Dhaka মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দলের নেতাকর্মীদের ঠান্ডা মাথায় চলার আহ্বান ওবায়দুল কাদেরের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর কোনো সহিংসতায় না জড়াতে এবং দলের নেতাকর্মীদের ঠান্ডা মাথায় চলার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে তেজগাঁওয়ের ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সকল সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভায় তিনি এসব কথা জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের অব্যাহত উন্নয়নযাত্রা আরও এগিয়ে নিতে দলের নেতাকর্মীদের ঠান্ডা মাথায় চলতে হবে। কোথাও সহিংসতা বা সংঘাতে জড়ানো যাবে না। নেত্রী নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে যে বক্তব্য রেখেছেন, তার কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। দেশের মানুষের প্রত্যাশা ও দেশ পরিচালনার চ্যালেঞ্জগুলো অতিক্রম করতে হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২০২৪ সালে নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। দলমত নির্বিশেষে দেশের অব্যাহত উন্নয়নের যাত্রা অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে নিতে দলের নেতাকর্মীদের ঠান্ডা মাথায় চলতে হবে।

বিএনপির আন্দোলনকে বিন্দুমাত্র গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, এগুলো নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখার অপকৌশল। দেশের জনগণ ভোট দিয়েছে। যারা বর্জনের ডাক দিয়েছে ভোটাররা তাদের বর্জন করেছে।

নির্বাচনী ইশতেহারে দেওয়া অঙ্গীকার বাস্তবায়নে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়াই নতুন সরকারের মূল কাজ হবে বলে জানান তিনি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বুধবার সকাল ১০টায় নবনির্বাচিত সংসদ সড়স্যরা শপথ নেবেন। এদিন সংসদ নেতাও নির্ধারিত হবেন। পর দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে শপথ নেবেন নতুন মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা।
নির্বাচন-পরবর্তী বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এগুলো নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখার অপকৌশল। দেশের জনগণ ভোট দিয়েছে। যারা ভোট বর্জনের ডাক দিয়েছে ভোটাররা তাদের বর্জন করেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ভবিষ্যতে কুচক্রীদের বিরুদ্ধে আমাদের নজরদারি আরও বাড়াতে হবে। আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না। কিন্তু বিএনপি করে। এটা তাদের জনবিচ্ছিন্নতার মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেবে। তারা কোনো ক্ষতি যেন করতে না পারে সেজন্য আমরা সর্বদা সতর্ক। সবকিছু মোকাবেলা করেই আওয়ামী লীগ আজকের বিজয়ের মাহেন্দ্রক্ষণে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে অবিচল।

নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কয়েকটি রাষ্ট্রের বিবৃতি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের এই নির্বাচনে আমেরিকা, কমনওয়েলথ, ওআইসির পর্যবেক্ষক উপস্থিত ছিলেন। আমার মনে হয় যারা ভিন্নতর বক্তব্য দিচ্ছেন, তারা তাদের দেশ থেকে যেসব পর্যবেক্ষক এসে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে যে পজেটিভ মন্তব্য করবেন তার ভিত্তিতে বিষয়টি অনুধাবন করবেন।

এ সময় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, ডা. জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম-হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বি এম মোজাম্মেল হকসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা-মহানগরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আবহাওয়া

সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি তরুণীর পা বিচ্ছিন্ন

দলের নেতাকর্মীদের ঠান্ডা মাথায় চলার আহ্বান ওবায়দুল কাদেরের

প্রকাশের সময় : ০৭:৪৩:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর কোনো সহিংসতায় না জড়াতে এবং দলের নেতাকর্মীদের ঠান্ডা মাথায় চলার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে তেজগাঁওয়ের ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সকল সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভায় তিনি এসব কথা জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের অব্যাহত উন্নয়নযাত্রা আরও এগিয়ে নিতে দলের নেতাকর্মীদের ঠান্ডা মাথায় চলতে হবে। কোথাও সহিংসতা বা সংঘাতে জড়ানো যাবে না। নেত্রী নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে যে বক্তব্য রেখেছেন, তার কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। দেশের মানুষের প্রত্যাশা ও দেশ পরিচালনার চ্যালেঞ্জগুলো অতিক্রম করতে হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২০২৪ সালে নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। দলমত নির্বিশেষে দেশের অব্যাহত উন্নয়নের যাত্রা অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে নিতে দলের নেতাকর্মীদের ঠান্ডা মাথায় চলতে হবে।

বিএনপির আন্দোলনকে বিন্দুমাত্র গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, এগুলো নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখার অপকৌশল। দেশের জনগণ ভোট দিয়েছে। যারা বর্জনের ডাক দিয়েছে ভোটাররা তাদের বর্জন করেছে।

নির্বাচনী ইশতেহারে দেওয়া অঙ্গীকার বাস্তবায়নে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়াই নতুন সরকারের মূল কাজ হবে বলে জানান তিনি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বুধবার সকাল ১০টায় নবনির্বাচিত সংসদ সড়স্যরা শপথ নেবেন। এদিন সংসদ নেতাও নির্ধারিত হবেন। পর দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে শপথ নেবেন নতুন মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা।
নির্বাচন-পরবর্তী বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এগুলো নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখার অপকৌশল। দেশের জনগণ ভোট দিয়েছে। যারা ভোট বর্জনের ডাক দিয়েছে ভোটাররা তাদের বর্জন করেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ভবিষ্যতে কুচক্রীদের বিরুদ্ধে আমাদের নজরদারি আরও বাড়াতে হবে। আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না। কিন্তু বিএনপি করে। এটা তাদের জনবিচ্ছিন্নতার মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেবে। তারা কোনো ক্ষতি যেন করতে না পারে সেজন্য আমরা সর্বদা সতর্ক। সবকিছু মোকাবেলা করেই আওয়ামী লীগ আজকের বিজয়ের মাহেন্দ্রক্ষণে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে অবিচল।

নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কয়েকটি রাষ্ট্রের বিবৃতি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের এই নির্বাচনে আমেরিকা, কমনওয়েলথ, ওআইসির পর্যবেক্ষক উপস্থিত ছিলেন। আমার মনে হয় যারা ভিন্নতর বক্তব্য দিচ্ছেন, তারা তাদের দেশ থেকে যেসব পর্যবেক্ষক এসে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে যে পজেটিভ মন্তব্য করবেন তার ভিত্তিতে বিষয়টি অনুধাবন করবেন।

এ সময় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, ডা. জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম-হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বি এম মোজাম্মেল হকসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা-মহানগরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।