নিজস্ব প্রতিবেদক :
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করেছে। বাংলাদেশে করাপশনটা একদিনে তৈরি হয়নি।
রোববার (১২ মে) ঢাকায় হোটেল সোনারগাওয়ে ইউএন গ্লোবাল কমপ্যাক্ট নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ আয়োজিত ‘মেরিটাইম এন্টি-করাপশন নেটওয়ার্ক (এমএসিএন) বাংলাদেশ রিপোর্ট লঞ্চ ইভেন্ট এবং মেরিটাইম ব্যবসা-বাণিজ্যে জালিয়াতি প্রতিরোধ’ শীর্ষক যৌথ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনেক ত্যাগের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি। স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় আমাদের গৌরব ও আমাদের অহংকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যার মধ্য দিয়ে সবকিছু ম্লান হয়ে গিয়েছিল। এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করার মধ্য দিয়ে মূলত দুর্নীতিকে পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে এ হত্যাকাণ্ডকে এবং হত্যাকারীদের যেভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়েছে, এর মাধ্যমে দুর্নীতি সমাজ ও রাষ্ট্র সব জায়গায় ছড়িয়ে গেছে। সেই জায়গা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসার চ্যালেঞ্জ ছিল। সেই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করা আমাদের চ্যালেঞ্জ ছিল।
তিনি আরও বলেন, আমাদের চ্যালেঞ্জ ছিল যারা ৩০ লাখ মানুষ হত্যা করেছে, লাখ লাখ মা-বোনকে নির্যাতন করেছে, সেসব অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা। আমরা গর্ব করে বলতে পারি, বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে, বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছে, বিচারের রায় কার্যকর করেছে ও বিচার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্র চর্চা শুরু হয়েছে।
খালিদ মাহমুদ বলেন, গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রযন্ত্র পরিচালনার ক্ষেত্রে পেশাদারিত্বকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত রাষ্ট্র তৈরি করার যে মহাপরিকল্পনা ছিল, সেই জায়গা থেকে রক্ষা করতে পেরেছি। এ ধরনের পদক্ষেপ, এ ধরনের উদ্যোগ ও এ ধরনের সমাজ গঠনের পদক্ষেপ আমাদের আরও বেশি উৎসাহিত করবে।
তিনি বলেন, মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করবে। আমরা চাই ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ। উন্নত বাংলাদেশ মানে শুধু অর্থবিত্তের মধ্য দিয়ে উন্নত হওয়া নয়, উন্নত বাংলাদেশ হচ্ছে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা। উন্নত বাংলাদেশ হচ্ছে একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্বের সুখ-সুবিধা আমাদের মধ্যে থাকবে। সেই ধরনের উন্নত বাংলাদেশ চাই, যেখানে সমগ্র পৃথিবী এই বাংলাদেশকে নিয়ে গর্ববোধ করবে ও অহংকার করবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা যে উন্নয়নের রোল মডেল তৈরি করেছি, সেই রোল মডেল এখানেই সীমাবদ্ধ না। আমরা দুনিয়াকে দেখাতে চাই, আমরা ৭১ সালে রক্তের বিনিময়ে, মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে যে দেশ তৈরি করেছি… সেই বাংলাদেশ সমগ্র পৃথিবীর জন্য তৈরি করেছি, শুধু আমাদের জন্য নয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ইস্ট কোস্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজম জে চৌধুরী, এমএসিএন-এর দক্ষিণ এশিয়ার সিনিয়র নেতা জোনাস সোবার্গ আরল্যান্ডসেন (ঔড়হধং ংড়নবৎম বৎষধহফংবহ), এমএসিএন বাংলাদেশ প্রকল্পের নেতা কমডোর (অব.) সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন আব্দুল কাদির, ইউএন গ্লোবাল কমপ্যাক্ট নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক শাহামিন জামান।
নিজস্ব প্রতিবেদক 




















