Dhaka শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শপথ নিলেন পাঞ্জাবের নির্বাচিত সদস্যরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

আনুষ্ঠানিকভাবে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে পাকিস্তানে। দেশটির পাঞ্জাব প্রদেশে শপথ নিয়েছেন নবনির্বাচিত এমপিরা। এ সময় তাদের শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন বিদায়ী স্পিকার সিবতাইন খান।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় এমপিদের শপথ গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরুর কথা থাকলেও দুই ঘণ্টা ২০ মিনিটের বেশি বিলম্বের পর শপথ গ্রহণ শুরু হয়। এ শপথের মধ্যদিয়ে নওয়াজ কন্যা মরিয়ম নওয়াজ সংসদীয় রাজনীতিতে প্রবেশ করলেন।

এর আগে পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং মুখ্যমন্ত্রীর পদের জন্য দলের মনোনীত মিয়ান আসলামকে বিধানসভা চত্বর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপরই সেখানে উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হয়। একদিকে স্পিকারের কাছে শপথ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন পিএমএল-এন আইনপ্রণেতারা; আর অন্যদিকে বিরোধীদের তখনো পর্যন্ত সংরক্ষিত আসন বরাদ্দ না হওয়ায় স্পিকারকে অধিবেশন মুলতবি করতে তারা আহ্বান জানাচ্ছিলেন।

এরপর উত্তেজনা কমাতে অধিবেশন সংক্ষিপ্তভাবে স্পিকার শুক্রবারের নামাজের পর পর্যন্ত স্থগিত করেন। নামাজের পর শুরু হয় শপথ গ্রহণ।

এছাড়া শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) পাঞ্জাব বিধানসভার নতুন স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাসেম্বলি সচিব। স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকার প্রার্থীদের আজ বিকাল ৫টার মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কথা ছিল।

এদিকে প্রাদেশিক সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পিএমএল-এনের পক্ষ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন নওয়াজ শরিফের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ। এর মাধ্যমে তিনিই হবেন পাকিস্তানের সাত দশকের ইতিহাসে প্রথম নারী মুখ্যমন্ত্রী। পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হতে মরিয়ম নওয়াজ নির্বাচনে জয় পাওয়া পিপি-১৫৯ আসনে তিনি তার ক্ষমতা ধরে রাখবেন। অন্যদিকে শপথ গ্রহণের আগেই নির্বাচনে জয় পাওয়া আরেক আসন এনএ-১১৯ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন মরিয়ম নওয়াজ।

৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের পর এটাই ছিল প্রথম প্রাদেশিক পরিষদের অধিবেশন। যেখানে নবনির্বাচিত সদস্যরা শপথ নিয়েছেন। অধিবেশনে ৩১৩ জন আইনপ্রণেতা উপস্থিত ছিলেন, যার মধ্যে ২১৫ জন পিএমএল-এন এবং এর সহযোগী দলগুলোর। বাকি ৯৮ জন ছিলেন সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের (এসআইসি) সদস্য।

দেরিতে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন), পাকিস্তান তেহেরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এবং সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্যরা শপথ নেয়ার সময় একে-অপরের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন ও উচ্চবাচ্য বিনিময় করেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

শপথ নিলেন পাঞ্জাবের নির্বাচিত সদস্যরা

প্রকাশের সময় : ০৮:৫০:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

আনুষ্ঠানিকভাবে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে পাকিস্তানে। দেশটির পাঞ্জাব প্রদেশে শপথ নিয়েছেন নবনির্বাচিত এমপিরা। এ সময় তাদের শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন বিদায়ী স্পিকার সিবতাইন খান।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় এমপিদের শপথ গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরুর কথা থাকলেও দুই ঘণ্টা ২০ মিনিটের বেশি বিলম্বের পর শপথ গ্রহণ শুরু হয়। এ শপথের মধ্যদিয়ে নওয়াজ কন্যা মরিয়ম নওয়াজ সংসদীয় রাজনীতিতে প্রবেশ করলেন।

এর আগে পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং মুখ্যমন্ত্রীর পদের জন্য দলের মনোনীত মিয়ান আসলামকে বিধানসভা চত্বর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপরই সেখানে উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হয়। একদিকে স্পিকারের কাছে শপথ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন পিএমএল-এন আইনপ্রণেতারা; আর অন্যদিকে বিরোধীদের তখনো পর্যন্ত সংরক্ষিত আসন বরাদ্দ না হওয়ায় স্পিকারকে অধিবেশন মুলতবি করতে তারা আহ্বান জানাচ্ছিলেন।

এরপর উত্তেজনা কমাতে অধিবেশন সংক্ষিপ্তভাবে স্পিকার শুক্রবারের নামাজের পর পর্যন্ত স্থগিত করেন। নামাজের পর শুরু হয় শপথ গ্রহণ।

এছাড়া শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) পাঞ্জাব বিধানসভার নতুন স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাসেম্বলি সচিব। স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকার প্রার্থীদের আজ বিকাল ৫টার মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কথা ছিল।

এদিকে প্রাদেশিক সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পিএমএল-এনের পক্ষ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন নওয়াজ শরিফের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ। এর মাধ্যমে তিনিই হবেন পাকিস্তানের সাত দশকের ইতিহাসে প্রথম নারী মুখ্যমন্ত্রী। পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হতে মরিয়ম নওয়াজ নির্বাচনে জয় পাওয়া পিপি-১৫৯ আসনে তিনি তার ক্ষমতা ধরে রাখবেন। অন্যদিকে শপথ গ্রহণের আগেই নির্বাচনে জয় পাওয়া আরেক আসন এনএ-১১৯ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন মরিয়ম নওয়াজ।

৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের পর এটাই ছিল প্রথম প্রাদেশিক পরিষদের অধিবেশন। যেখানে নবনির্বাচিত সদস্যরা শপথ নিয়েছেন। অধিবেশনে ৩১৩ জন আইনপ্রণেতা উপস্থিত ছিলেন, যার মধ্যে ২১৫ জন পিএমএল-এন এবং এর সহযোগী দলগুলোর। বাকি ৯৮ জন ছিলেন সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের (এসআইসি) সদস্য।

দেরিতে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন), পাকিস্তান তেহেরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এবং সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্যরা শপথ নেয়ার সময় একে-অপরের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন ও উচ্চবাচ্য বিনিময় করেন।