Dhaka মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংখ্যালঘুরা আমাদের আমানত, তাদের রক্ষা করতে হবে : মির্জা ফখরুল

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি : 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ সকল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ আমাদের আমানত। তাদের রক্ষা করার দায়িত্বও আমাদের। আর আমানতের খেয়ানত যারা করে তারা মোমিন না।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলা ঈদগাহ মাঠে বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।

পবিত্র কুরআনের একটি আয়াতের বর্ণনা তুলে ধরে তিনি বলেন, আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘আমানতের যে খেয়ানত করে তিনি মুমিন না’। এ আমানতকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। সামনে পূজা আসছে, পূজাকে কেন্দ্র করে কোথাও যেন অঘটন না ঘটে সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্র জনতার আন্দোলনের ফলে ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পর আমরা এখন মুক্ত, স্বাধীন। এ স্বাধীনতা ততক্ষণ থাকবে যতক্ষণ আমরা তা ধরে রাখতে পারবো। আমাদের দেশে সনতান ধর্মাবলম্বীসহ সবাই মিলেমিশে বসবাস করবো। তারা আমাদের আমানত। সামনে দুর্গাপূজা আসছে। তাদের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের সকলের।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, এ আন্দোলনে খুনি হাসিনা হাজার হাজার মানুষ খুন করেছে। বিএনপি নেতা, ছাত্র-জনতাকে নির্যাতন করেছে। নির্যাতনের আয়নাঘর বানিয়েছে। মনে রাখবেন, সীমা লঙ্ঘনকারীকে আল্লাহ পছন্দ করেন না। তিনি যখন যাকে চান আমির বানান, আবার যখন যাকে চান ফকির বানান।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ভয়াবহ দানব ফ্যাসিবাদ হাসিনা সরকারের পতন ঘটেছে। তার পতনের আগে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হাসিনা সরকার খুন করেছে প্রায় দুই হাজার মানুষকে। কারো হাত চলে গেছে, কারো পা চলে গেছে, কারো মাথার খুলি উড়ে গেছে। এরা কেউ কলেজে পড়ত, কেউবা ইউনিভার্সিটিতে পড়ত। এইসব মানুষকে হাসিনা খুন করেছে। সব শেষে জনতার ভয়ে হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেছে। কারো উপর অন্যায় নির্যাতন করবেন না। নয়তো আওয়ামী লীগের মতো পরিণতি হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে আমরা মুক্ত বাংলাদেশে বাস করছি। কিন্তু মনে রাখবেন সেদিন পর্যন্ত এটি মুক্ত থাকবে, যেদিন পর্যন্ত আমরা এটিকে স্বাধীনভাবে রাখতে পারব। আমরা যদি আবার আওয়ামী লীগের মতো শুরু করি তাহলে কি আমরা টিকতে পারবো? উপস্থিত নেতাকর্মীরা না সূচক কথা বললে ফখরুল বলেন, তাদের মতো (আওয়ামী লীগের) একই আচরণ করলে একই রকম দশা হবে আমাদেরও। সেই জন্য আমরা যারা লড়াই করেছি, সংগ্রাম করেছি-তাদের প্রতি আমার অনুরোধ আপনারা নিজেদেরকে মানুষের কাছে প্রিয় বানান, ভালোবাসার পাত্র হিসেবে তৈরি করেন। কারও ওপর অন্যায়-অত্যাচার নির্যাতন করবেন না।

আওয়ামী লীগ সরকার ও শেখ হাসিনা ব্যাপকভাবে নির্যাতন ও জেল-জুলুম করেছে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, গত ১৫-১৬ বছরে আমরা খুব কষ্ট পেয়েছি। আপনাদের এইখানে মামলা হয়েছে শুধু বিএনপি করার অপরাধে, জামাত করার অপরাধে, আপনাদেরকে জেলে রাখা হয়েছে। সেই অবস্থার পরিসমাপ্তি ঘটেছে। যে শেখ হাসিনা সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতা হয়ে গিয়েছিল, তাকে ঠিক সেভাবে পালিয়ে যেতে হয়েছে। জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তাকে চলে যেতে হয়েছে। চলে যাওয়ার আগ মুহূর্তে লাখ লাখ মানুষ গণভবন দখলে আসছিল। ঠিক সেই মুহূর্তে হেলিকপ্টারে করে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে গিয়ে তিনি জীবন রক্ষা করেন।

পবিত্র কুরআনের সূরা ইমরানের একটি আয়াত আরবিতে তেলওয়াত করে তা বাংলায় অনুবাদ করে ফখরুল বলেন, আল্লাহ বলেন, ‘আমি যাকে ইচ্ছা মালিক বানাই, বাদশা বানাই, রাষ্ট্রপতি বানাই প্রধানমন্ত্রী বানাই-আবার তাকে যেকোনো সময় রাস্তার ফকির বানিয়ে দিই।’ আজকে সেই প্রতাপশালী শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিয়ে সেই করুণ অবস্থার মধ্যে পড়েছে। আর যারা এইখানে দাপটের সঙ্গে আমাদেরকে শাসন করত, আমাদেরকে জেলে দিত, জুলুম করত, জমি দখল করে নিত, ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে নিত, আমাদেরকে রাজনীতি করতে দিত না-আজ তারা জেলের ভেতরে ঢুকে পড়ে আছে। এ জন্যই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সীমালঙ্ঘন করো না, সীমালঙ্ঘনকারীকে আল্লাহ ক্ষমা করেন না’।

