নিজস্ব প্রতিবেদক :
এই নির্বাচনে বাংলাদেশের কোন জনগণ ভোট দিতে যাবে না, এটাই তাদের সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে একতরফা ভোট বর্জনের আহ্বানে মিছিলপূর্ব সমাবেশে এ মন্তব্য করেন নেতারা। সমাবেশের পরে একটি মিছিল বের গণতন্ত্র মঞ্চ। তাদের মিছিলটি তোপখানা রোড থেকে জিপিও হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে নেতারা বলেন, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম লিখেছে আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন নির্বাচন খেলার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে বাস্তবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি এক দলীয় শাসন পাকাপোক্ত হতে যাচ্ছে। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে সরকার ৭ তারিখের পর বিরোধী দলকে আরও বেশি দমন করে, তাদের উপর আরও নিপীড়ন চালানোর জন্যই পরিকল্পিতভাবে নিজেদের এজেন্ট দিয়ে ভোটকেন্দ্র জ্বালিয়ে নাশকতা তৈরি করছে। এই পরিকল্পিত নাশকতা ইতোমধ্যে মানুষ ধরে ফেলেছে এবং সরকারের সকল অপতৎপরতা জবাব হিসেবেই ৭ তারিখে কোনো দেশপ্রেমিক জনগণ ভোট দিতে যাবে না।
নেতারা বলেন, দিনরাত ২৪ ঘণ্টা পুলিশ বাহিনীকে সতর্ক অবস্থানে রেখে, বিরোধী দলকে দমনে পুলিশকে দলীয় বাহিনী হিসেবে ব্যাবহার করে এই সরকার ক্ষমতায় আছে। সরকারের পায়ের তলায় কোন মাটি নেই। কোনো জনসমর্থনও নেই। এই অবস্থায় তারা এই ডামি নির্বাচনকে গ্রহনযোগ্য করতে জাতীয় পার্টি থেকে শুরু করে আরও কিছু ভাগিয়ে আনা দলকে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বানিয়ে পাঁতানো ও একতরফা নির্বাচনের আয়োজন করছে। বাংলাদেশের কোনো দেশ প্রেমিক জনতা এই নির্বাচনে ভোট দিতে যাবে না, এটাই জনগণের সিদ্ধান্ত।
সমাবেশে সকল ভয়-ভীতি, দমন-পীড়ন মোকাবেলা করে জনগণকে ঐক্য বজায় রাখা এবং ৭ তারিখ ভোট বর্জনের মাধ্যমে নতুন গণপ্রতিরোধের সূচনা করার জন্য জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান নেতারা।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন- ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমম্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রব মান্নান। সভা পরিচালনা করেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু।