Dhaka শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৪৩তম বিসিএস থেকে ২ হাজার ৬৪ জনকে নিয়োগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

৪৩তম বিসিএসের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসির) সুপারিশক্রমে ২ হাজার ৬৪ জনকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাতে মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষা-২০২০ এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সুপারিশক্রমে ২ হাজার ৬৪ জন প্রার্থীকে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের বিভিন্ন ক্যাডারের প্রবেশ পদে জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ অনুসারে ২২০০০-৫৩০৬০ টাকা বেতনক্রমে নিয়োগ দেওয়া হলো।

যেসব শর্তে নিয়োগ

> তাকে লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অথবা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ নিতে হবে।

> উক্ত বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ সমাপনান্তে তাকে চাকরি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে সরকার যেরূপ স্থির করবে সেরূপ পেশাগত ও বিশেষ ধরনের প্রশিক্ষণ নিতে হবে।

> তাকে দুই বছর শিক্ষানবিস হিসেবে কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে সরকার এ শিক্ষানবিসকাল অনূর্ধ্ব দুই বছর বর্ধিত করতে পারবে। শিক্ষানবিসকালে যদি তিনি চাকরিতে বহাল থাকার অনুপযোগী বলে বিবেচিত হন, তবে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই এবং সরকারি কর্মকমিশনের পরামর্শ ব্যতিরেকে তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা যাবে।

> প্রশিক্ষণ সাফল্যের সঙ্গে সমাপন, বিভাগীয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং শিক্ষানবিসকাল সন্তোষজনকভাবে অতিক্রান্ত হলে তাকে চাকরিতে স্থায়ী করা হবে।

> প্রশিক্ষণ শুরু হওয়ার পূর্বে তাকে একজন জামানতদারসহ ৩০০ টাকা মূল্যের নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে এ মর্মে একটি বন্ড সম্পাদন করতে হবে যে, যদি তিনি শিক্ষানবিসকালে অথবা শিক্ষানবিসকাল উত্তীর্ণ হওয়ার তিন বছরের মধ্যে চাকরিতে ইস্তফা দেন, তবে প্রশিক্ষণকালে তাকে প্রদত্ত বেতন-ভাতা, প্রশিক্ষণ উপলক্ষে উত্তোলিত অগ্রিম, ভ্রমণভাতা, অন্যান্য ভাতাদি ও তার প্রশিক্ষণের জন্য ব্যয় হওয়া সমুদয় অর্থ ফেরত দিতে তিনি বাধ্য থাকবেন। কর্মস্থল থেকে অব্যাহতি প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের কাছে একটি অঙ্গীকারনামা দাখিল করে তাকে প্রশিক্ষণে যেতে হবে।

> ইস্তফা সরকার কর্তৃক গৃহীত হওয়ার আগে যদি তিনি তার কর্তব্য ও কাজে অনুপস্থিত থাকেন, তবে তার কাছে সরকারের প্রাপ্য সমুদয় অর্থ আদায় করা হবে এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করেছিল পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)। তখন ২ হাজার ১৬৩ জনকে ক্যাডার এবং ৬৪২ জনকে নন-ক্যাডারসহ মোট ২ হাজার ৮০৫ জন প্রার্থী নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছিল।

তবে গত ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর সুপারিশকৃত ২৫৫ জনের বিষয় পুনরায় যাচাই-বাছাই শুরু করে অন্তর্বর্তী সরকার।

যাচাই চলাকালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানায়, পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে আরও যাচাইয়ের জন্য ২৫৫ জনের গোয়েন্দা প্রতিবেদন বিশেষ শাখায় পাঠানো হয়েছে। মেডিকেল পরীক্ষা ও গোয়েন্দা প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে।

২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়।

২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর আটটি বিভাগের বিভিন্ন কেন্দ্রে বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ৪ লাখ ৩৫ হাজারেরও বেশি প্রার্থী অংশ নেয়। এর ফল প্রকাশিত হয় ২০২২ সালের ২০ জানুয়ারি, যাতে ১৫ হাজার ২২০ জন উত্তীর্ণ হন।

একই বছরের জুলাইয়ে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ৯ হাজার ৮৪১ জন কৃতকার্য হন।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বৈরী আবহাওয়ার কারণে আগৈলঝাড়ায় ছাতার কারিগরদের ব্যাপক কদর

