Dhaka শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাংবাদিক হত্যার বিচার দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

নিজস্ব প্রতিবেদক :

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ঢাকা টাইমসের সাংবাদিক হাসান মেহেদীসহ নিহত সাংবাদিকদের হত্যার বিচারের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন সাধারণ সাংবাদিকরা।

শুক্রবার (২ আগস্ট) দুপুর ১২টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজার মোড়ে ‘আমরা গণমাধ্যমকর্মী’ ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে এ আল্টিমেটাম দেন তারা। এসময় মানববন্ধনে অংশ নেওয়া আহত সাংবাদিকরা নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

ফটো সাংবাদিক শামিম আহমেদ বলেন, মিরপুর ১০ নম্বর এলাকায় আমার ওপর একাধিকবার হামলা হয়েছে। আমার ওপর কোনো ছাত্র হামলা করেনি। বরং ছাত্রলীগ ও যুবলীগের লোকজন আমাকে ঘিরে ধরে মারধর করেছে।

যমুনা টিভির সিনিয়র রিপোর্টার রাব্বি সিদ্দিকী বলেন, আমরা সাধারণ সাংবাদিকরা আসলে কোথায় যাব? আমাদের নিরাপত্তা দেবে কে? আমরা আমাদের চারজন ভাইকে হারালাম। বহু ভাই-বোন আহত। রাষ্ট্র কি তাদের খোঁজ নিয়েছে? খোঁজ নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি।

তিনি বলেন, আমরা ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছি, ট্রমার মধ্যে আমরা প্রত্যেক গণমাধ্যমকর্মী। আমরা প্রতিটি মুহূর্তে আতঙ্কে থাকি। এটা কবে কাটবে?

মানববন্ধনে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিপন দেওয়ান বলেন, সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনে জড়িতদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চিহ্নিত করে তাদের বিচার করতে হবে।

এসময়ের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন গণমাধ্যমকর্মীরা।

মানববন্ধনে সাংবাদিক নেতাদের সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, আমাদের যেসব সাংবাদিক নেতারা আছেন, শুধু টেলিভিশনের টকশোতে এসে সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের গালগল্প করেন, সেটি শুধুই তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য। বাস্তবে তারা কিছুই করেন না। বরং তারা মাঠের সাংবাদিকদের মাথা বিক্রি করে চলেন। বাস্তবে তারা সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে কিছুই করেন না।

Tag :
জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সাংবাদিক হত্যার বিচার দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

প্রকাশের সময় : ০৮:২২:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক :

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ঢাকা টাইমসের সাংবাদিক হাসান মেহেদীসহ নিহত সাংবাদিকদের হত্যার বিচারের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন সাধারণ সাংবাদিকরা।

শুক্রবার (২ আগস্ট) দুপুর ১২টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজার মোড়ে ‘আমরা গণমাধ্যমকর্মী’ ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে এ আল্টিমেটাম দেন তারা। এসময় মানববন্ধনে অংশ নেওয়া আহত সাংবাদিকরা নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

ফটো সাংবাদিক শামিম আহমেদ বলেন, মিরপুর ১০ নম্বর এলাকায় আমার ওপর একাধিকবার হামলা হয়েছে। আমার ওপর কোনো ছাত্র হামলা করেনি। বরং ছাত্রলীগ ও যুবলীগের লোকজন আমাকে ঘিরে ধরে মারধর করেছে।

যমুনা টিভির সিনিয়র রিপোর্টার রাব্বি সিদ্দিকী বলেন, আমরা সাধারণ সাংবাদিকরা আসলে কোথায় যাব? আমাদের নিরাপত্তা দেবে কে? আমরা আমাদের চারজন ভাইকে হারালাম। বহু ভাই-বোন আহত। রাষ্ট্র কি তাদের খোঁজ নিয়েছে? খোঁজ নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি।

তিনি বলেন, আমরা ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছি, ট্রমার মধ্যে আমরা প্রত্যেক গণমাধ্যমকর্মী। আমরা প্রতিটি মুহূর্তে আতঙ্কে থাকি। এটা কবে কাটবে?

মানববন্ধনে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিপন দেওয়ান বলেন, সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনে জড়িতদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চিহ্নিত করে তাদের বিচার করতে হবে।

এসময়ের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন গণমাধ্যমকর্মীরা।

মানববন্ধনে সাংবাদিক নেতাদের সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, আমাদের যেসব সাংবাদিক নেতারা আছেন, শুধু টেলিভিশনের টকশোতে এসে সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের গালগল্প করেন, সেটি শুধুই তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য। বাস্তবে তারা কিছুই করেন না। বরং তারা মাঠের সাংবাদিকদের মাথা বিক্রি করে চলেন। বাস্তবে তারা সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে কিছুই করেন না।