ফখরুল বলেন, আমি ১১ বার কারাগারে গিয়েছি। আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বছরের পর বছর লড়াই-সংগ্রাম করেছি। আমাদের ঠাকুরগাঁওয়ে অসংখ্য ছেলেকে গুলি করেছে, অসংখ্য মামলা হয়েছে। বারবার জেলে গিয়েছে আমাদের ছেলেরা কিন্তু কখনো সত্যের পথ থেকে সরে দাঁড়ায়নি।

তিনি বলেন, প্রয়াত জামাত নেতা আমাদের গোলাম আযমের ছেলে ব্রিগেডিয়ার আবদুল্লাহিল আমান আযমীকে আট বছর আয়নাঘরে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে এই আয়নাঘরে রাখা হয়েছে। অনেক নেতাকর্মীর খবরই পাই না। ১২ বছর আগে ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হন, এখন পর্যন্ত তার কোনো খবরই পাওয়া যায়নি। তার স্ত্রী-সন্তানরা জানে না তার মৃত্যু দিবস পালন করবে, না আল্লাহ তাকে ভালোভাবে ফিরিয়ে দিক সে দোয়া করবে, তারা সেটাও জানে না। আওয়ামী লীগ সরকার দেশের সমস্ত নামিদামি মানুষকে টর্চার করার জন্য আয়নাঘর বানিয়েছিল। বিএনপি-জামায়াত ইসলামের নেতাকর্মীদের ধরে নিয়ে সেখানে নির্যাতন করা হতো।

ওবায়দুল কাদের প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, কোথায় গেলেন ওবায়দুল কাদের সাহেব, আপনি কোথায় চলে গেছেন দেশবাসী জানে না। আমি আপনাকে বলতে চাই, আমার বাসায় আসেন আমার এলাকাতে আসেন।

এদিন নিজে অসুস্থতা থাকার কারণে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিতে না পারায় নেতাকর্মীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে সভা শেষ করেন মির্জা ফখরুল।

সভায় হরিপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি উপাধ্যক্ষ জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, আবু তাহের প্রমুখ বক্তব্য দেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংখ্যালঘুরা আমাদের আমানত, তাদের রক্ষা করতে হবে : মির্জা ফখরুল

প্রকাশের সময় : ০৪:২১:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি : 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ সকল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ আমাদের আমানত। তাদের রক্ষা করার দায়িত্বও আমাদের। আর আমানতের খেয়ানত যারা করে তারা মোমিন না।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলা ঈদগাহ মাঠে বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।

পবিত্র কুরআনের একটি আয়াতের বর্ণনা তুলে ধরে তিনি বলেন, আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘আমানতের যে খেয়ানত করে তিনি মুমিন না’। এ আমানতকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। সামনে পূজা আসছে, পূজাকে কেন্দ্র করে কোথাও যেন অঘটন না ঘটে সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্র জনতার আন্দোলনের ফলে ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পর আমরা এখন মুক্ত, স্বাধীন। এ স্বাধীনতা ততক্ষণ থাকবে যতক্ষণ আমরা তা ধরে রাখতে পারবো। আমাদের দেশে সনতান ধর্মাবলম্বীসহ সবাই মিলেমিশে বসবাস করবো। তারা আমাদের আমানত। সামনে দুর্গাপূজা আসছে। তাদের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের সকলের।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, এ আন্দোলনে খুনি হাসিনা হাজার হাজার মানুষ খুন করেছে। বিএনপি নেতা, ছাত্র-জনতাকে নির্যাতন করেছে। নির্যাতনের আয়নাঘর বানিয়েছে। মনে রাখবেন, সীমা লঙ্ঘনকারীকে আল্লাহ পছন্দ করেন না। তিনি যখন যাকে চান আমির বানান, আবার যখন যাকে চান ফকির বানান।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ভয়াবহ দানব ফ্যাসিবাদ হাসিনা সরকারের পতন ঘটেছে। তার পতনের আগে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হাসিনা সরকার খুন করেছে প্রায় দুই হাজার মানুষকে। কারো হাত চলে গেছে, কারো পা চলে গেছে, কারো মাথার খুলি উড়ে গেছে। এরা কেউ কলেজে পড়ত, কেউবা ইউনিভার্সিটিতে পড়ত। এইসব মানুষকে হাসিনা খুন করেছে। সব শেষে জনতার ভয়ে হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেছে। কারো উপর অন্যায় নির্যাতন করবেন না। নয়তো আওয়ামী লীগের মতো পরিণতি হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে আমরা মুক্ত বাংলাদেশে বাস করছি। কিন্তু মনে রাখবেন সেদিন পর্যন্ত এটি মুক্ত থাকবে, যেদিন পর্যন্ত আমরা এটিকে স্বাধীনভাবে রাখতে পারব। আমরা যদি আবার আওয়ামী লীগের মতো শুরু করি তাহলে কি আমরা টিকতে পারবো? উপস্থিত নেতাকর্মীরা না সূচক কথা বললে ফখরুল বলেন, তাদের মতো (আওয়ামী লীগের) একই আচরণ করলে একই রকম দশা হবে আমাদেরও। সেই জন্য আমরা যারা লড়াই করেছি, সংগ্রাম করেছি-তাদের প্রতি আমার অনুরোধ আপনারা নিজেদেরকে মানুষের কাছে প্রিয় বানান, ভালোবাসার পাত্র হিসেবে তৈরি করেন। কারও ওপর অন্যায়-অত্যাচার নির্যাতন করবেন না।