৪৩তম বিসিএস থেকে ২ হাজার ৬৪ জনকে নিয়োগ

প্রকাশের সময় : ০৮:৪৩:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

৪৩তম বিসিএসের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসির) সুপারিশক্রমে ২ হাজার ৬৪ জনকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাতে মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষা-২০২০ এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সুপারিশক্রমে ২ হাজার ৬৪ জন প্রার্থীকে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের বিভিন্ন ক্যাডারের প্রবেশ পদে জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ অনুসারে ২২০০০-৫৩০৬০ টাকা বেতনক্রমে নিয়োগ দেওয়া হলো।

যেসব শর্তে নিয়োগ

> তাকে লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অথবা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ নিতে হবে।

> উক্ত বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ সমাপনান্তে তাকে চাকরি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে সরকার যেরূপ স্থির করবে সেরূপ পেশাগত ও বিশেষ ধরনের প্রশিক্ষণ নিতে হবে।

> তাকে দুই বছর শিক্ষানবিস হিসেবে কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে সরকার এ শিক্ষানবিসকাল অনূর্ধ্ব দুই বছর বর্ধিত করতে পারবে। শিক্ষানবিসকালে যদি তিনি চাকরিতে বহাল থাকার অনুপযোগী বলে বিবেচিত হন, তবে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই এবং সরকারি কর্মকমিশনের পরামর্শ ব্যতিরেকে তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা যাবে।

> প্রশিক্ষণ সাফল্যের সঙ্গে সমাপন, বিভাগীয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং শিক্ষানবিসকাল সন্তোষজনকভাবে অতিক্রান্ত হলে তাকে চাকরিতে স্থায়ী করা হবে।

> প্রশিক্ষণ শুরু হওয়ার পূর্বে তাকে একজন জামানতদারসহ ৩০০ টাকা মূল্যের নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে এ মর্মে একটি বন্ড সম্পাদন করতে হবে যে, যদি তিনি শিক্ষানবিসকালে অথবা শিক্ষানবিসকাল উত্তীর্ণ হওয়ার তিন বছরের মধ্যে চাকরিতে ইস্তফা দেন, তবে প্রশিক্ষণকালে তাকে প্রদত্ত বেতন-ভাতা, প্রশিক্ষণ উপলক্ষে উত্তোলিত অগ্রিম, ভ্রমণভাতা, অন্যান্য ভাতাদি ও তার প্রশিক্ষণের জন্য ব্যয় হওয়া সমুদয় অর্থ ফেরত দিতে তিনি বাধ্য থাকবেন। কর্মস্থল থেকে অব্যাহতি প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের কাছে একটি অঙ্গীকারনামা দাখিল করে তাকে প্রশিক্ষণে যেতে হবে।

> ইস্তফা সরকার কর্তৃক গৃহীত হওয়ার আগে যদি তিনি তার কর্তব্য ও কাজে অনুপস্থিত থাকেন, তবে তার কাছে সরকারের প্রাপ্য সমুদয় অর্থ আদায় করা হবে এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করেছিল পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)। তখন ২ হাজার ১৬৩ জনকে ক্যাডার এবং ৬৪২ জনকে নন-ক্যাডারসহ মোট ২ হাজার ৮০৫ জন প্রার্থী নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছিল।

তবে গত ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর সুপারিশকৃত ২৫৫ জনের বিষয় পুনরায় যাচাই-বাছাই শুরু করে অন্তর্বর্তী সরকার।

যাচাই চলাকালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানায়, পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে আরও যাচাইয়ের জন্য ২৫৫ জনের গোয়েন্দা প্রতিবেদন বিশেষ শাখায় পাঠানো হয়েছে। মেডিকেল পরীক্ষা ও গোয়েন্দা প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে।

২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়।

২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর আটটি বিভাগের বিভিন্ন কেন্দ্রে বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ৪ লাখ ৩৫ হাজারেরও বেশি প্রার্থী অংশ নেয়। এর ফল প্রকাশিত হয় ২০২২ সালের ২০ জানুয়ারি, যাতে ১৫ হাজার ২২০ জন উত্তীর্ণ হন।

একই বছরের জুলাইয়ে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ৯ হাজার ৮৪১ জন কৃতকার্য হন।