নিজস্ব প্রতিবেদক :
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায় বিরুদ্ধে আপিল করে আপিল আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজন।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম এ আউয়াল আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
ড. ইউনূসের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিন বলেন, ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের রায় চ্যালেঞ্জ করে আজ শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে ড. ইউনূসসহ চার বিবাদীর পক্ষে আপিল দায়ের করা হয়েছে। আপিলের সঙ্গে তাঁদের জামিন চাওয়া হলে আদালত আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে জামিন মঞ্জুর করেন।
এ সময় ইউনূসসহ অন্য তিন বিবাদী গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ড. ইউনূসসহ চারজন সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আসেন। তারা এ মামলায় ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের দেওয়া সাজার রায় চ্যালেঞ্জ করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করেন। একই সঙ্গে তারা জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
শ্রম আইনের ৩০৩ (ঙ) ধারায় তাদের সর্বোচ্চ ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপরদিকে ৩০৭ ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন আদালত। এরপর আসামিপক্ষ আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করেন। আদালত সে আবেদন মঞ্জুর করে ৫ হাজার টাকা বন্ডে এক মাসের জন্য জামিন দেন।
এর আগে গত বছরের ২২ আগস্ট এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ৮ নভেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য দেন তারা। এরপর থেকে মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। ২৪ ডিসেম্বর এ মামলায় উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ১ জানুয়ারি রায়ের দিন ধার্য করেন শ্রম আদালত। মামলার অন্য তিনজন বিবাদী হলেন-গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ শ্রম বিধিমালা ১০৭ বিধি ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।