Dhaka সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে কী ঘটছে তা নজরে রাখছেন মহাসচিব গুতেরেস : জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে যা ঘটছে তা নজরে রাখছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এছাড়া নির্বাচনের আগে ও পরে সহিংসতার ঘটনায় তিনি উদ্বিগ্ন বলেও জানানো হয়েছে।

মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র ফ্লোরেন্সিয়া সোটো নিনো সোমবার (৮ জানুয়ারি) নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেছেন।

মহাসচিব পরিস্থিতি আমলে নিয়েছেন বলতে তিনি বুঝিয়েছেন ভিন্ন মতাবলম্বীদের এবং সমালোচকদের কণ্ঠরোধ, বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি। সোটো নিনো বলেন, আমি বুঝাতে চাইছি ভিন্ন মতাবলম্বী, সমালোচকদের কণ্ঠরোধ এবং বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের সব অভিযোগের বিষয় আমলে নিয়েছেন মহাসচিব। তিনি সব পক্ষকে সব রকম সহিংসতা পরিহার করার আহ্বান জানিয়েছেন। একজন সাংবাদিক তার কাছে জানতে চান- বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ এবং বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের মতো পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও এই নির্বাচনে শেখ হাসিনা বিজয় দাবি করেছেন। জাতিসংঘ কি বিশ্বাস করে এই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে? এ প্রশ্নের জবাবে সোটো নিনো ওইসব কথা বলেন।

জবাবে মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সহযোগী মুখপাত্র ফ্লোরেন্সিয়া সোটো নিনো বলেন, বাংলাদেশে কী ঘটেছে সেটা আমরা দেখছি। সেখানে (বাংলাদেশে) কী ঘটছে তার দিকে নজর রাখছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। বিরোধীদলগুলোর নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি অবগত, এছাড়া ভিন্নমতের কণ্ঠরোধ এবং বিরোধীদলের নেতাদের গ্রেপ্তারের বিষয়েও জানেন তিনি। নির্বাচনের আগে এবং নির্বাচনের সময় সহিংসতার ঘটনার খবর নিয়েও তিনি স্পষ্টতই উদ্বিগ্ন।
তিনি আরও বলেন, সব পক্ষকে যেকোনেও ধরনের সহিংসতা থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। মানবাধিকার এবং আইনের শাসনের প্রতি পূর্ণ সম্মান প্রদর্শনের বিষয়টিও নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। গণতন্ত্রকে সুসংহতকরণ এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য এটি অপরিহার্য।

এ পর্যায়ে তার কাছে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশে আসা বিদেশি পর্যবেক্ষকদের প্রসঙ্গ উঠে আসে। সোটো নিনোর কাছে জানতে চাওয়া হয়, নির্বাচনে অংশ নিয়েছে ২৮টি রাজনৈতিক দল। তা পর্যবেক্ষণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্র সহ কমপক্ষে বিদেশি ২০০ পর্যবেক্ষক। তারা নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও অংশগ্রহণমূলক হওয়ায় পুরোপুরি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশের নতুন সরকার আগামী দিনগুলোতে জাতিসংঘের সঙ্গে সহযোগিতা আরও গভীর করতে চায়। নতুন সরকার সম্পর্কে কিছু বলবেন কি? এ প্রশ্নের জবাবে সোটো নিনো বলেন, সেখানে (বাংলাদেশে) গণতান্ত্রিক পরিবেশ লালন করা অপরিহার্য। সব রকম সহিংসতাকে পরিহার করতে হবে। সম্মান জানাতে হবে এবং সুস্পষ্টভাবে নিশ্চিত করতে হবে যে মানবাধিকারকে সম্মান করা হচ্ছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বাংলাদেশে কী ঘটছে তা নজরে রাখছেন মহাসচিব গুতেরেস : জাতিসংঘ

প্রকাশের সময় : ০১:৩৪:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে যা ঘটছে তা নজরে রাখছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এছাড়া নির্বাচনের আগে ও পরে সহিংসতার ঘটনায় তিনি উদ্বিগ্ন বলেও জানানো হয়েছে।

মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র ফ্লোরেন্সিয়া সোটো নিনো সোমবার (৮ জানুয়ারি) নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেছেন।

মহাসচিব পরিস্থিতি আমলে নিয়েছেন বলতে তিনি বুঝিয়েছেন ভিন্ন মতাবলম্বীদের এবং সমালোচকদের কণ্ঠরোধ, বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি। সোটো নিনো বলেন, আমি বুঝাতে চাইছি ভিন্ন মতাবলম্বী, সমালোচকদের কণ্ঠরোধ এবং বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের সব অভিযোগের বিষয় আমলে নিয়েছেন মহাসচিব। তিনি সব পক্ষকে সব রকম সহিংসতা পরিহার করার আহ্বান জানিয়েছেন। একজন সাংবাদিক তার কাছে জানতে চান- বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ এবং বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের মতো পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও এই নির্বাচনে শেখ হাসিনা বিজয় দাবি করেছেন। জাতিসংঘ কি বিশ্বাস করে এই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে? এ প্রশ্নের জবাবে সোটো নিনো ওইসব কথা বলেন।

জবাবে মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সহযোগী মুখপাত্র ফ্লোরেন্সিয়া সোটো নিনো বলেন, বাংলাদেশে কী ঘটেছে সেটা আমরা দেখছি। সেখানে (বাংলাদেশে) কী ঘটছে তার দিকে নজর রাখছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। বিরোধীদলগুলোর নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি অবগত, এছাড়া ভিন্নমতের কণ্ঠরোধ এবং বিরোধীদলের নেতাদের গ্রেপ্তারের বিষয়েও জানেন তিনি। নির্বাচনের আগে এবং নির্বাচনের সময় সহিংসতার ঘটনার খবর নিয়েও তিনি স্পষ্টতই উদ্বিগ্ন।
তিনি আরও বলেন, সব পক্ষকে যেকোনেও ধরনের সহিংসতা থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। মানবাধিকার এবং আইনের শাসনের প্রতি পূর্ণ সম্মান প্রদর্শনের বিষয়টিও নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। গণতন্ত্রকে সুসংহতকরণ এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য এটি অপরিহার্য।

এ পর্যায়ে তার কাছে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশে আসা বিদেশি পর্যবেক্ষকদের প্রসঙ্গ উঠে আসে। সোটো নিনোর কাছে জানতে চাওয়া হয়, নির্বাচনে অংশ নিয়েছে ২৮টি রাজনৈতিক দল। তা পর্যবেক্ষণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্র সহ কমপক্ষে বিদেশি ২০০ পর্যবেক্ষক। তারা নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও অংশগ্রহণমূলক হওয়ায় পুরোপুরি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশের নতুন সরকার আগামী দিনগুলোতে জাতিসংঘের সঙ্গে সহযোগিতা আরও গভীর করতে চায়। নতুন সরকার সম্পর্কে কিছু বলবেন কি? এ প্রশ্নের জবাবে সোটো নিনো বলেন, সেখানে (বাংলাদেশে) গণতান্ত্রিক পরিবেশ লালন করা অপরিহার্য। সব রকম সহিংসতাকে পরিহার করতে হবে। সম্মান জানাতে হবে এবং সুস্পষ্টভাবে নিশ্চিত করতে হবে যে মানবাধিকারকে সম্মান করা হচ্ছে।