নিজস্ব প্রতিবেদক :
ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম ১২ কেজিতে আরও ৪১ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে ১২ কেজি এলপিজির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ৪৭৪ টাকা, যা গত মাসে ছিল এক হাজার ৪৩৩ টাকা।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সচিব মো. রেজাউল করিম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। নতুন মূল্য আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকেই কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, বেসরকারি এলপিজির রিটেইলার পয়েন্টে ভোক্তা পর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১২২ টাকা ৮৬ পয়সা সমন্বয় করা হয়েছে। এছাড়া রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় সরবরাহ করা বেসরকারি এলপিজির ভোক্তা পর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতিকেজি ১১৯ টাকা ৪ পয়সা সমন্বয় করা হয়েছে। সেই সাথে ভোক্তাপর্যায়ে অটোগ্যাসের দাম মূসকসহ প্রতি লিটারের মূল্য ৬৭ টাকা ৬৮ পয়সা সমন্বয় করা হয়েছে।
গত ২ জানুয়ারি ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ২৯ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়। একমাসের মধ্যেই সেই দাম আবার বাড়ানো হলো।
আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে সৌদি আরবের আরামকো কম্পানির প্রপেন ও বিউটেনের দামের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতি মাসে এলপিজির মূল্য ঘোষণা করে আসছে বিইআরসি।
২০২১ সালের ১২ এপ্রিলের আগে পর্যন্ত এলপিজির দর ছিল কোম্পানিগুলোর ইচ্ছাধীন। ১২ এপ্রিল দর ঘোষণার সময় বলা হয় আমদানিনির্ভর এই জ্বালানি সৌদি রাষ্ট্রীয় কোম্পানি আরামকো ঘোষিত দরকে ভিত্তিমূল্য ধরা হবে। সৌদির দর ওঠা-ওঠা-নামা করলে ভিত্তিমূল্য উঠানামা করবে। অন্যান্য কমিশন অপরিবর্তিত থাকবে। ঘোষণার পর থেকে প্রতিমাসে এলপিজির দর ঘোষণা করে আসছে বিইআরসি।
তবে বিইআরসির ঘোষিত দরে বাজারে পাওয়া নিয়ে অভিযোগ রয়েছে ভোক্তাদের। তাদের অভিযোগ হচ্ছে বাজারে নির্ধারিত মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে না। বিক্রেতারা তার ইচ্ছামত দর আদায় করছেন।
দর প্রসঙ্গে বিইআরসি চেয়ারম্যানের বক্তব্য হচ্ছে, ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে সেসব বিক্রেতার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, ভবিষ্যতেও নেওয়া হবে।