে কোনো উদ্দেশ্য আছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, আমার সামনে যারা আছেন তখন অনেকেই ছোট ছিলেন। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত কোনো সংবাদপত্র কিছু লিখতে পারতো না। একটা-দুইটা সংবাদপত্র কোনো রকম চেপেচুপে নিউজ করতো। যদি ১৯৭৫-এর পর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসতে না পারতেন বা কর্নেল তাহেররা ক্ষমতা নিতেন তাহলে কী হতো এই জাতির, জানা নেই।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের কাছে আমরা দুইভাবে ঋণী। একটা তার স্বাধীনতার ঘোষণা। আরেকটি তিনি ক্ষমতায় এসে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থায় আসতে পেরেছেন। তিনি গণতন্ত্র এনেছেন। এখন সাংবাদিক ভাইয়েরা লিখতে পারবেন। জিয়াউর রহমানের অবদানের কথা এখন লেখা উচিত। এই জাতীয় প্রেসক্লাবও তার অবদান।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আমিনুর রহমান সালাম, বিএনপি নেত্রী ফরিদা ইয়াসমিন, প্রজন্ম দলের নেত্রী পারভীন কাউসার মুন্নী