আওয়ামী লীগ সরকার ও শেখ হাসিনা ব্যাপকভাবে নির্যাতন ও জেল-জুলুম করেছে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, গত ১৫-১৬ বছরে আমরা খুব কষ্ট পেয়েছি। আপনাদের এইখানে মামলা হয়েছে শুধু বিএনপি করার অপরাধে, জামাত করার অপরাধে, আপনাদেরকে জেলে রাখা হয়েছে। সেই অবস্থার পরিসমাপ্তি ঘটেছে। যে শেখ হাসিনা সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতা হয়ে গিয়েছিল, তাকে ঠিক সেভাবে পালিয়ে যেতে হয়েছে। জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তাকে চলে যেতে হয়েছে। চলে যাওয়ার আগ মুহূর্তে লাখ লাখ মানুষ গণভবন দখলে আসছিল। ঠিক সেই মুহূর্তে হেলিকপ্টারে করে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে গিয়ে তিনি জীবন রক্ষা করেন।

পবিত্র কুরআনের সূরা ইমরানের একটি আয়াত আরবিতে তেলওয়াত করে তা বাংলায় অনুবাদ করে ফখরুল বলেন, আল্লাহ বলেন, ‘আমি যাকে ইচ্ছা মালিক বানাই, বাদশা বানাই, রাষ্ট্রপতি বানাই প্রধানমন্ত্রী বানাই-আবার তাকে যেকোনো সময় রাস্তার ফকির বানিয়ে দিই।’ আজকে সেই প্রতাপশালী শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিয়ে সেই করুণ অবস্থার মধ্যে পড়েছে। আর যারা এইখানে দাপটের সঙ্গে আমাদেরকে শাসন করত, আমাদেরকে জেলে দিত, জুলুম করত, জমি দখল করে নিত, ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে নিত, আমাদেরকে রাজনীতি করতে দিত না-আজ তারা জেলের ভেতরে ঢুকে পড়ে আছে। এ জন্যই আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সীমালঙ্ঘন করো না, সীমালঙ্ঘনকারীকে আল্লাহ ক্ষমা করেন না’।

ফখরুল বলেন, আমি ১১ বার কারাগারে গিয়েছি। আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বছরের পর বছর লড়াই-সংগ্রাম করেছি। আমাদের ঠাকুরগাঁওয়ে অসংখ্য ছেলেকে গুলি করেছে, অসংখ্য মামলা হয়েছে। বারবার জেলে গিয়েছে আমাদের ছেলেরা কিন্তু কখনো সত্যের পথ থেকে সরে দাঁড়ায়নি।

তিনি বলেন, প্রয়াত জামাত নেতা আমাদের গোলাম আযমের ছেলে ব্রিগেডিয়ার আবদুল্লাহিল আমান আযমীকে আট বছর আয়নাঘরে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে এই আয়নাঘরে রাখা হয়েছে। অনেক নেতাকর্মীর খবরই পাই না। ১২ বছর আগে ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হন, এখন পর্যন্ত তার কোনো খবরই পাওয়া যায়নি। তার স্ত্রী-সন্তানরা জানে না তার মৃত্যু দিবস পালন করবে, না আল্লাহ তাকে ভালোভাবে ফিরিয়ে দিক সে দোয়া করবে, তারা সেটাও জানে না। আওয়ামী লীগ সরকার দেশের সমস্ত নামিদামি মানুষকে টর্চার করার জন্য আয়নাঘর বানিয়েছিল। বিএনপি-জামায়াত ইসলামের নেতাকর্মীদের ধরে নিয়ে সেখানে নির্যাতন করা হতো।

ওবায়দুল কাদের প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, কোথায় গেলেন ওবায়দুল কাদের সাহেব, আপনি কোথায় চলে গেছেন দেশবাসী জানে না। আমি আপনাকে বলতে চাই, আমার বাসায় আসেন আমার এলাকাতে আসেন।

এদিন নিজে অসুস্থতা থাকার কারণে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিতে না পারায় নেতাকর্মীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে সভা শেষ করেন মির্জা ফখরুল।

সভায় হরিপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি উপাধ্যক্ষ জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, আবু তাহের প্রমুখ বক্তব্য দেন।